নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন-সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অগ্নিপরীক্ষা
সবার দৃষ্টি এখন নারায়ণগঞ্জের দিকে। আর মাত্র ২৪ ঘণ্টা পর নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের এটা প্রথম নির্বাচন। অন্যদিকে বর্তমান নির্বাচন কমিশনারদের সম্ভবত এটা শেষ নির্বাচন। স্বাভাবিকভাবেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে আছে সারা দেশ। শুধু দেশ নয়, সারা বিশ্বের নজর এখন নারায়ণগঞ্জের দিকে। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে থাকছেন দেশি-বিদেশি এক হাজারেরও বেশি পর্যবেক্ষক। নির্বাচনী এলাকায় নিরাপত্তার জন্য নেওয়া হয়েছে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা।
বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। আজ মধ্যরাত থেকে নৌচলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়। বদলি করা হয়েছে বন্দর ও সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের। নির্বাচনের দিন নির্বাচন কমিশনের ৫০ সদস্যের একটি দল গোপনে নারায়ণগঞ্জে যাবে। তারা গোপনে ভোটকেন্দ্র ও ভোটারদের যাতায়াতের পথের দিকে নজর রাখবে। এ ছাড়া নির্বাহী ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিলিয়ে ৫০ জন ম্যাজিস্ট্রেট ভ্রাম্যমাণ থাকবেন। অতিরিক্ত ঝুঁকিপূর্ণ ২০টি কেন্দ্রে বসানো হচ্ছে ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরা। নির্বাচনী উত্তাপ নারায়ণগঞ্জের সর্বত্র। প্রথম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত নারায়ণগঞ্জ।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় আছেন তিনজন। এঁরা হলেন এ কে এম শামীম ওসমান, ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার। প্রচারমাধ্যমেরও ব্যস্ততা এই তিন প্রার্থীকে ঘিরে। প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রামের পরই অবস্থান প্রায় দেড় শ বছর আগে গড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে রাজধানী ঢাকার একেবারেই কাছে নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। শুধু বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কারণেই নয়, রাজনৈতিক কারণেও নারায়ণগঞ্জ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন নানা প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের মতভেদ প্রবল। নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জেরও কিছু কেন্দ্রে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচন কমিশনের একজন যুগ্ম সচিব।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। শুরুতে বিএনপি এই নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারকে তাদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিলেও আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী নির্ধারণ বা নির্বাচনে অনেকটাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। আওয়ামী লীগ অনেক দেরিতে এ কে এম শামীম ওসমানকে দলীয় সমর্থন দেয়। শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী_দুজনই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন ডা. আইভী। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের প্রচারণার দিনগুলো ছিল নাটকীয়তায় ভরা। নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুসম্পন্ন করতে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা সন্তোষজনক বলা যায়। যদিও নির্দিষ্ট সময়ে সেনা মোতায়েন না হওয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। আশা করা যায়, নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করবে।
এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারের জন্যও এই নির্বাচন একটি অগি্নপরীক্ষা। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনগুলোর ফল। স্বাভাবিকভাবেই এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। জয়ী হোক জনগণ। জনগণের রায় প্রতিফলিত হোক নির্বাচনের ফলাফলে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ছয়জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও আলোচনায় আছেন তিনজন। এঁরা হলেন এ কে এম শামীম ওসমান, ডা. সেলিনা হায়াত আইভী ও তৈমূর আলম খন্দকার। প্রচারমাধ্যমেরও ব্যস্ততা এই তিন প্রার্থীকে ঘিরে। প্রাচ্যের ডান্ডি হিসেবে খ্যাত নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনের দিকে সবার দৃষ্টি নিবদ্ধ থাকবে, এটাই স্বাভাবিক। বাণিজ্যিক দিক থেকে চট্টগ্রামের পরই অবস্থান প্রায় দেড় শ বছর আগে গড়ে ওঠা নারায়ণগঞ্জের। নারায়ণগঞ্জের নির্বাচন নানা দিক থেকেই গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে রাজধানী ঢাকার একেবারেই কাছে নারায়ণগঞ্জের অবস্থান। শুধু বাণিজ্যিক ও অর্থনৈতিক কারণেই নয়, রাজনৈতিক কারণেও নারায়ণগঞ্জ অনেক গুরুত্বপূর্ণ। উপরন্তু এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন এমন একটি সময়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে, যখন নানা প্রশ্নে সরকারের সঙ্গে বিরোধী দলের মতভেদ প্রবল। নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জেরও কিছু কেন্দ্রে ইভিএম বা ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন ব্যবহার করবে। নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করছেন নির্বাচন কমিশনের একজন যুগ্ম সচিব।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন গুরুত্বপূর্ণ এ কারণে যে এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে অনেক কিছু। শুরুতে বিএনপি এই নির্বাচনে তৈমূর আলম খন্দকারকে তাদের প্রার্থী হিসেবে সমর্থন দিলেও আওয়ামী লীগ নিজেদের প্রার্থী নির্ধারণ বা নির্বাচনে অনেকটাই দ্বিধাদ্বন্দ্বে ভুগেছে। আওয়ামী লীগ অনেক দেরিতে এ কে এম শামীম ওসমানকে দলীয় সমর্থন দেয়। শামীম ওসমান ও সেলিনা হায়াৎ আইভী_দুজনই নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগের নেতা। নারায়ণগঞ্জ পৌরসভার মেয়র ছিলেন ডা. আইভী। সব মিলিয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের প্রথম নির্বাচনের প্রচারণার দিনগুলো ছিল নাটকীয়তায় ভরা। নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচন সুসম্পন্ন করতে যে ব্যবস্থা নিয়েছে তা সন্তোষজনক বলা যায়। যদিও নির্দিষ্ট সময়ে সেনা মোতায়েন না হওয়ায় নানা প্রশ্ন দেখা দেয়। তবে বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে নির্বাচনগুলো হয়েছে, সেগুলো নিয়ে কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। আশা করা যায়, নির্বাচন কমিশন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন করবে।
এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে নির্বাচন কমিশনের গ্রহণযোগ্যতা। নির্বাচন কমিশনের পাশাপাশি সরকারের জন্যও এই নির্বাচন একটি অগি্নপরীক্ষা। পর্যবেক্ষক মহলের মতে, এই নির্বাচনের ওপর নির্ভর করছে ঢাকা সিটি করপোরেশনসহ পরবর্তী নির্বাচনগুলোর ফল। স্বাভাবিকভাবেই এ নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সুসম্পন্ন করতে হবে।
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের নির্বাচন সুষ্ঠু হোক। জয়ী হোক জনগণ। জনগণের রায় প্রতিফলিত হোক নির্বাচনের ফলাফলে।
No comments