টঙ্গীতে বাস চাপায় গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত মহাসড়ক রণক্ষেত্র, ভাঙচুর
টঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি: টঙ্গীর বড়বাড়ি এলাকায় বাসচাপায় এক গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বোর্ডবাজার থেকে টঙ্গীর এরশাদনগর পর্যন্ত রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। নিহত গার্মেন্টস শ্রমিকের নাম শিউলি আক্তার (২৫)। সে স্থানীয় বড়বাড়ি মেসার্স বেস্ট শার্ট অব লিমিডেটের সুইং অপারেটর হিসেবে চাকরি করতো বলে জানা গেছে। গতকাল বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় ৪ ঘণ্টা অবরোধ করে ৩টি গাড়ি পুড়িয়ে দেয়। এছাড়াও তারা প্রায় অর্ধ শতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে। টঙ্গী থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এসময় ইজতেমামুখী মুসল্লি ও সাধারণ যাত্রীরা চরম দুর্ভোগের শিকার হন। পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ গার্মেন্টস শ্রমিকরা জানায়, গতকাল সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বেস্ট শার্ট অব গার্মেন্টস শ্রমিকরা বড়বাড়ি এলাকায় রাস্তা পার হচ্ছিল। এসময় গাজীপুর থেকে ঢাকাগামী বলাকা সার্ভিসের একটি বাস শিউলিকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলে তার মৃত্যু হয়। এ খবর তার সহকর্মীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়লে শ্রমিকরা বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। একপর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে মিছিল বের করলে তালগাছ এলাকার ছাত্রলীগ নামধারী মনির ও সুলতানের নেতৃত্বে এলাকার ঝুট ব্যবসায়ীরা তাদেরকে ধাওয়া করে। এতে শ্রমিকরা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। খবর পেয়ে আশেপাশের গার্মেন্টস শ্রমিকরা বেস্ট শার্ট অব গার্মেন্টসের শ্রমিকদের সঙ্গে যোগ দিয়ে রাস্তায় নেমে কয়েকটি গাড়ি আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। এসময় শ্রমিকরা বড়বাড়ি থেকে টঙ্গীর এরশাদনগর পর্যন্ত বিআরটিসি’র বাসসহ অর্ধশতাধিক গাড়ি ভাঙচুর করে। ফলে টঙ্গী বাজার থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার এলাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। খবর পেয়ে গাজীপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিজানুর রহমানের নেতৃত্বে জয়দেবপুর ও টঙ্গী থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। পরে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়। নিহত শিউলি ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছা থানার চণ্ডিমণ্ডল গ্রামের শামসুল হকের মেয়ে বলে জানা গেছে। নিহতের লাশ তার গ্রামের বাড়ি পাঠানো হয়েছে।
No comments