১ শতাংশ ধনীর হাতে বিশ্বের অর্ধেক সম্পদ
সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের হাতেই এখন বিশ্বের ৫০ শতাংশ সম্পদ। আর ৫০ শতাংশ দরিদ্র মানুষের হাতে আছে মাত্র ১ শতাংশ সম্পদ।
ধনী-গরিবের এই বিশাল বৈষম্যের চিত্রটি উঠে এসেছে ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৫-এ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইসের রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০০০ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। প্রতিবেদনে কোনো রকম দেনা ছাড়াই যাঁর সম্পদ ৩ হাজার ২১০ ডলার, তাঁকেই ধনী বলা হয়েছে। আর সম্পদ ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ ডলার হলে তিনি থাকছেন শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর তালিকায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন মুদ্রামানের ব্যাপক তারতম্য ঘটছে। ডলারের বিপরীতে অনেক দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে গত এক বছরে বিশ্বে সম্পদ কমেছে ১২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। সম্পদ কমলেও বৈষম্য বেড়েছে। বেড়েছে ধনীদের হাতে সম্পদের পরিমাণ। বরাবরের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষই বেশি ধনী। তাঁদের হাতেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সম্পদ। তবে বাড়ছে চীনের নাগরিকদের সম্পদের পরিমাণ।
প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১৮ শতাংশ বাস করেন উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে। তাঁদের হাতে আছে ৬৭ শতাংশ সম্পদ। এই দুই অঞ্চলে মানুষের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যত্র ঠিক উল্টো। যেমন, চীন ও ভারত বাদে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বাস থাকলেও সম্পদের পরিমাণ বিশ্বের মোট সম্পদের ১৮ শতাংশ। চীনে বিশ্বের মোট মানুষের ২১ শতাংশের বসবাস, আর তাদের সম্পদ ৯ শতাংশ। আবার দক্ষিণ আমেরিকায় ৮ শতাংশ মানুষের হাতে আছে বিশ্বের ৩ শতাংশ সম্পদ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে এখন ১০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদ আছে বা মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার। যুক্তরাজ্যে আছে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার, জাপানে ৩১ লাখ ২৬ হাজার, ফ্রান্সে ১৭ লাখ ৯১ হাজার, জার্মানিতে ১৫ লাখ ২৫ হাজার এবং চীনে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধনীদের সম্পদ যে হারে বাড়ছে তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ কোটি ৯৩ লাখ।
ভারতে ধনীদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটিতে সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের হাতে আছে দেশটির ৫৩ শতাংশ সম্পদ। ধনী ১০ শতাংশের হাতে আছে ৭৬ শতাংশ সম্পদ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নাম আছে কম সম্পদ থাকা দেশের তালিকায়। বলা হয়েছে, এক শ্রেণির হাতে বিপুল সম্পদ থাকলেও ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত সম্পদ আছে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি। আর ৫ হাজার ডলারের কম সম্পদ আছে এমন দেশগুলো মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য আফ্রিকার। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে কার হাতে কত সম্পদ তার কোনো হিসাব পাওয়া যায় না। তবে আয়ের একটি চিত্র পাওয়া যায়—খানা আয় ও ব্যয় জরিপ। এর সর্বশেষটি হয়েছে ২০১০ সালে। জরিপ বলছে, বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ শতাংশের আয় মোট আয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ, আর সবচেয়ে গরিবের আয় মাত্র দশমিক ৭৮ শতাংশ।
ধনী-গরিবের এই বিশাল বৈষম্যের চিত্রটি উঠে এসেছে ওয়ার্ল্ড ওয়েলথ রিপোর্ট-২০১৫-এ। সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আর্থিক সেবাপ্রতিষ্ঠান ক্রেডিট সুইসের রিসার্চ ইনস্টিটিউট ২০০০ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ করে আসছে। প্রতিবেদনে কোনো রকম দেনা ছাড়াই যাঁর সম্পদ ৩ হাজার ২১০ ডলার, তাঁকেই ধনী বলা হয়েছে। আর সম্পদ ৭ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ ডলার হলে তিনি থাকছেন শীর্ষ ১ শতাংশ ধনীর তালিকায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্ব অর্থনীতিতে এখন মুদ্রামানের ব্যাপক তারতম্য ঘটছে। ডলারের বিপরীতে অনেক দেশের মুদ্রার অবমূল্যায়ন করা হয়েছে। এতে গত এক বছরে বিশ্বে সম্পদ কমেছে ১২ দশমিক ৪ ট্রিলিয়ন ডলার। সম্পদ কমলেও বৈষম্য বেড়েছে। বেড়েছে ধনীদের হাতে সম্পদের পরিমাণ। বরাবরের মতো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মানুষই বেশি ধনী। তাঁদের হাতেই বিশ্বের সবচেয়ে বেশি সম্পদ। তবে বাড়ছে চীনের নাগরিকদের সম্পদের পরিমাণ।
প্রতিবেদন বলছে, বিশ্বের মোট প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ১৮ শতাংশ বাস করেন উত্তর আমেরিকা ও ইউরোপে। তাঁদের হাতে আছে ৬৭ শতাংশ সম্পদ। এই দুই অঞ্চলে মানুষের তুলনায় সম্পদের পরিমাণ অনেক বেশি। অন্যত্র ঠিক উল্টো। যেমন, চীন ও ভারত বাদে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলে ২৪ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের বাস থাকলেও সম্পদের পরিমাণ বিশ্বের মোট সম্পদের ১৮ শতাংশ। চীনে বিশ্বের মোট মানুষের ২১ শতাংশের বসবাস, আর তাদের সম্পদ ৯ শতাংশ। আবার দক্ষিণ আমেরিকায় ৮ শতাংশ মানুষের হাতে আছে বিশ্বের ৩ শতাংশ সম্পদ।
প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, বিশ্বে এখন ১০ লাখ ডলারের বেশি সম্পদ আছে বা মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা ৩ কোটি ৩৭ লাখ ১৭ হাজার। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আছে যুক্তরাষ্ট্রে, ১ কোটি ৫৬ লাখ ৫৬ হাজার। যুক্তরাজ্যে আছে ২৩ লাখ ৬৪ হাজার, জাপানে ৩১ লাখ ২৬ হাজার, ফ্রান্সে ১৭ লাখ ৯১ হাজার, জার্মানিতে ১৫ লাখ ২৫ হাজার এবং চীনে ১৩ লাখ ৩৩ হাজার। প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধনীদের সম্পদ যে হারে বাড়ছে তাতে মনে করা হচ্ছে আগামী পাঁচ বছরে বিশ্বে মিলিয়নিয়ারের সংখ্যা বেড়ে হবে ৪ কোটি ৯৩ লাখ।
ভারতে ধনীদের সংখ্যা বাড়ছে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। দেশটিতে সবচেয়ে ধনী ১ শতাংশের হাতে আছে দেশটির ৫৩ শতাংশ সম্পদ। ধনী ১০ শতাংশের হাতে আছে ৭৬ শতাংশ সম্পদ। প্রতিবেদনে বাংলাদেশের নাম আছে কম সম্পদ থাকা দেশের তালিকায়। বলা হয়েছে, এক শ্রেণির হাতে বিপুল সম্পদ থাকলেও ৫ হাজার থেকে ২৫ হাজার ডলার পর্যন্ত সম্পদ আছে বিশ্বে এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। এই দেশগুলোর মধ্যে আছে চীন, ভারত, রাশিয়া, ব্রাজিল, ইন্দোনেশিয়া ইত্যাদি। আর ৫ হাজার ডলারের কম সম্পদ আছে এমন দেশগুলো মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও মধ্য আফ্রিকার। এর মধ্যে আছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশে কার হাতে কত সম্পদ তার কোনো হিসাব পাওয়া যায় না। তবে আয়ের একটি চিত্র পাওয়া যায়—খানা আয় ও ব্যয় জরিপ। এর সর্বশেষটি হয়েছে ২০১০ সালে। জরিপ বলছে, বাংলাদেশের শীর্ষ ৫ শতাংশের আয় মোট আয়ের প্রায় ২৫ শতাংশ, আর সবচেয়ে গরিবের আয় মাত্র দশমিক ৭৮ শতাংশ।
No comments