পরিস্থিতির ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে: প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের সুনাম ক্ষুণ্ন করতে এবং একটা পরিস্থিতি
তৈরির লক্ষ্যেই সম্প্রতি দুই বিদেশিকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পরিস্থিতির
ওপর সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তিনি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকারের
‘জিরো টলারেন্স’ নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিওনি কিউলেনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ডাচ দূতের সঙ্গে আলাপকালে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের অব্যাহত অভিযানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ প্রতিবেশী দেশগুলোতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছে।
দেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ‘কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা অশুভ শক্তির যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
নেদারল্যান্ডসের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পানি ব্যবস্থাপনা, নৌ চলাচল, কৃষি এবং উপকূলে ভূমি সৃষ্টির মতো অনেক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নদী খনন, বন্যানিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ, উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ জলবায়ু অভিযোজনবিষয়ক পদক্ষেপে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর আওতায় চলমান যৌথ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত লিওনি কিওলেন সম্প্রতি জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ দুটি পুরস্কার লাভ করায় এবং তাঁর নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
শ্রীলঙ্কাকে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব: বাংলাদেশে যে ২২টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হবে, তার একটিতে বিনিয়োগ করার জন্য শ্রীলঙ্কাকে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার যসোজা গুণাসেকারা গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, হাইকমিশনারকে শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার শ্রীলঙ্কার উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ভূমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যে যাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারেন।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার জাতিসংঘের দুটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি শেখ হাসিনাকে ‘সার্ক পরিবারের গর্ব’ হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের জন্য সমুদ্রপথে নৌ-যোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাব্যতার কথা উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার যসোজা গুণাসেকারা বলেন, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং, জাহাজ চলাচল ও ওষুধশিল্পের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিরাট সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা আরও ওষুধ আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গতকাল বুধবার ঢাকায় নেদারল্যান্ডসের নবনিযুক্ত রাষ্ট্রদূত লিওনি কিউলেনের সঙ্গে সাক্ষাতের সময় এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এই সৌজন্য সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। খবর বাসসের।
সাক্ষাৎ শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী ডাচ দূতের সঙ্গে আলাপকালে জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে তাঁর সরকারের অব্যাহত অভিযানের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, এসব পদক্ষেপ প্রতিবেশী দেশগুলোতে জঙ্গি কর্মকাণ্ড নিয়ন্ত্রণে সহায়ক হয়েছে।
দেশে কয়েকটি রাজনৈতিক দলের ‘কিছু সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের’ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমানে পরিস্থিতি সরকারের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং আমরা অশুভ শক্তির যেকোনো ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে প্রস্তুত রয়েছি।’
নেদারল্যান্ডসের নতুন রাষ্ট্রদূতকে স্বাগত জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, দুই দেশের মধ্যে বিশেষ করে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব, পানি ব্যবস্থাপনা, নৌ চলাচল, কৃষি এবং উপকূলে ভূমি সৃষ্টির মতো অনেক সহযোগিতার ক্ষেত্র রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী নদী খনন, বন্যানিয়ন্ত্রণ অবকাঠামো নির্মাণ, উপকূলীয় এলাকায় সবুজ বেষ্টনী গড়ে তোলাসহ জলবায়ু অভিযোজনবিষয়ক পদক্ষেপে বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০-এর আওতায় চলমান যৌথ কার্যক্রমে সন্তোষ প্রকাশ করেন। রাষ্ট্রদূতকে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত লিওনি কিওলেন সম্প্রতি জাতিসংঘের মর্যাদাপূর্ণ দুটি পুরস্কার লাভ করায় এবং তাঁর নেতৃত্বে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্য (এমডিজি) অর্জিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানান। তিনি আর্থসামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অব্যাহত অগ্রগতির প্রশংসা করেন।
শ্রীলঙ্কাকে প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব: বাংলাদেশে যে ২২টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠিত হবে, তার একটিতে বিনিয়োগ করার জন্য শ্রীলঙ্কাকে প্রস্তাব দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রীলঙ্কার নবনিযুক্ত হাইকমিশনার যসোজা গুণাসেকারা গতকাল প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ প্রস্তাব দেন।
সাক্ষাৎ শেষে ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের জানান, হাইকমিশনারকে শেখ হাসিনা বলেছেন, তাঁর সরকার শ্রীলঙ্কার উদ্যোক্তাদের জন্য অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে ভূমি বরাদ্দ দিতে প্রস্তুত। ইতিমধ্যে যাঁরা বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিনিয়োগ করেছেন, তাঁরা নিজেদের উদ্যোগে অবকাঠামো গড়ে তুলতে পারেন।
শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার জাতিসংঘের দুটি মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কার পাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানান। তিনি শেখ হাসিনাকে ‘সার্ক পরিবারের গর্ব’ হিসেবে অভিহিত করেন।
প্রেস সচিব আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, ভারত ও মালদ্বীপের মধ্যে পর্যটন ও বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচলের জন্য সমুদ্রপথে নৌ-যোগাযোগ স্থাপনের সম্ভাব্যতার কথা উল্লেখ করেন। হাইকমিশনার যসোজা গুণাসেকারা বলেন, বিদ্যুৎ, ব্যাংকিং, জাহাজ চলাচল ও ওষুধশিল্পের ক্ষেত্রে দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতার বিরাট সুযোগ রয়েছে। বাংলাদেশ থেকে শ্রীলঙ্কা আরও ওষুধ আমদানি করতে আগ্রহী বলে জানান তিনি।
No comments