খিজির খান হত্যার নেপথ্যে জেএমবি!
রাজধানীর
বাড্ডায় কথিত পীর ও পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খান হত্যার ঘটনায়
উগ্রপন্থি ধর্মীয় জঙ্গি গোষ্ঠী জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবি। এই
হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেল নামে জেএমবির এক
সদস্যকে আটক করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ। আটক তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেল
হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করেছে বলে গোয়েন্দা সূত্র দাবি করেছে। তার
সহযোগীদের গ্রেপ্তার করতে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল বিভিন্ন স্থানে
অভিযান চালাচ্ছে। গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্র এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।
গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) মাহফুজুল ইসলাম বলেন,
হত্যাকাণ্ডে সম্পৃক্ত একজনকে আটক করা হয়েছে। তাকে নিয়ে সহযোগীদের আটক করতে
অভিযান চালানো হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, কথিত পীর খিজির খানকে ধর্মীয়
মতাদর্শের জের ধরে হত্যা করা হয়েছে। এই হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে নিষিদ্ধ ঘোষিত
জঙ্গি সংগঠন জামা’আতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ-জেএমবি সাংগঠনিকভাবে সম্পৃক্ত।
জেএমবির শীর্ষ নেতাদের ফাঁসি হওয়ার পর দলটিতে ভাঙন শুরু হয়। সর্বশেষ
জেএমবির আমীর মাওলানা সাইদুর গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংগঠনের মধ্যম সারির
নেতারা নিজেদের নেতৃত্বে আলাদা আলাদা করে সাংগঠনিক কার্যক্রম চালাতে থাকেন।
এরই একটি গ্রুপের নেতৃত্বে রয়েছেন ময়মনসিংহের নজরুল ডাক্তার। যাকে
অনুসারীরা ‘ডাক্তার সাহেব’ বলে ডাকেন। এই গ্রুপটি ধর্মীয় মতাদর্শের বিরোধের
জের ধরে ‘সাইলেন্ট কিলিং’ করার জন্য মাঠে সক্রিয় হয়। এরই ধারাবাহিকতায়
তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেল ও তার সহযোগীরা কথিত পীর খিজির খানকে হত্যা করে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, খিজির খানকে হত্যা মিশনে ৮-১০ জনের একটি দল কাজ করেছে। এর মধ্যে তারিকুল্লাহ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে গোয়েন্দারা তথ্য পায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে তারেকের ভাই সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভাইয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ টাঙ্গাইল এলাকা থেকে তারেককে আটক করে। তারেককে আটকের পরপরই ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ও সহযোগীদের নাম বলে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল তারেককে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করে। তবে অভিযানে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া অপর কোন সদস্যকে আটক করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খিজির হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন তারা। দু-একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য দেশবাসীকে জানানো হবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আটককৃত তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেল ২০০৯ সালের ১১ই এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকা থেকে সাত সহযোগীসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। সে সময় তারিকুল্লাহ জেএমবির গায়েরি এহসার হিসেবে কাজ করতো। দুই বছর পর ২০১১ সালের ২৬শে এপ্রিল আদালত থেকে জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসে সে। কিন্তু জেল গেট থেকে র্যাব আবারও তাকে গ্রেপ্তার করে। আবার বছরখানেকের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসে জেএমবির নজরুল গ্রুপের সঙ্গে যোগ দেয় সে। এরপর পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় মতাদর্শের জের ধরে ‘সাইলেন্ট কিলিং’-এ অংশ নেয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জেএমবি প্রথম থেকেই ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে কাজ করে আসছিল। এই পদ্ধতিতে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সম্পর্কে জানে না। গোয়েন্দাদের ধারণা, জেএমবি’র এই গ্রুপটির বিভিন্ন স্লিপার সেলই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় মতাদর্শের জের ধরে বেছে বেছে হত্যা করে যাচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, খিজির হত্যায় আটককৃত তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেলের বাবার নাম হাবিবউল্লাহ ওরফে মজনু। তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার এলাকার মৌলভীপাড়ায়। তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, খিজির খানকে হত্যা মিশনে ৮-১০ জনের একটি দল কাজ করেছে। এর মধ্যে তারিকুল্লাহ এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলে গোয়েন্দারা তথ্য পায়। এই তথ্যের ভিত্তিতে তারেকের ভাই সফটওয়্যার প্রকৌশলীকে আটক করে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। ভাইয়ের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার রাতে গোয়েন্দা পুলিশ টাঙ্গাইল এলাকা থেকে তারেককে আটক করে। তারেককে আটকের পরপরই ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। একপর্যায়ে সে হত্যাকাণ্ডের কথা স্বীকার করে ও সহযোগীদের নাম বলে। পরে গোয়েন্দা পুলিশের একাধিক দল তারেককে সঙ্গে নিয়ে অভিযান শুরু করে। তবে অভিযানে হত্যাকাণ্ডে অংশ নেয়া অপর কোন সদস্যকে আটক করা হয়েছে কিনা সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তদন্ত সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, খিজির হত্যার রহস্য উদ্ঘাটনের দ্বারপ্রান্তে রয়েছেন তারা। দু-একদিনের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য দেশবাসীকে জানানো হবে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আটককৃত তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেল ২০০৯ সালের ১১ই এপ্রিল রাজধানীর খিলক্ষেত থানাধীন ডুমনি ইউনিয়নের টেকপাড়া এলাকা থেকে সাত সহযোগীসহ র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হয়। সে সময় তারিকুল্লাহ জেএমবির গায়েরি এহসার হিসেবে কাজ করতো। দুই বছর পর ২০১১ সালের ২৬শে এপ্রিল আদালত থেকে জামিন পেয়ে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়ে আসে সে। কিন্তু জেল গেট থেকে র্যাব আবারও তাকে গ্রেপ্তার করে। আবার বছরখানেকের মধ্যে জামিনে বেরিয়ে এসে জেএমবির নজরুল গ্রুপের সঙ্গে যোগ দেয় সে। এরপর পরিকল্পিতভাবে ধর্মীয় মতাদর্শের জের ধরে ‘সাইলেন্ট কিলিং’-এ অংশ নেয়। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, জেএমবি প্রথম থেকেই ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে কাজ করে আসছিল। এই পদ্ধতিতে এক গ্রুপ অপর গ্রুপের সম্পর্কে জানে না। গোয়েন্দাদের ধারণা, জেএমবি’র এই গ্রুপটির বিভিন্ন স্লিপার সেলই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় ধর্মীয় মতাদর্শের জের ধরে বেছে বেছে হত্যা করে যাচ্ছে।
গোয়েন্দা সূত্র জানায়, খিজির হত্যায় আটককৃত তারিকুল্লাহ ওরফে রুবেলের বাবার নাম হাবিবউল্লাহ ওরফে মজনু। তাদের গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার দেলদুয়ার এলাকার মৌলভীপাড়ায়। তার বিরুদ্ধে খিলক্ষেত থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে একটি মামলা রয়েছে।
No comments