হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তে পুলিশ-শরণার্থী সংঘর্ষ
হাঙ্গেরি-সার্বিয়া
সীমান্তে প্রবেশের সময় পুলিশের সঙ্গে শরণার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। বুধবার
হাঙ্গেরি-সার্বিয়া সীমান্তে সার্বিয়ান শহর হরগোসে পুলিশের সঙ্গে
শরণার্থীদের সংঘর্ষ হয়েছে। পুলিশ শরণার্থীদের লক্ষ্য করে কাঁদানে গ্যাস ও
জলকামান ছুড়েছে। এ সময় শরণার্থীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল, বোতল ও
পাথর ছুড়ে মারে। শরণার্থীরা জার্মানি ও হাঙ্গেরি যেতে যায়।
এদিকে এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরিতে প্রবেশের পথ বন্ধ। শরণার্থীরা তাই অন্য পথ বেছে নিচ্ছে। সার্বিয়া থেকে সীমানা পেরিয়ে বুধবার ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকেছে প্রায় ১৫০ জন শরণার্থী। সেখান থেকে স্লোভেনিয়া হয়ে উত্তর ইউরোপের পথ ধরবে তারা। লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমৃদ্ধ কোনো দেশে আশ্রয়।
হাঙ্গেরির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজারো মানুষ এখন বলকান অঞ্চলে ঘুরছে। উত্তর বা পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার জন্য তারা ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়ার ভূখণ্ড অতিক্রম করার চেষ্টা করতে পারে। এ দুটি দেশ ইইউর অন্তর্ভুক্ত হলেও শেংগেন অঞ্চলের বাইরে। শরণার্থীদের আপাতত জায়গা দিলেও পরে তাদের কাঙ্ক্ষিত অন্য দেশের ‘পথ দেখিয়ে দিতে’ প্রস্তুত রয়েছে ক্রোয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ আজ পার্লামেন্টে এ কথা বলেছেন। মূলত সিরিয়া থেকে ইউরোপে গেছে এসব মানুষ। তারা জার্মানিতে যেতে চায়। কিন্তু এই শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।
শত শত অভিবাসী এখনো সার্বিয়ায় হাঙ্গেরি সীমান্তের কাছে রয়ে গেছে। বুদাপেস্টের কর্তৃপক্ষ ওই সীমান্ত এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং শরণার্থীদের প্রবেশ রুখতে শত শত সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করে। সীমান্ত পেরিয়ে যে রেলপথে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপীয় শেংগেন অঞ্চলে (পাসপোর্ট ভিসামুক্ত চলাচলের সুবিধা রয়েছে) প্রবেশ করে, হাঙ্গেরির পুলিশ সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে তারা আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৬৭ জন আশ্রয়প্রার্থীকে আটক করেছে।
ইইউর সীমান্ত সংস্থা বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ লাখ অভিবাসী ও শরণার্থী ইইউর বিভিন্ন দেশের সীমান্তে গেছে। এসব মানুষের অধিকাংশই সিরিয়া থেকে পালিয়েছে। দেশটিতে ২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। গত সোমবার পর্যন্ত শরণার্থীদের অনেকে হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানিতে পৌঁছায়। কিন্তু এ জনস্রোত ঠেকাতে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্তে কড়াকড়ি এখন অনেক বেশি। হাঙ্গেরির সরকার বলেছে, তারা রোমানিয়া সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারে। কারণ, শরণার্থীরা ওই সীমান্তপথেও প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। তবে রোমানিয়া বলেছে, হাঙ্গেরি এ ধরনের কাজ করলে সেটা ‘ইউরোপীয় চেতনাবিরোধী’ হবে।
এদিকে এএফপি, রয়টার্স, বিবিসি ও আল-জাজিরার খবরে বলা হয়েছে, হাঙ্গেরিতে প্রবেশের পথ বন্ধ। শরণার্থীরা তাই অন্য পথ বেছে নিচ্ছে। সার্বিয়া থেকে সীমানা পেরিয়ে বুধবার ক্রোয়েশিয়ায় ঢুকেছে প্রায় ১৫০ জন শরণার্থী। সেখান থেকে স্লোভেনিয়া হয়ে উত্তর ইউরোপের পথ ধরবে তারা। লক্ষ্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সমৃদ্ধ কোনো দেশে আশ্রয়।
হাঙ্গেরির পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় হাজারো মানুষ এখন বলকান অঞ্চলে ঘুরছে। উত্তর বা পশ্চিম ইউরোপে যাওয়ার জন্য তারা ক্রোয়েশিয়া ও রোমানিয়ার ভূখণ্ড অতিক্রম করার চেষ্টা করতে পারে। এ দুটি দেশ ইইউর অন্তর্ভুক্ত হলেও শেংগেন অঞ্চলের বাইরে। শরণার্থীদের আপাতত জায়গা দিলেও পরে তাদের কাঙ্ক্ষিত অন্য দেশের ‘পথ দেখিয়ে দিতে’ প্রস্তুত রয়েছে ক্রোয়েশিয়া। দেশটির প্রধানমন্ত্রী জোরান মিলানোভিচ আজ পার্লামেন্টে এ কথা বলেছেন। মূলত সিরিয়া থেকে ইউরোপে গেছে এসব মানুষ। তারা জার্মানিতে যেতে চায়। কিন্তু এই শরণার্থীদের জায়গা দেওয়া নিয়ে ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি তৈরি হয়েছে।
শত শত অভিবাসী এখনো সার্বিয়ায় হাঙ্গেরি সীমান্তের কাছে রয়ে গেছে। বুদাপেস্টের কর্তৃপক্ষ ওই সীমান্ত এলাকায় গতকাল মঙ্গলবার জরুরি অবস্থা ঘোষণা করে এবং শরণার্থীদের প্রবেশ রুখতে শত শত সেনা ও পুলিশ মোতায়েন করে। সীমান্ত পেরিয়ে যে রেলপথে হাজার হাজার শরণার্থী ইউরোপীয় শেংগেন অঞ্চলে (পাসপোর্ট ভিসামুক্ত চলাচলের সুবিধা রয়েছে) প্রবেশ করে, হাঙ্গেরির পুলিশ সেটা বন্ধ করে দিয়েছে। অনুপ্রবেশের চেষ্টার অভিযোগে তারা আজ শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৩৬৭ জন আশ্রয়প্রার্থীকে আটক করেছে।
ইইউর সীমান্ত সংস্থা বলছে, চলতি বছর এ পর্যন্ত অন্তত পাঁচ লাখ অভিবাসী ও শরণার্থী ইইউর বিভিন্ন দেশের সীমান্তে গেছে। এসব মানুষের অধিকাংশই সিরিয়া থেকে পালিয়েছে। দেশটিতে ২০১১ সাল থেকে গৃহযুদ্ধ চলছে। গত সোমবার পর্যন্ত শরণার্থীদের অনেকে হাঙ্গেরি এবং অস্ট্রিয়া হয়ে জার্মানিতে পৌঁছায়। কিন্তু এ জনস্রোত ঠেকাতে জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার সীমান্তে কড়াকড়ি এখন অনেক বেশি। হাঙ্গেরির সরকার বলেছে, তারা রোমানিয়া সীমান্তেও কাঁটাতারের বেড়া দিতে পারে। কারণ, শরণার্থীরা ওই সীমান্তপথেও প্রবেশের চেষ্টা করতে পারে। তবে রোমানিয়া বলেছে, হাঙ্গেরি এ ধরনের কাজ করলে সেটা ‘ইউরোপীয় চেতনাবিরোধী’ হবে।
সার্বিয়া সীমান্তে সন্তানকে জড়িয়ে ধরে কাঁদছেন অসহায় এক বাবা। হাঙ্গেরির পুলিশের সঙ্গে শরণার্থীদের সংঘর্ষ চলাকালে আহত হয়েছেন তিনি। ছবিটি গতকালের। ছবি: রয়টার্স |
No comments