দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার তদন্তে বড় অগ্রগতি?
সিজার তাবেলা, কুনিও হোশি |
দুই
বিদেশি নাগরিককে হত্যার তদন্তে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন
সরকারের নীতিনির্ধারকেরা। মামলার তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও বলছেন,
তদন্ত এগিয়েছে। তাঁদের মতে, সরকারকে বিপাকে ফেলতে একটি চক্র ওই দুটি
হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। এর সঙ্গে জঙ্গিদের সম্পৃক্ততারও আভাস দিয়েছেন তাঁরা।
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলাকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে একইভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলা দুটি তদন্তে থানার পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, র্যাবের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।
৫ অক্টোবর পাবনার ঈশ্বরদীতে এক যাজককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একই দিনে রাজধানীতে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে হত্যা করা হয়। দুটি ঘটনাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ঘটিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার সঙ্গেও জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার আভাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের বিষয়ে কিছু না বললেও গতকাল বুধবার পৃথক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, দ্রুতই রহস্য উদ্ঘাটিত হবে। গতকাল সচিবালয়ে দুই বিদেশি নাগরিক ও রাজধানীতে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যানকে হত্যা এবং পাবনায় এক খ্রিষ্টান যাজককে হত্যাচেষ্টার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। দ্রুতই অগ্রগতি জানাতে পারব। আরেকটু অপেক্ষা করেন।’
একই দিনে আইজিপি শহীদুল হক দুই বিদেশি হত্যার বিষয়ে বলেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এখন অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তবে শিগগিরই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সে পর্যন্ত তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন এবং সবার সহযোগিতা ও দোয়া চান। সেগুনবাগিচায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় ও অপরাধ সভায় আইজিপি এ কথা বলেন।
দুই বিদেশি হত্যার ধরন দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা শুরু থেকেই ধারণা দিয়ে আসছিলেন যে দুটি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা একই জায়গা থেকে এসেছে। দুটি হত্যাকাণ্ডেই তিন মোটরসাইকেল আরোহীর কথা বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এঁদের মধ্যে দুজন গুলি করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, আরেকজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষমাণ ছিলেন। তবে একই ব্যক্তিরা দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যায় খুনিরা ৭ দশমিক ৬৫ এমএম (মিলিমিটার) বোরের পিস্তল ব্যবহার করেছে। আর কুনিও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি ছিল নাইন এমএম বোরের পিস্তল। রংপুরে কুনিও হত্যার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা গুলির অংশবিশেষের বিস্ফোরক পরীক্ষার পর গত রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানিয়েছে, গুলশানে সিজার হত্যার ঘটনাস্থলের আশপাশের ১৩টি সড়কের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল আরোহীসহ অন্তত ২০ জনকে সন্দেহের তালিকায় আনা হয়। সেখান থেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংগৃহীত তথ্য এবং আরও কিছু মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সন্দেহের তালিকা ছোট করে তিনজনে নামিয়ে এনেছে। কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই তিনজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও নিশ্চিত হয়েছেন। শিগগিরই তাঁদের ধরা যাবে বলে আশা করছেন গোয়েন্দা সদস্যরা।
আর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এই দুজন হলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী ও নিহত কুনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবীর। এ ঘটনায় রংপুরের পুলিশ রাজশাহী থেকে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে ছেড়ে দেয়। তাঁদের কাছ থেকে কুনিও হত্যার বিষয়ে রংপুরের কর্মকর্তারা কী তথ্য পেলেন, তা জানা যায়নি।
তবে কুনিও হত্যার বিষয়ে র্যাব জানিয়েছে, কুনিও হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালকের তথ্যের সূত্র ধরে তাঁরা একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। ওই ব্যক্তির আরেক সহযোগীও ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। ওই দুজন রংপুরের স্থানীয় সন্ত্রাসী বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলাকে গত ২৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় রাজধানীর গুলশানে গুলি করে হত্যা করা হয়। এরপর ৩ অক্টোবর রংপুরের কাউনিয়ায় জাপানি নাগরিক কুনিও হোশিকে একইভাবে হত্যা করা হয়। হত্যা মামলা দুটি তদন্তে থানার পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ, সিআইডি, পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন, র্যাবের পাশাপাশি সরকারের অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।
৫ অক্টোবর পাবনার ঈশ্বরদীতে এক যাজককে গলা কেটে হত্যার চেষ্টা করা হয়। একই দিনে রাজধানীতে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যান খিজির খানকে হত্যা করা হয়। দুটি ঘটনাই নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন জেএমবি ঘটিয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে। দুই বিদেশি নাগরিককে হত্যার সঙ্গেও জঙ্গিদের সম্পৃক্ততার আভাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা।
তদন্তকারী সংস্থাগুলো এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে তদন্তের বিষয়ে কিছু না বললেও গতকাল বুধবার পৃথক অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এ কে এম শহীদুল হক বলেছেন, দ্রুতই রহস্য উদ্ঘাটিত হবে। গতকাল সচিবালয়ে দুই বিদেশি নাগরিক ও রাজধানীতে পিডিবির সাবেক চেয়ারম্যানকে হত্যা এবং পাবনায় এক খ্রিষ্টান যাজককে হত্যাচেষ্টার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা খুব কাছাকাছি চলে এসেছি। দ্রুতই অগ্রগতি জানাতে পারব। আরেকটু অপেক্ষা করেন।’
একই দিনে আইজিপি শহীদুল হক দুই বিদেশি হত্যার বিষয়ে বলেন, চূড়ান্ত পর্যায়ে না পৌঁছানো পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্তব্য করা যাচ্ছে না। এখন অনুসন্ধানে পাওয়া তথ্য-উপাত্ত যাচাই করে দেখা হচ্ছে। তবে শিগগিরই হত্যার রহস্য উদ্ঘাটিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। সে পর্যন্ত তিনি সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলেন এবং সবার সহযোগিতা ও দোয়া চান। সেগুনবাগিচায় পুলিশের ঢাকা রেঞ্জের উপ-মহাপরিদর্শকের কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা, জননিরাপত্তা, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় ও অপরাধ সভায় আইজিপি এ কথা বলেন।
দুই বিদেশি হত্যার ধরন দেখে পুলিশ কর্মকর্তারা শুরু থেকেই ধারণা দিয়ে আসছিলেন যে দুটি হত্যাকাণ্ডের পরিকল্পনা ও নির্দেশনা একই জায়গা থেকে এসেছে। দুটি হত্যাকাণ্ডেই তিন মোটরসাইকেল আরোহীর কথা বলেছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। এঁদের মধ্যে দুজন গুলি করে হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন, আরেকজন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষমাণ ছিলেন। তবে একই ব্যক্তিরা দুটি হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে তদন্তকারীদের মধ্যে। কারণ হিসেবে তাঁরা বলছেন, ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যায় খুনিরা ৭ দশমিক ৬৫ এমএম (মিলিমিটার) বোরের পিস্তল ব্যবহার করেছে। আর কুনিও হত্যায় ব্যবহৃত অস্ত্রটি ছিল নাইন এমএম বোরের পিস্তল। রংপুরে কুনিও হত্যার ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা গুলির অংশবিশেষের বিস্ফোরক পরীক্ষার পর গত রোববার পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।
ইতালির নাগরিক সিজার তাবেলা হত্যা মামলার তদন্তকারী সংস্থা ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ জানিয়েছে, গুলশানে সিজার হত্যার ঘটনাস্থলের আশপাশের ১৩টি সড়কের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করে মোটরসাইকেল আরোহীসহ অন্তত ২০ জনকে সন্দেহের তালিকায় আনা হয়। সেখান থেকে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সংগৃহীত তথ্য এবং আরও কিছু মাধ্যম থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা সন্দেহের তালিকা ছোট করে তিনজনে নামিয়ে এনেছে। কর্মকর্তারা বিভিন্নভাবে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে ওই তিনজনের সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও নিশ্চিত হয়েছেন। শিগগিরই তাঁদের ধরা যাবে বলে আশা করছেন গোয়েন্দা সদস্যরা।
আর রংপুরে জাপানি নাগরিক কুনিও হত্যা মামলায় এখন পর্যন্ত দুজনকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। এই দুজন হলেন রংপুর মহানগর বিএনপির সদস্য রাশেদ-উন-নবী ও নিহত কুনিওর ব্যবসায়িক সহযোগী হুমায়ুন কবীর। এ ঘটনায় রংপুরের পুলিশ রাজশাহী থেকে দুই ব্যাংক কর্মকর্তাকে ধরে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করে পরে ছেড়ে দেয়। তাঁদের কাছ থেকে কুনিও হত্যার বিষয়ে রংপুরের কর্মকর্তারা কী তথ্য পেলেন, তা জানা যায়নি।
তবে কুনিও হত্যার বিষয়ে র্যাব জানিয়েছে, কুনিও হত্যার প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালকের তথ্যের সূত্র ধরে তাঁরা একজনকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। ওই ব্যক্তির আরেক সহযোগীও ঘটনার পর থেকে গা ঢাকা দিয়েছেন। ওই দুজন রংপুরের স্থানীয় সন্ত্রাসী বলে সংস্থাটি জানিয়েছে।
No comments