তিন দিনেও মৃত্যুর কারণ জানা যায়নি!
বহুতল ভবন থেকে নিচে পড়ে বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা এনামুল হক ওরফে রতনের (৪৫) মৃত্যুর কারণ তিন দিনেও উদ্ঘাটন করতে পারেনি পুলিশ। পরিবারও এ বিষয়ে কোনো অভিযোগ করেনি। গত ১৬ জানুয়ারি সকালে মতিঝিলের দিলকুশায় আল আরাফাহ ইসলামী ব্যাংকের নয়তলা ভবন থেকে নিচে পড়ে মারা যান ব্যাংকটির ফার্স্ট অ্যাসিসট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট (এফএভিপি) এনামুল হক।
ঘটনার পর পুলিশ তাঁর পকেট থেকে একটি চিরকুট উদ্ধার করে। সেখানে লেখা ছিল, ‘কিছু মানুষের জন্য নিজেকে শেষ করলাম।’ চিরকুটে কয়েকজনের নামও লেখা ছিল। থানায় এ ব্যাপারে অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হায়াতুজ্জামান বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। অনুসন্ধানে এটি আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও কারণ জানা যায়নি। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনার কারণ জানতে কাজ করছে।
চিরকুটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য ওই চিরকুটের লেখা যথেষ্ট নয়। তা দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়টি প্রমাণ হয় না।
অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার বলেন, চিরকুটে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার কারণ সম্পর্কে কেউ কোনো কিছু জানাতে পারেননি।
ব্যাংকের ব্যব-স্থাপনা পরিচালক একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনামুলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রিকায় পদোন্নতি না
পাওয়া, কোটি টাকার সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণ লেখা হচ্ছে। আসলে কোনটি যে ঠিক, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করেও জানতে পারিনি।’ এনামুল হকের মৃত্যুর পেছনে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কারণ ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।
এনামুলের বড় ভাই শহীদুল হক বলেন, ‘এনামুল হকের পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরা কিছু জানতে পারিনি।’
সূত্র জানায়, এনামুলের স্ত্রী সেলিনা শাহীদ কেরানীগঞ্জের একটি কলেজের প্রভাষক। তাঁদের একমাত্র ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়ে।
মতিঝিল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) হায়াতুজ্জামান বলেন, ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে ঘটনাস্থল পরিদর্শনসহ সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। অনুসন্ধানে এটি আত্মহত্যা বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও কারণ জানা যায়নি। তিনি বলেন, পরিবারের পক্ষ থেকে কেউ আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ করেনি। পুলিশ ঘটনার কারণ জানতে কাজ করছে।
চিরকুটের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আত্মহত্যার প্ররোচনার জন্য ওই চিরকুটের লেখা যথেষ্ট নয়। তা দিয়ে আত্মহত্যার প্ররোচনার বিষয়টি প্রমাণ হয় না।
অপমৃত্যু মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মতিঝিল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বাবুল আকতার বলেন, চিরকুটে যাদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে, তাদের প্রায় সবাইকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পর্ষদেরও বক্তব্য নেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনার কারণ সম্পর্কে কেউ কোনো কিছু জানাতে পারেননি।
ব্যাংকের ব্যব-স্থাপনা পরিচালক একরামুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘এনামুলের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে বিভিন্ন পত্রিকায় পদোন্নতি না
পাওয়া, কোটি টাকার সমস্যাসহ বিভিন্ন কারণ লেখা হচ্ছে। আসলে কোনটি যে ঠিক, তা আমি ব্যক্তিগতভাবে তদন্ত করেও জানতে পারিনি।’ এনামুল হকের মৃত্যুর পেছনে প্রাতিষ্ঠানিক কোনো কারণ ছিল না বলে তিনি দাবি করেন।
এনামুলের বড় ভাই শহীদুল হক বলেন, ‘এনামুল হকের পারিবারিক কোনো সমস্যা ছিল না। তাঁর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে আমরা কিছু জানতে পারিনি।’
সূত্র জানায়, এনামুলের স্ত্রী সেলিনা শাহীদ কেরানীগঞ্জের একটি কলেজের প্রভাষক। তাঁদের একমাত্র ছেলে নবম শ্রেণীতে পড়ে।
No comments