ছেলের ছদ্মবেশে এক নারীর প্রেম প্রেম খেলা
মানবজমিন ডেস্ক: নিজের পরিচয় গোপন করে ছেলে সেজে দুই তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার ঘটনায় বৃটেনে এখন তোলপাড় চলছে। সেমিং জেমা বার্কার কেবল দুই তরুণীকেই বোকা বানায়নি। তার পরিচিত জনরাও এ গোপন ছদ্মবেশ সম্পর্কে কিছু জানতো না। ছেলের ছদ্মবেশে জেমা বার্কার ইন্টারনেটের মাধ্যমে দুই তরুণীকে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল। ১৫ এবং ১৬ বছর বয়সী দুই তরুণীকে নিজের সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে উদ্বুদ্ধ করতে জেমা নিজের শারীরিক গড়ন আড়াল করতে টিলেঢালা পোশাকের আশ্রয় নিতো। আর চেহারা আড়াল করতে সব সময় ব্যবহার করতো বেসবল ক্যাপ। সে ছেলেদের মতোই চলাফেরা করতো। এমন কি সে পুলিশের কাছে আটক হবার পর তাদেরকেও বোকা বানিয়েছে। কিন্তু একটি সেলে সে পোশাক খোলার পরই তার এ প্রতারণা ধরা পড়ে। বৃটেনের আদালতে বুধবার প্রতারণা এবং যৌন হয়রানির কথা স্বীকার করার পর তার এ ছদ্ম বেশের ঘটনা জানাজানি হয়। আইনজীবী রুবি সেলভা বলেছেন, প্রতারণার শিকার তরুণীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে তোলার উদ্দেশেই ১৬ বছরের ছেলের ছদ্মবেশ ধারণ করেছিল। তার একমাত্র উদ্দেশ্য ছিল তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক গড়ে তোলা। বিচারক পিটার মস জেমাকে ‘নীচ এবং চতুর’ বলে উল্লেখ করে বলেছেন তার কারাদণ্ড হতে পারে। মেয়েদের সঙ্গে মেশার পর তাদের পছন্দের ছেলের ধরন সম্পর্কে জানার পর জেমা অ্যারন ল্যামপার্ড, কনর ম্যাক্করম্যাক এবং লুক জোনস নামে ফেসবুকে একাউন্ট করে মেয়েদের তার সঙ্গে সম্পর্ক গড়তে উদ্বুদ্ধ করতো। মেয়েদের আস্থা অর্জনের পর সে ছেলের ছদ্মবেশেই তাদের সঙ্গে মেলামেশা করতো এবং সময় কাটাতো। এসব পরিবারের সদস্যরা জেনাকে মেয়ে হিসেবে জানলেও তাকে কোন ধরনের সন্দেহ করতো না। এভাবে সে দু’টি মেয়ের সঙ্গে আলাদা আলাদা নামে সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল। কিন্তুই কেউই তাকে কোন রকম সন্দেহ করেনি। অবশেষে ২০১০ সালের ৯ই জুন তাকে অ্যারন ল্যাম্পার্ড নামে গ্রেপ্তার করা হয়। আইনজীবী সেলভা বলেছেন, জেমাকে আটক করার পরেও পুলিশ বুঝতে পারেনি সে ছেলে নয় মেয়ে। পুলিশি হেফাজতে তার পোশাক খোলার পর আসল পরিচয় বেরিয়ে আসে। জেনার আইনজীবী চেটনা পাটেল বলেছেন, জেমা আসলে এক ধরনের মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত। ঘনিষ্ঠ বন্ধু-বান্ধবের সান্নিধ্য পেতেই সে এ ধরনের ছদ্মবেশের আশ্রয় নিয়েছিল। জেমাকে এখন জামিনে মুক্তি দেয়া হযেছে আগামী ২রা মার্চ তার মামলার রায় দেয়া হবে। নিজের সত্যি ফেসবুকে জেমা একজন অভিনেতা হিসেবে দাবি করেছেন। তিনি লিখেছেন, মানুষকে আনন্দ দেয়ার জন্যই আমি বেঁচে আছি। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে কোন মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানানো হয়েছে।
No comments