ঘুরে দাঁড়ালো পুঁজিবাজার
স্টাফ রিপোর্টার: আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন, দেশে গণতন্ত্র না থাকলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই গণতন্ত্র রক্ষায় দলমত নির্বিশেষে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। সরকার উৎখাতে কিছু সেনা কর্মকর্তার অভ্যুত্থানের চেষ্টার তথ্য প্রকাশের পর গতকাল সন্ধ্যায় তিনি এ আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সংবাদ সম্মেলনে সৈয়দ আশরাফ বলেন, আমাদের মধ্যে ভিন্নমত থাকতে পারে। তবে গণতন্ত্রের প্রশ্নে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। কারণ গণতন্ত্র ব্যাহত হলে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তাই গণতন্ত্র সমুন্নত ও সাংবিধানিক ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি বলেন, অতীতে ষড়যন্ত্র সফল হলেও বর্তমান বাংলাদেশে ষড়যন্ত্রকারীদের স্থান আর নেই। অভ্যুত্থানের চেষ্টা নস্যাৎ এবং তা প্রকাশের জন্য সেনাবাহিনীকে ধন্যবাদ জানান আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক। সেনা অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রে জড়িতদের কঠোর শাস্তির আওতায় আনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি বলেন, এর আগেও বিষয়টি নিয়ে অনেক কানাঘুষা চলছিল। এ ধরনের ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে যারা দেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় সে যেই হোক আইনের আওতায় আনা হবে। কোন প্রকার ছাড় দেয়া হবে না। খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের তৃণমুল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ সভানেত্রীর বৈঠকের বিষয় সাংবাদিকদের অবহিত করতে ডাকা সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আশরাফ বলেন, সেনাবাহিনীতে যে ঘটনা ঘটেছে তা তারা নিজেরা সমাধান করবে। আমরা আইএসপিআরের সাংবাদিক সম্মেলনের মাধ্যমে ঘটনা জানতে পারলাম। সেনাবাহিনীর ওই ঘটনায় যারা পলাতক আছেন তাদের দ্রুত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, অন্যথায় তাদের কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে। আশরাফ বলেন, দেশের মানুষ সংবিধান, গণতন্ত্র এবং আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। আমরা সমালোচনা করতে করতে এমন অবস্থায় পৌঁছে যাই যে নিজেদের দায়িত্ব ভুলে যাই। এ সময় তিনি পাকিস্তানের উদাহরণ দিয়ে বলেন, তাদের গণতন্ত্র হুমকির মুখে। কিন্তু বাংলাদেশের গণতন্ত্র এখনো সমুন্নত। আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার। সরকার যাবে সরকার আসবে, জনগণ তাদের ভোট দেবে এটাই গণতন্ত্রের মূল ধারা। এটা ব্যাহত হলে দেশ পৃথিবীর বুকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে। গতকাল খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকের বিষয়ে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, বৈঠকে সাংগঠনিক, সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা এবং পার্বত্য শান্তিচুক্তিসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এরপর থেকে প্রধানমন্ত্রী সকল সাংগঠনিক জেলার নেতৃবৃন্দের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন। তিনি বলেন, এ মতবিনিময় সভা তৃণমূলের সংগঠনকে শক্তিশালী করা, সরকার এবং দল পরিচালনার জন্য সহায়ক হবে। সংবাদ সম্মেলনে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, সাংগঠনিক সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, দপ্তর সম্পাদক আবদুল মান্নান খান, উপ-দপ্তর সম্পাদক মৃণাল কান্তি দাস, কেন্ত্রীয় নেতা সুজিত রায় নন্দী উপস্থিত ছিলেন।
No comments