১৩ বছর লড়াইয়েও আফগানিস্তানে শান্তি আসেনি: ওবামা
আফগানিস্তানে ১৩ বছর ধরে মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের লড়াইয়ের পরও সেখানে শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়নি বলে স্বীকার করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। সিরিয়া ও ইরাকে ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে লড়াইয়ে দেশ দুটিতে মার্কিন সেনা পাঠানোর ধারণাও নাকচ করে দেন ওবামা। খবর ডনের। গত সোমবার যুক্তরাষ্ট্রের টেলিভিশন ও রেডিও নেটওয়ার্ক সিবিএস নিউজের ‘সিক্সটি মিনিটস’ অনুষ্ঠানে ওবামা আফগানিস্তান, সিরিয়া ও ইরাক পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলেন। ইরাক ও সিরিয়ায় যুক্তরাষ্ট্র কেন সেনা পাঠাতে চায় না—তার ব্যাখ্যায় ওবামা বলেন, ‘এ ক্ষেত্রে আফগানিস্তানের উদাহরণ নেওয়া যেতে পারে। আমরা সেখানে ১৩ বছর ছিলাম। এখনো সেখানে পরিস্থিতি অত্যন্ত কঠোর। কাজেই সিরিয়ায় সেনা পাঠানো হলে এক বছর পর যেকোনোভাবে আমরা সমস্যার সমাধান করতে পারব—এ ধারণা কাল্পনিক।’
তবে সিরিয়ার পরিস্থিতি আফগানিস্তানের থেকে ভিন্ন বলে উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আফগানিস্তানের সরকারই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সেখানে সেনা পাঠানো জন্য বলে। কিন্তু সিরিয়ার বর্তমান সরকার আমাদের আমন্ত্রণ জানায়নি বরং সক্রিয়ভাবেই আমাদের দূরে রেখেছে।’ ওবামা বলেন, তিনি জানেন রিপাবলিকান পার্টির কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যে অসংখ্য সেনা পাঠানোর পক্ষে। তবে এ ব্যাপারে ওই দলের মধ্যেই বিভাজন রয়েছে। ওবামা আরও বলেন, সেখানে সেনা পাঠানো হলে কয়েক হাজার সেনা হতাহত হবে এবং ওয়াশিংটনের কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
তবে সিরিয়ার পরিস্থিতি আফগানিস্তানের থেকে ভিন্ন বলে উল্লেখ করে ওবামা বলেন, ‘তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য আফগানিস্তানের সরকারই যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্রদের সেখানে সেনা পাঠানো জন্য বলে। কিন্তু সিরিয়ার বর্তমান সরকার আমাদের আমন্ত্রণ জানায়নি বরং সক্রিয়ভাবেই আমাদের দূরে রেখেছে।’ ওবামা বলেন, তিনি জানেন রিপাবলিকান পার্টির কেউ কেউ মধ্যপ্রাচ্যে অসংখ্য সেনা পাঠানোর পক্ষে। তবে এ ব্যাপারে ওই দলের মধ্যেই বিভাজন রয়েছে। ওবামা আরও বলেন, সেখানে সেনা পাঠানো হলে কয়েক হাজার সেনা হতাহত হবে এবং ওয়াশিংটনের কয়েক ট্রিলিয়ন ডলার ব্যয় হবে।
No comments