পৃথিবীটাই জলের তলায় চলে যাবে?
আমার-আপনার ঘরবাড়ি—সবকিছু চলে যাবে জলের তলায়?
তলিয়ে যাবে জমিজিরেত? আমাদের পরিবার-পরিজনও?
আর বড়জোর হাজার কি দেড় হাজার বছর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোটা পৃথিবীর ‘নিয়তি’ এটাই! যদি এই গ্রহে কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো যত জ্বালানি এখনও মজুত রয়েছে, তার সবটুকুই পুড়ে যায়। আর সেটা হলে আন্টার্কটিকায় যত বরফ রয়েছে, তার সবটুকুই গলে যাবে। সমুদ্রতল উঠে যাবে আরও পঞ্চাশ মিটার উঁচুতে। অনিবার্য হয়ে উঠবে আমাদের সলিলসমাধি!
জার্মানির পোস্টড্যাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফল জানিয়েছে, এভাবেই মানবসভ্যতার বিনাশ হবে। আর তা হয়তো হবে আগামী সহস্রাব্দেই। ওদিকে, ব্রিটেনের হাওয়া-অফিস বলছে, সামনের দু‘বছর চরম গরম পডতে চলেছে গোটা বিশ্বে। তবে শুধু ব্রিটেনেই গ্রীষ্মকালটা হবে এবার অনেকটাই কম গরমের।
এই গ্রহে সবচেয়ে বেশি বরফ রয়েছে আন্টার্কটিকায়। তবে আগের চেয়ে তার পরিমাণ কমেছে। আরও কমবে, অদূর ভবিষ্যতে। আমরাই এতদিন কয়লা, খনিজ তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাস যথেচ্ছ পুড়িয়ে ওই বরফ গলিয়েছি। তাতে ইতিমধ্যেই সমুদ্রতলের উচ্চতা দশ শতাংশ বেড়েছে।
গবেষণা জানাচ্ছে, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’-এর ফলে পৃথিবীর ‘জ্বর’ বাড়লেও আন্টার্কটিকা কিন্তু এখনও ঠান্ডাই রয়েছে। তার তাপমাত্রা এখনও হিমাঙ্কের অনেক নীচে। তবে গত বছরের মে মাসে দেখা গিয়েছে, সেই হাড় হিম-করা আন্টার্কটিকা আর নেই। ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’ বরফ অনেকটাই গলিয়ে দিয়েছে পশ্চিম আন্টার্কটিকার। তাতে যথেষ্টই ক্ষতি হয়েছে আমাদের। ওই গলে যাওয়া বরফই আগামী দু’-এক শতাব্দীর মধ্যে সমুদ্রতলের উচ্চতা কমকরে চার মিটার বাড়িয়ে দেবে।
পূর্ব আন্টার্কটিকার বরফে অবশ্য এখনও চিড় ধরেনি। কিন্তু পৃথিবীতে মজুত কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সবটুকু পুড়ে গেলে, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে সেই বরফও পুরোপুরি গলে যাবে। আমাদের ভয়টা তখনই।
ওই গবেষণা জানিয়েছে, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’-এর জন্য পৃথিবীর গায়ের তাপ যদি দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশি না-বাড়ে, তাহলে সমুদ্রতলের উচ্চতা সামান্য কয়েক মিটার বাড়বে।
কিন্তু পরিস্থিতি যদি হাতের বাইরে চলে যায়? যদি পৃথিবীতে মজুত কয়লা, খনিজ তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাসের পুরোটাই পুড়িয়ে ফেলি আমরা, তাহলে কী হবে? যদি পৃথিবীর ‘জ্বর’ বেড়ে যায় দশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডেরও বেশি?
গবেষণা বলছে, তাহলেই মহা-সর্বনাশ। আমাদের ‘শেষের দিন’ গোনা শুরু করে দিতে হবে। প্রতি ১০ বছরে তখন সমুদ্রতলের উচ্চতা ৩০ সেন্টিমিটার করে বাড়বে। তার ফলে, এই সহস্রাব্দের শেষে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়বে ৩০ মিটার। আর আগামী সহস্রাব্দের মাঝ-পর্বে সেই উচ্চতা ৬০ মিটার বাড়বে।
আমাদের তলিয়ে যাওয়ার দিন তবে খুব দূরে নয়?
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
তলিয়ে যাবে জমিজিরেত? আমাদের পরিবার-পরিজনও?
আর বড়জোর হাজার কি দেড় হাজার বছর।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গোটা পৃথিবীর ‘নিয়তি’ এটাই! যদি এই গ্রহে কয়লা, খনিজ তেল, প্রাকৃতিক গ্যাসের মতো যত জ্বালানি এখনও মজুত রয়েছে, তার সবটুকুই পুড়ে যায়। আর সেটা হলে আন্টার্কটিকায় যত বরফ রয়েছে, তার সবটুকুই গলে যাবে। সমুদ্রতল উঠে যাবে আরও পঞ্চাশ মিটার উঁচুতে। অনিবার্য হয়ে উঠবে আমাদের সলিলসমাধি!
জার্মানির পোস্টড্যাম ইনস্টিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিসার্চের সাম্প্রতিক একটি গবেষণার ফলাফল জানিয়েছে, এভাবেই মানবসভ্যতার বিনাশ হবে। আর তা হয়তো হবে আগামী সহস্রাব্দেই। ওদিকে, ব্রিটেনের হাওয়া-অফিস বলছে, সামনের দু‘বছর চরম গরম পডতে চলেছে গোটা বিশ্বে। তবে শুধু ব্রিটেনেই গ্রীষ্মকালটা হবে এবার অনেকটাই কম গরমের।
এই গ্রহে সবচেয়ে বেশি বরফ রয়েছে আন্টার্কটিকায়। তবে আগের চেয়ে তার পরিমাণ কমেছে। আরও কমবে, অদূর ভবিষ্যতে। আমরাই এতদিন কয়লা, খনিজ তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাস যথেচ্ছ পুড়িয়ে ওই বরফ গলিয়েছি। তাতে ইতিমধ্যেই সমুদ্রতলের উচ্চতা দশ শতাংশ বেড়েছে।
গবেষণা জানাচ্ছে, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’-এর ফলে পৃথিবীর ‘জ্বর’ বাড়লেও আন্টার্কটিকা কিন্তু এখনও ঠান্ডাই রয়েছে। তার তাপমাত্রা এখনও হিমাঙ্কের অনেক নীচে। তবে গত বছরের মে মাসে দেখা গিয়েছে, সেই হাড় হিম-করা আন্টার্কটিকা আর নেই। ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’ বরফ অনেকটাই গলিয়ে দিয়েছে পশ্চিম আন্টার্কটিকার। তাতে যথেষ্টই ক্ষতি হয়েছে আমাদের। ওই গলে যাওয়া বরফই আগামী দু’-এক শতাব্দীর মধ্যে সমুদ্রতলের উচ্চতা কমকরে চার মিটার বাড়িয়ে দেবে।
পূর্ব আন্টার্কটিকার বরফে অবশ্য এখনও চিড় ধরেনি। কিন্তু পৃথিবীতে মজুত কয়লা, খনিজ তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের সবটুকু পুড়ে গেলে, সময়ের সঙ্গে-সঙ্গে সেই বরফও পুরোপুরি গলে যাবে। আমাদের ভয়টা তখনই।
ওই গবেষণা জানিয়েছে, ‘গ্রিনহাউস গ্যাস’-এর জন্য পৃথিবীর গায়ের তাপ যদি দুই ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডের চেয়ে বেশি না-বাড়ে, তাহলে সমুদ্রতলের উচ্চতা সামান্য কয়েক মিটার বাড়বে।
কিন্তু পরিস্থিতি যদি হাতের বাইরে চলে যায়? যদি পৃথিবীতে মজুত কয়লা, খনিজ তেল আর প্রাকৃতিক গ্যাসের পুরোটাই পুড়িয়ে ফেলি আমরা, তাহলে কী হবে? যদি পৃথিবীর ‘জ্বর’ বেড়ে যায় দশ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডেরও বেশি?
গবেষণা বলছে, তাহলেই মহা-সর্বনাশ। আমাদের ‘শেষের দিন’ গোনা শুরু করে দিতে হবে। প্রতি ১০ বছরে তখন সমুদ্রতলের উচ্চতা ৩০ সেন্টিমিটার করে বাড়বে। তার ফলে, এই সহস্রাব্দের শেষে সমুদ্রতলের উচ্চতা বাড়বে ৩০ মিটার। আর আগামী সহস্রাব্দের মাঝ-পর্বে সেই উচ্চতা ৬০ মিটার বাড়বে।
আমাদের তলিয়ে যাওয়ার দিন তবে খুব দূরে নয়?
সুত্রঃ আনন্দবাজার পত্রিকা
No comments