দুই শিবিরই চাপের মুখে
বাংলাদেশে
এখন যে রাজনীতি নেই এ কথা একবাক্যে সবাই কবুল করেন। এমনকি নিজেদের
একচ্ছত্র আধিপত্যের কথা প্রকাশ্যেই বলেন ক্ষমতাসীনরা। কয়েকজন প্রভাবশালী
নেতা একাধিকবার এ সত্য উচ্চারণ করেছেন। এর বিপদের দিকটি নিয়েও দলকে সতর্ক
করেছেন তারা। বিশেষ করে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম ছিলেন সবচেয়ে সরব। ৫ই জানুয়ারি
চ্যালেঞ্জ উৎরে যাওয়ার পর আওয়ামী লীগ দেশ পরিচালনা করছে একক কর্তৃত্বে।
বিরোধীদের আন্দোলনের সময় পেট্রলবোমার ব্যবহার আর সাধারণ মানুষের মৃত্যু
সরকারের কর্তৃত্বকে আরও সুপ্রতিষ্ঠিত করেছে সারা দুনিয়ায়। যে পশ্চিমা শক্তি
সরকারের ওপর অসন্তুষ্ট ছিল তারাও এক সময় ম্যানেজ হয়ে যায়। উল্টো সহিংস
আন্দোলনের জন্য বিএনপি-জামায়াতের সমালোচনায় সরব হয়ে ওঠেন বিদেশীরা।
তবে আচমকা দুটি হত্যাকাণ্ড চাপ এবং চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে সরকারের জন্য। সিজার তাভেলা ও হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ড শুধু সরকার নয়, আসলে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়েছে। কবে এ সফর হবে তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে পশ্চিমা দুনিয়া। পোশাক খাতের বিদেশী ক্রেতাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন। যা পোশাক খাতকে শঙ্কার মুখে ফেলেছে। পর্যটকদের সংখ্যাও গেছে কমে। নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত ৪২ জন বিদেশীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের কর্মস্থল থেকে।
তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রশ্নে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মনোভাবের মধ্যে পার্থক্যও অনেকটা স্পষ্ট। বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি, নেদারল্যান্ডসহ বেশকিছু দেশ সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে এসব দেশ। তবে চীন, রাশিয়া এবং ভারতের মতো শক্তিগুলো এ পথে হাঁটেনি। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার তদন্তে রাশিয়া এবং ভারতের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়ার কথা বলেছেন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক ধরনের ছায়া দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাবশালী শক্তিগুলো এলার্ট জারি করে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে বলেই মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। এ ধরনের চাপ প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য নয় বলে সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি বিবৃতি দিয়েই বলেছে। সরকারের অনেকেই এর ভেতরে ষড়যন্ত্র দেখছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এরই মধ্যে সরকারের তরফে ব্রিফ করা হয়েছে কূটনীতিকদের। প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা আলাদা করে কথাও বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। সর্বশেষ সতর্কতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে তাদেরকে। তবে এতে এখন পর্যন্ত বরফ গলার আভাস পাওয়া যায়নি। দুটি বিষয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের। ১. বাংলাদেশে আইএস’র অস্তিত্ব রয়েছে কি-না এ ব্যাপারে নিবিড় অনুসন্ধান দেখতে চান তারা। ২. সরকার যেভাবে তদন্তের আগেই বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করছে তাও ভালভাবে নিচ্ছেন না একদল কূটনীতিক। দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পশ্চিমাদের চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদেরও সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দুটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। কোন উপসংহার টানতে পারেননি নীতি-নির্ধারকরা। উচ্চপর্যায়ে একের পর এক মিটিংয়েও এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অবহিত করা হবে। একটি সূত্র দাবি করছে, ঢাকা থেকে আইএস’র নামে বার্তা দেয়ার সন্দেহে এক সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে নজরদারির মধ্যে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে নিবিড় নজর রাখছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্র পাশে থাকায় এ যাত্রায় কূটনীতিক চাপ শেষ পর্যন্ত সরকার কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। তবে বিশেষ করে বিদেশী পোশাক ক্রেতাদের আস্থা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ সরকারকে উৎরাতে হবে। কারণ এখন পর্যন্ত পোশাক খাতই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। একই সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই এ দুটি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল সে ব্যাপারে উপসংহারে পৌঁছাতে হবে। সে উপসংহার টানা না গেলে ঝুঁকি থেকেই যাবে।
দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ড বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরের জন্যও চাপ হয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে চলেছেন বিএনপিকে। এমনকি সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও দায়ী করা হয়েছে। দুটি হত্যাকাণ্ডের পর নতুন উদ্যমে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জাপানি নাগরিক হত্যায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবীন-উন-নবী খান সোহেলের ভাই। প্রতিদিনই সহিংসতার নানা মামলায় সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পুলিশি অভিযানে। বিভিন্নস্থানে সম্মেলনের সময় দলটির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। একটি মামলায় জামিন পেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে আরেকটি মামলায়।
এমনিতেই গত নয় বছর ধরে টানা দুঃসময় কাটাচ্ছে বিএনপি। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর দলটির মধ্যে এক ধরনের চ্যাঞ্চল্য তৈরি করেছিল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন গেছেন। তবে সবাই জানতেন, যুক্তরাজ্য সফরে দল পুনর্গঠন নিয়ে তিনি কথা বলবেন, তার ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা ছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার জন্য অনেকটাই আটকে আছে দল পুনর্গঠনের কার্যক্রম। এখন সরকার থেকে নতুন করে চাপ প্রয়োগের ফলে এ কার্যক্রম কতটা কিভাবে এগোয় সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন পর্যবেক্ষকরা। এছাড়া, জোটে জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দল থাকায় ‘জঙ্গি’ ইস্যুটি সবসময়ই বিএনপির জন্য স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
তবে আচমকা দুটি হত্যাকাণ্ড চাপ এবং চ্যালেঞ্জ হয়ে আসে সরকারের জন্য। সিজার তাভেলা ও হোশি কুনিও হত্যাকাণ্ড শুধু সরকার নয়, আসলে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশ রাষ্ট্রকেই। অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট দল এবং দক্ষিণ আফ্রিকা নারী ক্রিকেট দলের বাংলাদেশ সফর স্থগিত হয়েছে। কবে এ সফর হবে তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছেন না। বাংলাদেশে ভ্রমণ সতর্কতা জারি করেছে পশ্চিমা দুনিয়া। পোশাক খাতের বিদেশী ক্রেতাদের একটি বড় অংশ বাংলাদেশ সফর স্থগিত করেছেন। যা পোশাক খাতকে শঙ্কার মুখে ফেলেছে। পর্যটকদের সংখ্যাও গেছে কমে। নির্মাণাধীন বিদ্যুৎকেন্দ্রে কর্মরত ৪২ জন বিদেশীকে প্রত্যাহার করা হয়েছে তাদের কর্মস্থল থেকে।
তবে বাংলাদেশের নিরাপত্তা প্রশ্নে আন্তর্জাতিক শক্তিগুলোর মনোভাবের মধ্যে পার্থক্যও অনেকটা স্পষ্ট। বাংলাদেশ সফরের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান, ইতালি, নেদারল্যান্ডসহ বেশকিছু দেশ সতর্কতা জারি করেছে। বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে এসব দেশ। তবে চীন, রাশিয়া এবং ভারতের মতো শক্তিগুলো এ পথে হাঁটেনি। দুই বিদেশী নাগরিক হত্যার তদন্তে রাশিয়া এবং ভারতের গোয়েন্দাদের কাছ থেকে সহযোগিতা নেয়ার কথা বলেছেন সরকারের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী। বর্তমান আন্তর্জাতিক রাজনীতির এক ধরনের ছায়া দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশে।
আন্তর্জাতিক রাজনীতির প্রভাবশালী শক্তিগুলো এলার্ট জারি করে সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ প্রয়োগ করছে বলেই মনে করেন পর্যবেক্ষকরা। এ ধরনের চাপ প্রয়োগ গ্রহণযোগ্য নয় বলে সরকারের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টি বিবৃতি দিয়েই বলেছে। সরকারের অনেকেই এর ভেতরে ষড়যন্ত্র দেখছেন। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে এরই মধ্যে সরকারের তরফে ব্রিফ করা হয়েছে কূটনীতিকদের। প্রভাবশালী কয়েকটি দেশের কূটনীতিকরা আলাদা করে কথাও বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে। সর্বশেষ সতর্কতা প্রত্যাহারের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে তাদেরকে। তবে এতে এখন পর্যন্ত বরফ গলার আভাস পাওয়া যায়নি। দুটি বিষয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছে পশ্চিমা কয়েকটি দেশের। ১. বাংলাদেশে আইএস’র অস্তিত্ব রয়েছে কি-না এ ব্যাপারে নিবিড় অনুসন্ধান দেখতে চান তারা। ২. সরকার যেভাবে তদন্তের আগেই বিএনপি-জামায়াতকে দোষারোপ করছে তাও ভালভাবে নিচ্ছেন না একদল কূটনীতিক। দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পশ্চিমাদের চাপ কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে সরকার। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে মন্ত্রীদেরও সতর্ক থাকতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।
দুটি হত্যাকাণ্ডের তদন্তে এখন পর্যন্ত কোন উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়নি। কোন উপসংহার টানতে পারেননি নীতি-নির্ধারকরা। উচ্চপর্যায়ে একের পর এক মিটিংয়েও এ নিয়ে কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। যদিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, শিগগিরই এ বিষয়ে সরকারের তরফ থেকে অবহিত করা হবে। একটি সূত্র দাবি করছে, ঢাকা থেকে আইএস’র নামে বার্তা দেয়ার সন্দেহে এক সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে নজরদারির মধ্যে রেখেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুরো তদন্ত প্রক্রিয়ার দিকে নিবিড় নজর রাখছে বেশ কয়েকটি শক্তিশালী রাষ্ট্র।
পর্যবেক্ষকদের ধারণা, কয়েকটি প্রভাবশালী রাষ্ট্র পাশে থাকায় এ যাত্রায় কূটনীতিক চাপ শেষ পর্যন্ত সরকার কাটিয়ে উঠতে সক্ষম হবে। তবে বিশেষ করে বিদেশী পোশাক ক্রেতাদের আস্থা ফেরানোর চ্যালেঞ্জ সরকারকে উৎরাতে হবে। কারণ এখন পর্যন্ত পোশাক খাতই বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হিসেবে বিবেচিত। একই সঙ্গে সত্যিকার অর্থেই এ দুটি হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে কারা ছিল সে ব্যাপারে উপসংহারে পৌঁছাতে হবে। সে উপসংহার টানা না গেলে ঝুঁকি থেকেই যাবে।
দুই বিদেশী হত্যাকাণ্ড বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী শিবিরের জন্যও চাপ হয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে সরকারের নীতি-নির্ধারকরা এ হত্যাকাণ্ডের জন্য দায়ী করে চলেছেন বিএনপিকে। এমনকি সরাসরি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকেও দায়ী করা হয়েছে। দুটি হত্যাকাণ্ডের পর নতুন উদ্যমে গ্রেপ্তার অভিযান চলছে বিএনপি-জামায়াত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। জাপানি নাগরিক হত্যায় স্থানীয় এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। যিনি ঢাকা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব হাবীন-উন-নবী খান সোহেলের ভাই। প্রতিদিনই সহিংসতার নানা মামলায় সারা দেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। বিএনপির সাংগঠনিক পুনর্গঠনের কাজ মারাত্মকভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে পুলিশি অভিযানে। বিভিন্নস্থানে সম্মেলনের সময় দলটির নেতাকর্মীরা গ্রেপ্তার হচ্ছেন। বিএনপির শীর্ষপর্যায়ের নেতাদের একটি অংশ দীর্ঘদিন ধরে কারাগারে আটক রয়েছেন। একটি মামলায় জামিন পেলে তাদের গ্রেপ্তার দেখানো হচ্ছে আরেকটি মামলায়।
এমনিতেই গত নয় বছর ধরে টানা দুঃসময় কাটাচ্ছে বিএনপি। এ অবস্থায় বেগম খালেদা জিয়ার লন্ডন সফর দলটির মধ্যে এক ধরনের চ্যাঞ্চল্য তৈরি করেছিল। যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে বলা হয়েছে, চিকিৎসার জন্য তিনি লন্ডন গেছেন। তবে সবাই জানতেন, যুক্তরাজ্য সফরে দল পুনর্গঠন নিয়ে তিনি কথা বলবেন, তার ছেলে এবং দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে। আন্তর্জাতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গেও তার বৈঠকের কথা ছিল। বিএনপি চেয়ারপারসনের দেশে ফেরার জন্য অনেকটাই আটকে আছে দল পুনর্গঠনের কার্যক্রম। এখন সরকার থেকে নতুন করে চাপ প্রয়োগের ফলে এ কার্যক্রম কতটা কিভাবে এগোয় সেদিকে দৃষ্টি রাখছেন পর্যবেক্ষকরা। এছাড়া, জোটে জামায়াতসহ কয়েকটি ইসলামপন্থি দল থাকায় ‘জঙ্গি’ ইস্যুটি সবসময়ই বিএনপির জন্য স্পর্শকাতর বিষয় হিসেবে দেখা হয়।
No comments