তিন দিনে উড়ে গেল ইংল্যান্ড
ম্যাচে তখন দারুণ উত্তেজনা। দাঁতে দাঁত চেপে লড়ছে ইংল্যান্ডের শেষ জুটি। ম্যাচ বাঁচাতে নয়, ইনিংস পরাজয় এড়াতে! লড়াই চলছিল পাকিস্তানের দুই বোলারের মধ্যেও। ৫ উইকেটের হাতছানি উমর গুলের, ম্যাচে ১০ উইকেটের দোরগোড়ায় সাঈদ আজমল!
শেষ পর্যন্ত ‘জিতল’ ইংল্যান্ডের শেষ জুটি, এড়াতে পারল ইনিংস পরাজয়ের লজ্জা। দুই পাকিস্তানির লড়াইয়ে জিতলেন আজমল। গ্রায়েম সোয়ানের উইকেট নিয়ে গুটিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডকে, আনন্দের আতিশয্যে বিশাল এক লাফ দিয়ে মাটিতে পড়ে চুমু খেলেন ঘাসে। বিশ্বসেরা স্পিনারের অলিখিত লড়াইয়ে আজমলের এগিয়ে যাওয়ার প্রতীকও হয়ে রইল দৃশ্যটা।
জয়ের জন্য ১৫ রান তুলতে দুই পাকিস্তানি ওপেনারের লাগল ২২ বল। কাল দিন শুরুর সময় যে শেষটা ছিল অকল্পনীয়। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি, সেখানে কীভাবে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় এ দিনই! ম্যাচ শুরুর আগে এর চেয়েও অকল্পনীয় ছিল তিন দিনে হারবে ইংল্যান্ড। এমন সব বিস্ময় উপহার দেয় বলেই তো ক্রিকেটে এত রোমাঞ্চ! ম্যাচ শেষে স্মিত হাসিতে মিসবাহ-উল-হক বললেন, ‘ভাবতে পারিনি এত সহজে জিতে যাব!’ অব্যাহত থাকল ‘নতুন’ পাকিস্তানের বিস্ময়কর অগ্রযাত্রাও। পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ‘অপাকিস্তানি’ ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছিল এই সিরিজটাকে। সেই চ্যালেঞ্জেও আপাতত এগিয়ে মিসবাহর দল।
ম্যাচের নায়ক আজমল, তবে কালকের দিনের মূল নায়ক উমর গুল। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বিবর্ণ ছিলেন দলের পেস আক্রমণের নেতা। দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা দিলেন স্বরূপে। ৯ ওভারের টানা স্পেলে ফিরিয়ে দিলেন স্ট্রাউস-কুক-পিটারসেনকে। উইকেট তিনটিতে অবশ্য বোলারের কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের বাজে শট খেলার ভূমিকাও কম নয়। স্ট্রাউসের আউটটা অবশ্য যথেষ্টই বিতর্ক ছড়াচ্ছে। লেগ স্টাম্পের বাইরে কট বিহাইন্ড হয়েছেন। রিভিউ চেয়েছিলেন স্ট্রাউস। হটস্পটে কিছু ধরা পড়েনি, কিন্তু একটা শব্দ শোনা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই রেখে দেন।
গুল পরে ফিরিয়েছেন মূল বাধা হয়ে থাকা জোনাথন ট্রটকেও। দুই হাজার টেস্ট রান ছোঁয়ার ইনিংসে দারুণ খেলছিলেন ট্রট, কিন্তু ক্যারিয়ারে প্রথম ৪৯ রানে আউট হলেন আলসে এক শটে। গুলের তোপে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ব্যাটিং লাইনআপের ওপর এরপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন আজমল-রেহমান। স্পিনে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান বলে বিবেচিত ইয়ান বেল আবারও শিকার আজমলের দুসরার। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট পড়েছিল ৯৪ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে পড়ল ৮৭ রানে। ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম দুই ইনিংসেই এক শর নিচে পড়ল ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট। লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় এবারও তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা পেতে হয়নি। তবে ১০ উইকেটে হারের লজ্জাও তো আর কম নয়! সেই হার যদি হয় আবার নয় টেস্ট পর!
সোয়ানকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানানোটা নিজের ওপরই চাপ হতে পারত, আজমল বুঝিয়ে দিলেন সেটা হয়েছে অনুপ্রেরণা। ‘তিসরা’ পরীক্ষা অবশ্য সফল হয়নি, দ্বিতীয় ইনিংসে চেষ্টাই করেননি। তাতেও তো ১০ উইকেট, তিসরার আর দরকার কী! ওয়েবসাইট।
জয়ের জন্য ১৫ রান তুলতে দুই পাকিস্তানি ওপেনারের লাগল ২২ বল। কাল দিন শুরুর সময় যে শেষটা ছিল অকল্পনীয়। পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসই শেষ হয়নি, সেখানে কীভাবে ম্যাচ শেষ হয়ে যায় এ দিনই! ম্যাচ শুরুর আগে এর চেয়েও অকল্পনীয় ছিল তিন দিনে হারবে ইংল্যান্ড। এমন সব বিস্ময় উপহার দেয় বলেই তো ক্রিকেটে এত রোমাঞ্চ! ম্যাচ শেষে স্মিত হাসিতে মিসবাহ-উল-হক বললেন, ‘ভাবতে পারিনি এত সহজে জিতে যাব!’ অব্যাহত থাকল ‘নতুন’ পাকিস্তানের বিস্ময়কর অগ্রযাত্রাও। পাকিস্তানে সাম্প্রতিক ‘অপাকিস্তানি’ ধারাবাহিকতায় সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মনে করা হচ্ছিল এই সিরিজটাকে। সেই চ্যালেঞ্জেও আপাতত এগিয়ে মিসবাহর দল।
ম্যাচের নায়ক আজমল, তবে কালকের দিনের মূল নায়ক উমর গুল। প্রথম ইনিংসে পাকিস্তানি বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বিবর্ণ ছিলেন দলের পেস আক্রমণের নেতা। দ্বিতীয় ইনিংসে দেখা দিলেন স্বরূপে। ৯ ওভারের টানা স্পেলে ফিরিয়ে দিলেন স্ট্রাউস-কুক-পিটারসেনকে। উইকেট তিনটিতে অবশ্য বোলারের কৃতিত্বের চেয়ে ব্যাটসম্যানদের বাজে শট খেলার ভূমিকাও কম নয়। স্ট্রাউসের আউটটা অবশ্য যথেষ্টই বিতর্ক ছড়াচ্ছে। লেগ স্টাম্পের বাইরে কট বিহাইন্ড হয়েছেন। রিভিউ চেয়েছিলেন স্ট্রাউস। হটস্পটে কিছু ধরা পড়েনি, কিন্তু একটা শব্দ শোনা গেছে। নিয়ম অনুযায়ী তৃতীয় আম্পায়ার স্টিভ ডেভিস মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই রেখে দেন।
গুল পরে ফিরিয়েছেন মূল বাধা হয়ে থাকা জোনাথন ট্রটকেও। দুই হাজার টেস্ট রান ছোঁয়ার ইনিংসে দারুণ খেলছিলেন ট্রট, কিন্তু ক্যারিয়ারে প্রথম ৪৯ রানে আউট হলেন আলসে এক শটে। গুলের তোপে এলোমেলো হয়ে যাওয়া ব্যাটিং লাইনআপের ওপর এরপর ঝাঁপিয়ে পড়লেন আজমল-রেহমান। স্পিনে ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যান বলে বিবেচিত ইয়ান বেল আবারও শিকার আজমলের দুসরার। ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ৭ উইকেট পড়েছিল ৯৪ রানে, দ্বিতীয় ইনিংসে পড়ল ৮৭ রানে। ১৯৮৮ সালের পর এই প্রথম দুই ইনিংসেই এক শর নিচে পড়ল ইংল্যান্ডের ৭ উইকেট। লোয়ার অর্ডারের দৃঢ়তায় এবারও তিন অঙ্কের নিচে গুটিয়ে যাওয়ার লজ্জা পেতে হয়নি। তবে ১০ উইকেটে হারের লজ্জাও তো আর কম নয়! সেই হার যদি হয় আবার নয় টেস্ট পর!
সোয়ানকে প্রকাশ্যে চ্যালেঞ্জ জানানোটা নিজের ওপরই চাপ হতে পারত, আজমল বুঝিয়ে দিলেন সেটা হয়েছে অনুপ্রেরণা। ‘তিসরা’ পরীক্ষা অবশ্য সফল হয়নি, দ্বিতীয় ইনিংসে চেষ্টাই করেননি। তাতেও তো ১০ উইকেট, তিসরার আর দরকার কী! ওয়েবসাইট।
No comments