দেশে নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকতা চলছে : বিএফইউজে-ডিইউজের সমাবেশে বক্তারা
বন্ধ
গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির
দাবিতে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন বক্তারা। সমাবেশে বক্তারা
বলেন, যে দেশে গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই সেদেশে গণতন্ত্র টিকে থাকতে পারে
না। এখন যা চলছে তা নিয়ন্ত্রিত সাংবাদিকতা। এ সরকার বাক স্বাধীনতা কেড়ে
নিয়েছে। মানুষের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার বলতে অবশিষ্ট কিছুই নেই।
বক্তারা বলেন, দেশে সুস্থ্য রাজনৈতিক ধারা ফিরিয়ে আনতে হলে গণমাধ্যমের
পূর্ণ স্বাধীনতা দিতে হবে। অবিলম্বে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে। দেশে
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে বিরোধী মত প্রকাশের সুযোগ দিতে হবে।
বিরোধী মত দমন-পীড়নের সংস্কৃতি অব্যাহত থাকলে সরকারই একসময় অস্তীত্বহীন হয়ে
পড়বে। ইতিহাসের আস্তাকুড়ে নিক্ষিপ্ত হবে।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, অনেক সাংবাদিকের রক্তে এই সরকারের হাত রঞ্জিত হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের আমলে ২২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সাংবাদিক হত্যার বিচার করার কথা বললেও কারও কোনো বিচার হয়নি। তিনি বলেন, সাগর-রুনির প্রকৃত খুনীদেরতো গ্রেফতার করাই হয়নি। যারা সাগর-রুনির আন্দোলনের সাথে, রক্তের সাথে বেঈমানী করেছে সরকার তাদের পুরস্কৃত করেছে। এই সরকারের আমলে সত্য বললে নির্যাতন আর মিথ্যা বললে পুরস্কার।
শওকত মাহমুদ বলেন, মাহমুদুর রহমান সেই সাহসি সাংবাদিক যিনি সত্য কথা তুলে ধরেছেন। তিনি ছিলেন নির্ভীক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন মাহমুদুর রহমান। এরকম সত্য কথা বলার জন্য ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক কনক সরোয়ারকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি আজ শুধু সাংবাদিক সমাজের নয়, গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১৩ আগস্ট মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা দুর্নীতি মামলার রায় দেয়া হবে। সরকার মাহমুদুর রহমানের সাথে অন্যায় আচরণ করতে পারে। কিন্তু আমরা আশা করি আদালত ন্যায় বিচার করবে। কারণ মাহমুদুর রহমান সত্যের প্রতীক। নির্ভীক ও সাহসি সাংবাদিক। তিনি সত্য কথা তুলে ধরেছিলেন। আদালত মাহমুদুর রহমানকে খালাস দেবে এটা বাংলার মানুষের প্রত্যাশা। এসময় তিনি আমারদেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টিভিসহ সকল বন্ধ গণমাধ্যম অবিলম্বে খুলে দেয়ারও আহবান জানান।
সমাবেশে শওকত মাহমুদ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তির নিঃশর্ত দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও আগামী ১৩ আগস্ট একইস্থানে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। অনেকগুলো গণমাধ্যম বন্ধ রয়েছে। সাংবাদিকরা আজ নিগৃহিত। গুম, খুন অপরহরণ এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্য কথা বললে এখন হামলা করা হয়, মামলা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে একদলীয় শাসন চলছে। এই জায়গা থেকে যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে।
এম এ আজিজ বলেন, বিরোধী দলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হামলা করে মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না। যদি মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। এসময় তিনি বন্ধ গণমাধ্যম খুলে না দিলে এবং মাহমুদুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য খন্দকার আলমগীর হোসেন।
আরো বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, ডিইউজের সহ সভাপতি সৈয়দ আলী আসগর, শাহীন হাসনাত, ডিইউজের নয়া দিগন্তের ইউনিট চীফ ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়া প্রমুখ।
আজ বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন এই বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে।
সমাবেশে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি শওকত মাহমুদ বলেন, অনেক সাংবাদিকের রক্তে এই সরকারের হাত রঞ্জিত হয়েছে। এই অবৈধ সরকারের আমলে ২২ জন সাংবাদিক খুন হয়েছেন। সাংবাদিক হত্যার বিচার করার কথা বললেও কারও কোনো বিচার হয়নি। তিনি বলেন, সাগর-রুনির প্রকৃত খুনীদেরতো গ্রেফতার করাই হয়নি। যারা সাগর-রুনির আন্দোলনের সাথে, রক্তের সাথে বেঈমানী করেছে সরকার তাদের পুরস্কৃত করেছে। এই সরকারের আমলে সত্য বললে নির্যাতন আর মিথ্যা বললে পুরস্কার।
শওকত মাহমুদ বলেন, মাহমুদুর রহমান সেই সাহসি সাংবাদিক যিনি সত্য কথা তুলে ধরেছেন। তিনি ছিলেন নির্ভীক। দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিহাদ ঘোষণা করেছিলেন মাহমুদুর রহমান। এরকম সত্য কথা বলার জন্য ইটিভির চেয়ারম্যান আবদুস সালাম ও জ্যৈষ্ঠ সাংবাদিক কনক সরোয়ারকে জেলে পুরে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, মাহমুদুর রহমানকে মুক্তি আজ শুধু সাংবাদিক সমাজের নয়, গণদাবিতে পরিণত হয়েছে। তিনি আশা প্রকাশ করেন, আগামী ১৩ আগস্ট মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা দুর্নীতি মামলার রায় দেয়া হবে। সরকার মাহমুদুর রহমানের সাথে অন্যায় আচরণ করতে পারে। কিন্তু আমরা আশা করি আদালত ন্যায় বিচার করবে। কারণ মাহমুদুর রহমান সত্যের প্রতীক। নির্ভীক ও সাহসি সাংবাদিক। তিনি সত্য কথা তুলে ধরেছিলেন। আদালত মাহমুদুর রহমানকে খালাস দেবে এটা বাংলার মানুষের প্রত্যাশা। এসময় তিনি আমারদেশ, দিগন্ত টেলিভিশন, ইসলামিক টিভিসহ সকল বন্ধ গণমাধ্যম অবিলম্বে খুলে দেয়ারও আহবান জানান।
সমাবেশে শওকত মাহমুদ বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দেয়া ও মাহমুদুর রহমানের মুক্তির নিঃশর্ত দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধন ও আগামী ১৩ আগস্ট একইস্থানে গণঅবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব এম এ আজিজ বলেন, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নেই। অনেকগুলো গণমাধ্যম বন্ধ রয়েছে। সাংবাদিকরা আজ নিগৃহিত। গুম, খুন অপরহরণ এখন নিত্য নৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। সত্য কথা বললে এখন হামলা করা হয়, মামলা দেয়া হচ্ছে।
তিনি বলেন, এদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের নামে একদলীয় শাসন চলছে। এই জায়গা থেকে যদি পরিবর্তন করতে হয় তাহলে বন্ধ গণমাধ্যম খুলে দিতে হবে।
এম এ আজিজ বলেন, বিরোধী দলকে মিথ্যা মামলা দিয়ে হামলা করে মাঠে নামতে দেয়া হচ্ছে না। যদি মাহমুদুর রহমানকে মিথ্যা মামলায় সাজা দেয়া হয় তাহলে সাংবাদিক সমাজ মেনে নেবে না। এসময় তিনি বন্ধ গণমাধ্যম খুলে না দিলে এবং মাহমুদুর রহমানকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে বলে জানান।
সমাবেশ পরিচালনা করেন ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের নির্বাহী সদস্য খন্দকার আলমগীর হোসেন।
আরো বক্তব্য দেন জাতীয় প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহ সভাপতি এম আব্দুল্লাহ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রধান, মফস্বল সাংবাদিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি সাখাওয়াত ইবনে মঈন চৌধুরী, ডিইউজের সহ সভাপতি সৈয়দ আলী আসগর, শাহীন হাসনাত, ডিইউজের নয়া দিগন্তের ইউনিট চীফ ফয়েজ উল্লাহ ভুঁইয়া প্রমুখ।
No comments