বরিশালে নৌ-দুর্ঘটনা লঞ্চ ও পন্টুনের ক্ষতি
ঢাকা-বরিশাল নৌপথে চলাচলকারী বিলাসবহুল যাত্রীবাহী লঞ্চ সুন্দরবন-৮-এর ধাক্কায় একই পথে চলাচলকারী পারাবত-২ লঞ্চের ক্ষতি হয়েছে। ভেঙে গেছে বরিশাল নদীবন্দরের পন্টুন, পন্টুন বেঁধে রাখার বড় থাম ও গ্যাংওয়েসহ বিভিন্ন স্থাপনা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল পৌনে নয়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
আতঙ্কগ্রস্ত লঞ্চযাত্রীরা এদিক-ওদিক ছোটাছুটি শুরু করেন। হঠাৎ ধাক্কায় পারাবতের দুই যাত্রী আহত হন। আহত মনির হোসেন (১৭) ও সুবর্ণা আক্তারকে (১০) শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বরিশাল নদীবন্দর সূত্রে জানা যায়, ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম সচিব মো. হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে সুন্দরবন-৮ লঞ্চটির চলাচলের সময়সূচি আজ শুক্রবার থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে বরিশাল নৌবন্দরের পন্টুন ও অন্যান্য স্থাপনার কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের লঞ্চের আসবাবসহ ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক ছোহরাব হোসেন মেরিন আদালতে মামলা করেছেন। একইভাবে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকেও বরিশাল কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চের সুপারভাইজার ব্রজেন বাড়ৈ বলেন, ‘ঢাকা থেকে এসে বরিশাল ঘাটে লঞ্চ নোঙর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের লঞ্চের পেছন থেকে সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। একই সঙ্গে ওই ধাক্কা গিয়ে পন্টুনে লাগে। দুই লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন বেঁধে রাখার বড় লোহার থাম, গ্যাংওয়েসহ পন্টুনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়।’
সুন্দরবন লঞ্চের পরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চে ইঞ্জিনের ত্রুটি ছিল না। চালকের অসতর্কতা ও গাফিলতির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অবশ্যই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল নৌ-বন্দরের কর্মকর্তা কাজী ওয়াকিল নওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। দুর্ঘটনা ভয়াবহ।’ তদন্ত কমিটি গঠন ও সুন্দরবন লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি ইতিপূর্বে বরিশাল নৌবন্দরে দুবার এবং ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মেহেন্দিগঞ্জ এলাকায় মালবাহী কার্গোকে ধাক্কা দিলে তা ডুবে যায়। দ্বিতীয়বার বরিশাল নৌবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির জন্য বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দুবার ওই অর্থ আদায়ের চিঠি দিলেও সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেয়নি। একই লঞ্চ তিনবার দুর্ঘটনা ঘটানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ পারভেজ।
বরিশাল নদীবন্দর সূত্রে জানা যায়, ঘটনা তদন্তে বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম সচিব মো. হোসেনকে প্রধান করে ছয় সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এদিকে সুন্দরবন-৮ লঞ্চটির চলাচলের সময়সূচি আজ শুক্রবার থেকে স্থগিত করা হয়েছে।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) সূত্র জানায়, প্রাথমিকভাবে বরিশাল নৌবন্দরের পন্টুন ও অন্যান্য স্থাপনার কমপক্ষে ১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। অন্যদিকে ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চ কর্তৃপক্ষের দাবি, তাদের লঞ্চের আসবাবসহ ১০-১৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এ ব্যাপারে উচ্চতর তদন্ত কমিটি গঠন করার জন্য অনুরোধ জানিয়েছে বরিশাল নদীবন্দর কর্তৃপক্ষ।
এ ছাড়া সমুদ্র পরিবহন অধিদপ্তরের পরিদর্শক ছোহরাব হোসেন মেরিন আদালতে মামলা করেছেন। একইভাবে নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের পক্ষ থেকেও বরিশাল কোতোয়ালি থানায় মামলা হয়েছে।
ক্ষতিগ্রস্ত লঞ্চের সুপারভাইজার ব্রজেন বাড়ৈ বলেন, ‘ঢাকা থেকে এসে বরিশাল ঘাটে লঞ্চ নোঙর করার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। এ সময় আমাদের লঞ্চের পেছন থেকে সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি প্রচণ্ড গতিতে ধাক্কা দেয়। এতে লঞ্চের পেছনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। একই সঙ্গে ওই ধাক্কা গিয়ে পন্টুনে লাগে। দুই লঞ্চের ধাক্কায় পন্টুন বেঁধে রাখার বড় লোহার থাম, গ্যাংওয়েসহ পন্টুনেরও ক্ষয়ক্ষতি হয়।’
সুন্দরবন লঞ্চের পরিচালক আক্তার হোসেন বলেন, ‘লঞ্চে ইঞ্জিনের ত্রুটি ছিল না। চালকের অসতর্কতা ও গাফিলতির জন্যই এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। অবশ্যই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
বরিশাল নৌ-বন্দরের কর্মকর্তা কাজী ওয়াকিল নওয়াজ প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলাম। দুর্ঘটনা ভয়াবহ।’ তদন্ত কমিটি গঠন ও সুন্দরবন লঞ্চের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, সুন্দরবন-৮ লঞ্চটি ইতিপূর্বে বরিশাল নৌবন্দরে দুবার এবং ঢাকা-বরিশাল নৌপথের মেহেন্দিগঞ্জ এলাকায় মালবাহী কার্গোকে ধাক্কা দিলে তা ডুবে যায়। দ্বিতীয়বার বরিশাল নৌবন্দরের ক্ষয়ক্ষতির জন্য বিআইডব্লিউটিএর পক্ষ থেকে ১৬ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। দুবার ওই অর্থ আদায়ের চিঠি দিলেও সুন্দরবন লঞ্চ কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণ দেয়নি। একই লঞ্চ তিনবার দুর্ঘটনা ঘটানোর সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বরিশাল বন্দরের নৌ-নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী পরিচালক মাসুদ পারভেজ।
No comments