ইরানের সঙ্গে আলোচনায় বসছে পশ্চিমা শক্তি?

পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে শিগগির আলোচনা শুরুর জন্য বিশ্ব শক্তিগুলোর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ চলছে বলে দাবি করেছে ইরান। তবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ওই দাবি নাকচ করে বলেছে, তেহরান যে আন্তরিকভাবে আলোচনার জন্য প্রস্তুত, এটা দেখার অপেক্ষায় আছে তারা।


ইরানের সঙ্গে বিশ্ব শক্তিগুলোর আলোচনার উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর এক বছর পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে দুই পক্ষে বিরোধ আরও জোরালো হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের অভিযোগ, ইরান গোপনে পারমাণবিক অস্ত্র তৈরির চেষ্টা করছে। তবে ইরান বরাবরই তা অস্বীকার করে এসেছে।
ইরানের ওপর চাপ জোরালো করতে তেহরানের তেল আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের কথা চিন্তা করছে ইইউ। ইইউর কূটনীতিকেরা গত বুধবার বলেন, ইরানের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সম্পদ জব্দ করার ব্যাপারে ইইউর সদস্য দেশগুলোর নীতিগতভাবে সম্মত হয়েছে।
ইরানের রাজনীতিবিদেরা দাবি করেন, তেহরানকে এক চিঠিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা আলোচনা শুরুর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলী আকবর সালেহি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আলোচনার সময় ও স্থান নির্ধারণ নিয়ে কথা হচ্ছে। সম্ভবত ইস্তাম্বুলেই আলোচনা হতে পারে।’
তবে যুক্তরাষ্ট্র দাবি করেছে, নতুন করে আলোচনা শুরুর জন্য ইরানের সঙ্গে তাদের কোনো যোগাযোগ হয়নি। তবে ইরানকে প্রেসিডেন্ট ওবামার চিঠির বিষয়টি নাকচ করে দেয়নি ওয়াশিংটন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ভিক্টোরিয়া নুল্যান্ড বুধবার বলেন, ‘আলোচনা শুরুর বিষয়টি নিয়ে সম্প্রতি ইরানের সঙ্গে কোনো কথাবার্তা হয়নি। তবে আমরা তাদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছি, আলোচনা শুরুর বিষয়ে তাদের আন্তরিকতা থাকলে এবং পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে সবকিছু খোলামেলা ব্যাখ্যা করতে তারা রাজি হলে আমরাও আলোচনায় বসতে রাজি আছি।’
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের বক্তব্যের সঙ্গে মিলিয়ে প্রায় একই কথা বলেন ইইউর পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রধান ক্যাথরিন অ্যাস্টন। ইরানের সঙ্গে ছয় পরাশক্তির আলোচনায় নেতৃত্ব দেবেন তিনিই।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ বলেন, ‘ইরানের দিক থেকে আলোচনা শুরুর ইঙ্গিত আসাটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। রয়টার্স।

No comments

Powered by Blogger.