কেন ভাঙছে সংসার?
বিয়ের
সম্পর্ক নাকি তৈরি হয় স্বর্গে! কিন্তু ভাঙে গিয়ে আদালতে। দশক কাল আগেও
যেখানে ১ হাজারে ১টি বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হত, সেখানে এখন সংখ্যাটা
দাঁড়িয়েছে ১৩-য়। কিন্তু হঠাত্সংখ্যাটা এত বেড়ে যাওয়ার কারণ কী? মনোবিদ
এবং ম্যারেজ কাউন্সিলর ড. নিশা খান্না বলেন, এর জন্য উচ্চাকাঙ্খা এবং একটা
অলীক আশাই প্রধানত দায়ী। বিয়ের আগে সকলেই ভাবেন এটা যেন রূপকথার গল্প। ফলে
এক বিরাট আশা-আকাঙ্খার বোঝা মাখায় নিয়েই বিয়ে করেন অনেকে। আশাহত হতে বেশি
সময় লাগে না। এর থেকেই বদলে যাচ্ছে মানসিকতা। বিশেষত, যাঁরা নতুন বিয়ে
করছেন, তাঁদের মধ্যে মানিয়ে নেওয়ার প্রণতাও কমে যাচ্ছে। এর ফলেই ভাঙছে বহু
ঘর।
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় ভেঙে যাওয়া বিয়েকে জোড়া লাগাতে গিয়ে তিনি এমন সব অদ্ভূত কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হতে দেখেছেন যা শুনে হয়তো লোকে হাসবেন, তবে এমনটাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনে নিঃসন্দেহে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার সংখ্যা ভয়ানক হারে বেড়ে যাতে পারে। প্রাথমিকবাবে ৫টি কারণ তিনি উল্লেখ করেছেন, যার জন্য ডিভোর্সের মামলা হচ্ছে।
১) স্ত্রী যথেষ্ট সুন্দরী নন হয়তো বিশ্বাসযোগ্য নয়, তবে এটাই ডিভোর্সের মামলার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে উঠে এসেছে। গুণটা এখানে একেবারেই বিচার্য বিষয় নয়। রূপে মুগ্ধ না হতে পেরে বহু পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করছেন। এটা ভাবার কারণ নেই, যে অভিভাবকদের ঠিক করে দেওয়া পাত্রীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রেই এই সংখ্যা বেশি। যাঁরা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করছেন, তাঁদের মধ্যেও অনেকে এই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করছেন।
২) শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুটো গয়না দেওয়া হয়েছে একবিংশ শতাব্দীতেও বিয়ের সময় দেওয়া-নেওয়াটা সমাজের রক্ত-মজ্জায় চেপে বসে রয়েছে। বিয়ের সময় ঝুটো গয়না দেওয়া হয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে অনেক মহিলারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরিই অভিযোগটি করা হচ্ছে পাত্র পক্ষের বাবা-মায়ের দিকে। অনেক মহিলার বক্তব্য তাঁদের ঠকানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধেই বিয়ের সম্পর্কে ভেঙে দেওয়ার কথা চিন্তা করছেন তাঁরা।
৩) অনুষ্ঠানে স্বামীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বলা হয়েছে আজ্ঞা হ্যাঁ, এটাও একটা কারণ। ড. নিশার মতে, কিছু মহিলা রয়েছেন যাঁরা বাস্তবের একটা দিককে সম্পূর্ণ দেখতে পান না। খুব সামান্য কারণেও তাই তাঁদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। সামাজিক রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে অনেক স্ত্রী শুধু এটা বিচার করতেই ব্যস্ত থাকেন, আমি নীচু হব কেন? ফলে এ সমস্ত কারণেও বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা।
৪) স্বামী সমাজে অচল স্বামী যেমন পোশাক পরিচ্ছদ পরেন, তাঁকে নিয়ে জনসমক্ষে বেরনো যায় না। তিনি বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তা বলারও অনুপযুক্ত। ভারতীয় পুরুষদের মতো মহিলারাও তাঁদের স্বামীর পোশাক-পরিচ্ছদ, কথাবার্তার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করছেন। এ কারণে মামলার সংখ্যাটাও চমকে দেওয়ার মতো। ড. খান্না-র মতে, বিয়ের আগে কেন তাঁরা এই সামান্য ব্যাপারটি দেখে নিতে পারেন না, যার জন্য একটা ঘর-সংসার ভেঙে দিতে হচ্ছে।
৫) আগে অনেক সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতাম বড় বাড়ি, বড় ঘর, মুখের সামগ্রীর কোনও অভাবই ছিল না। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে সে সব কিছুই পাচ্ছেন না। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হচ্ছে এ কারণেও। এটা যে শুধু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে হচ্ছে তা নয়। পাত্র-পাত্রী নিজেরা দেখেশুনে বিয়ে করলেও এ সমস্যার কারণে মাস খানেক, কী বছরের মধ্যেই বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। কখনও সম্পূর্ণ বৈষয়িক কারণ, কখনও শাশুড়ির গঞ্জনার অভিযোগে মাত্র বছর খানেকের মধ্যে বিয়ে ভাঙতে আদালতে যাচ্ছেন স্ত্রী-রা। ড. খান্নার মতে, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র নারীদের ক্ষেত্রেই নয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে ভারতী প্রেক্ষাপটে যে হেতু মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে চলে যান, তাই দায়টা অনেকাংশে মেয়েদের উপর বর্তায়। এ ছাড়াও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে অভিভাবকদের অত্যন্ত নাক গলানোটাও ভাঙছে বহু ঘর।
সূত্র: এই সময়
তিনি আরও জানান, দীর্ঘ দিন ধরে প্রায় ভেঙে যাওয়া বিয়েকে জোড়া লাগাতে গিয়ে তিনি এমন সব অদ্ভূত কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হতে দেখেছেন যা শুনে হয়তো লোকে হাসবেন, তবে এমনটাও ঘটছে প্রতিনিয়ত। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনে নিঃসন্দেহে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলার সংখ্যা ভয়ানক হারে বেড়ে যাতে পারে। প্রাথমিকবাবে ৫টি কারণ তিনি উল্লেখ করেছেন, যার জন্য ডিভোর্সের মামলা হচ্ছে।
১) স্ত্রী যথেষ্ট সুন্দরী নন হয়তো বিশ্বাসযোগ্য নয়, তবে এটাই ডিভোর্সের মামলার অন্যতম প্রধান কারণ হিসাবে উঠে এসেছে। গুণটা এখানে একেবারেই বিচার্য বিষয় নয়। রূপে মুগ্ধ না হতে পেরে বহু পুরুষ বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করছেন। এটা ভাবার কারণ নেই, যে অভিভাবকদের ঠিক করে দেওয়া পাত্রীকে বিয়ে করার ক্ষেত্রেই এই সংখ্যা বেশি। যাঁরা নিজেরা পছন্দ করে বিয়ে করছেন, তাঁদের মধ্যেও অনেকে এই কারণেই বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করছেন।
২) শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুটো গয়না দেওয়া হয়েছে একবিংশ শতাব্দীতেও বিয়ের সময় দেওয়া-নেওয়াটা সমাজের রক্ত-মজ্জায় চেপে বসে রয়েছে। বিয়ের সময় ঝুটো গয়না দেওয়া হয়েছে, এই কারণ দেখিয়ে অনেক মহিলারা আদালতের দ্বারস্থ হচ্ছেন। এ ক্ষেত্রে সরাসরিই অভিযোগটি করা হচ্ছে পাত্র পক্ষের বাবা-মায়ের দিকে। অনেক মহিলার বক্তব্য তাঁদের ঠকানো হয়েছে। এর বিরুদ্ধেই বিয়ের সম্পর্কে ভেঙে দেওয়ার কথা চিন্তা করছেন তাঁরা।
৩) অনুষ্ঠানে স্বামীর পা ছুঁয়ে প্রণাম করতে বলা হয়েছে আজ্ঞা হ্যাঁ, এটাও একটা কারণ। ড. নিশার মতে, কিছু মহিলা রয়েছেন যাঁরা বাস্তবের একটা দিককে সম্পূর্ণ দেখতে পান না। খুব সামান্য কারণেও তাই তাঁদের বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। সামাজিক রীতিনীতিকে উপেক্ষা করে অনেক স্ত্রী শুধু এটা বিচার করতেই ব্যস্ত থাকেন, আমি নীচু হব কেন? ফলে এ সমস্ত কারণেও বাড়ছে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা।
৪) স্বামী সমাজে অচল স্বামী যেমন পোশাক পরিচ্ছদ পরেন, তাঁকে নিয়ে জনসমক্ষে বেরনো যায় না। তিনি বুদ্ধিদীপ্ত কথাবার্তা বলারও অনুপযুক্ত। ভারতীয় পুরুষদের মতো মহিলারাও তাঁদের স্বামীর পোশাক-পরিচ্ছদ, কথাবার্তার কারণে বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা করছেন। এ কারণে মামলার সংখ্যাটাও চমকে দেওয়ার মতো। ড. খান্না-র মতে, বিয়ের আগে কেন তাঁরা এই সামান্য ব্যাপারটি দেখে নিতে পারেন না, যার জন্য একটা ঘর-সংসার ভেঙে দিতে হচ্ছে।
৫) আগে অনেক সুখে-স্বাচ্ছন্দ্যে থাকতাম বড় বাড়ি, বড় ঘর, মুখের সামগ্রীর কোনও অভাবই ছিল না। বিয়ের পরে শ্বশুরবাড়িতে সে সব কিছুই পাচ্ছেন না। বিবাহ বিচ্ছেদের মামলা হচ্ছে এ কারণেও। এটা যে শুধু অ্যারেঞ্জ ম্যারেজের ক্ষেত্রে হচ্ছে তা নয়। পাত্র-পাত্রী নিজেরা দেখেশুনে বিয়ে করলেও এ সমস্যার কারণে মাস খানেক, কী বছরের মধ্যেই বিয়ে ভেঙে যাচ্ছে। কখনও সম্পূর্ণ বৈষয়িক কারণ, কখনও শাশুড়ির গঞ্জনার অভিযোগে মাত্র বছর খানেকের মধ্যে বিয়ে ভাঙতে আদালতে যাচ্ছেন স্ত্রী-রা। ড. খান্নার মতে, পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নেওয়ার প্রবণতা দিন দিন কমে যাচ্ছে। এটা শুধুমাত্র নারীদের ক্ষেত্রেই নয়, পুরুষদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। তবে ভারতী প্রেক্ষাপটে যে হেতু মেয়েরা বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে চলে যান, তাই দায়টা অনেকাংশে মেয়েদের উপর বর্তায়। এ ছাড়াও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের মধ্যে অভিভাবকদের অত্যন্ত নাক গলানোটাও ভাঙছে বহু ঘর।
সূত্র: এই সময়
No comments