'রাণীশংকৈলের রাজকথা!' লেখাটি প্রসঙ্গে by আনোয়ারুল ইসলাম
গত ৮ অক্টোবর দৈনিক সমকাল, ৪ পাতায় টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক আবু এনএম ওয়াহিদের 'রাণীশংকৈলের রাজকথা!' লেখাটি আমি বিশেষ আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। লেখক জানেন কিনা জানি না রাণীশংকৈলে মাত্র ১০০ বছর আগেও টংকনাথ চৌধুরী নামে এক চৌকস রাজা ছিলেন, যার প্রাসাদ এখনও পরিত্যক্ত আছে এখানে।
রাজা টংকনাথের মায়ের নাম ছিল রাণীশংকরী দেবী, যার নামানুসারে এ এলাকার নামকরণ হয় রাণীশংকাইল তথা রাণীশংকৈল। শিরোনাম দেখে অনেক পাঠক হয়তো সত্যি রাণীশংকৈলে কোনো রাজ-রাজড়ার কীর্তি-কাহিনী জানার আগ্রহে লেখাটি পড়ে থাকতে পারেন। যা হোক, রাজা না হোক_ ওই লেখার কাহিনী এক সাংসদকে (ঠাকুরগাঁও-৩) নিয়ে, যিনি কয়েকটি গাছ কাটা নিয়ে এক কলেজ অধ্যক্ষকে চড়-ঘুষি মেরে এলাকায় হইচই ফেলে দিয়েছিলেন, সমালোচিত হয়েছেন এবং এ ঘটনা 'ভুল বোঝাবুঝির' মাধ্যমে ঘটেছে বলে দুঃখ প্রকাশও করেছেন। শ্রদ্ধেয় অধ্যাপক আবু এনএম ওয়াহিদের ওই লেখাটির কথায় আসি। তার ওই সংবাদনির্ভর লেখাটিতে কিছু তথ্য-বিভ্রাট, কিছু তথ্য ঘাটতি আছে যা তুলে ধরার প্রয়োজনবোধ করছি:
এক. লেখাটিতে বলা হয়েছে, 'দিন-দুপুরে জনসমক্ষে মোটরসাইকেল চালিয়ে রাণীশংকৈল মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে অধ্যক্ষের শার্টের কলার চেপে ধরে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন।' এখানে সংবাদের পেছনে/ভেতরে সংবাদ হচ্ছে_ ওই দিন ওইভাবে অধ্যক্ষকে মারধর করার জন্যই সাংসদ কলেজে যাননি। মূলত ওই দিন কলেজ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সদস্য হিসেবে যোগ দিতেই তিনি কলেজে গিয়েছিলেন। যতদূর জানা গেছে, সাংসদ তার কিছু সহচর সমর্থক দ্বারা প্ররোচিত হয়েই আবেগে ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটিয়েছেন (যে জন্য তিনি ভুল স্বীকারও করেছেন)।
দুই. বলা হয়েছে (ব্র্যাকেটে) 'ঠাকুরগাঁওয়ের এমপি সম্ভবত সরকারদলীয়ই হবেন, কারণ আজকালকার দিনে বিরোধীদলীয় কোনো এমপির এতবড় সাহস হওয়ার কথা নয়।' এখানে, শ্রদ্ধেয় লেখকের অভিমত/যুক্তি আংশিক সঠিক। সত্যি বলতে কি, ওই সাংসদ বর্তমান দলীয় তথা আওয়ামী লীগের নন, তিনি জাতীয় পার্টির (এ) প্রেসিডিয়াম সদস্যও বটে (যদিও জাতীয় পার্টি মূলত নির্বাচনভিত্তিক মহাজোটের শরিক দল)। তবে সরকারি দল বিরোধী দল, সাহস-অসাহস নিয়ে কথা নয়, একজন সাংসদের/নেতার ক্ষমতাচর্চা তার ব্যক্তি-চরিত্র, অবস্থান ইত্যাদির ওপরও অনেকটা নির্ভর করে বলেই মনে করি।
তিন. বলা হয়েছে (সংবাদনির্ভর) 'এমপি সাহেবের বাবা গাছ-গাছালিসহ এ জমি কলেজকে দান করে গেছেন। এমপি সাহেব না জেনে এই মাস্তানি করেছেন।' এখানে প্রকৃত তথ্য হলো : কলেজটির বয়স হলো ১৭ বছর আর সাংসদের বাবার মৃত্যু হয়েছে ৪৭ বছর আগে। উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক সাংসদ নিজেই কলেজকে জমি দান করেছেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছেন।
স্বদেশের রাজনীতি, শিক্ষা ও শিক্ষক, মূল্যবোধ নিয়ে সুদূর আমেরিকা থেকে তার অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও নীতিবোধ মেশানো ওই লেখাটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হ সহকারী অধ্যাপক, রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
এক. লেখাটিতে বলা হয়েছে, 'দিন-দুপুরে জনসমক্ষে মোটরসাইকেল চালিয়ে রাণীশংকৈল মহিলা কলেজ ক্যাম্পাসে ঢুকে অধ্যক্ষের শার্টের কলার চেপে ধরে চড়-থাপ্পড় মেরেছেন।' এখানে সংবাদের পেছনে/ভেতরে সংবাদ হচ্ছে_ ওই দিন ওইভাবে অধ্যক্ষকে মারধর করার জন্যই সাংসদ কলেজে যাননি। মূলত ওই দিন কলেজ গভর্নিং বডির মিটিংয়ে সদস্য হিসেবে যোগ দিতেই তিনি কলেজে গিয়েছিলেন। যতদূর জানা গেছে, সাংসদ তার কিছু সহচর সমর্থক দ্বারা প্ররোচিত হয়েই আবেগে ওই অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটিয়েছেন (যে জন্য তিনি ভুল স্বীকারও করেছেন)।
দুই. বলা হয়েছে (ব্র্যাকেটে) 'ঠাকুরগাঁওয়ের এমপি সম্ভবত সরকারদলীয়ই হবেন, কারণ আজকালকার দিনে বিরোধীদলীয় কোনো এমপির এতবড় সাহস হওয়ার কথা নয়।' এখানে, শ্রদ্ধেয় লেখকের অভিমত/যুক্তি আংশিক সঠিক। সত্যি বলতে কি, ওই সাংসদ বর্তমান দলীয় তথা আওয়ামী লীগের নন, তিনি জাতীয় পার্টির (এ) প্রেসিডিয়াম সদস্যও বটে (যদিও জাতীয় পার্টি মূলত নির্বাচনভিত্তিক মহাজোটের শরিক দল)। তবে সরকারি দল বিরোধী দল, সাহস-অসাহস নিয়ে কথা নয়, একজন সাংসদের/নেতার ক্ষমতাচর্চা তার ব্যক্তি-চরিত্র, অবস্থান ইত্যাদির ওপরও অনেকটা নির্ভর করে বলেই মনে করি।
তিন. বলা হয়েছে (সংবাদনির্ভর) 'এমপি সাহেবের বাবা গাছ-গাছালিসহ এ জমি কলেজকে দান করে গেছেন। এমপি সাহেব না জেনে এই মাস্তানি করেছেন।' এখানে প্রকৃত তথ্য হলো : কলেজটির বয়স হলো ১৭ বছর আর সাংসদের বাবার মৃত্যু হয়েছে ৪৭ বছর আগে। উত্তরাধিকার সূত্রে মালিক সাংসদ নিজেই কলেজকে জমি দান করেছেন এবং প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হয়েছেন।
স্বদেশের রাজনীতি, শিক্ষা ও শিক্ষক, মূল্যবোধ নিয়ে সুদূর আমেরিকা থেকে তার অভিজ্ঞতা, শিক্ষা ও নীতিবোধ মেশানো ওই লেখাটির জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
হ সহকারী অধ্যাপক, রাণীশংকৈল ডিগ্রি কলেজ, রাণীশংকৈল, ঠাকুরগাঁও
No comments