পর্নো ভিডিও দেখার জেরে স্বামীকে হত্যা...
এক
তুর্কি স্ত্রী তার স্বামীর গলা কেটে হত্যার পর পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ
করেছেন। জার্মানির পর্নো ভিডিওতে যেসব দৃশ্য দেখেছিলেন স্বামী, সেগুলো
স্ত্রী গোনুলকে (৪৯) করতে বলতেন তিনি। স্ত্রী মাঝে-মধ্যে এহেন প্রস্তাবে
রাজি না হওয়ায়, তাকে প্রায়ই মারধর করতেন স্বামী। এভাবে ২০ দিন কেটে যাওয়ার
পর পরিস্থিতি চরম আকার ধারণ করলে, একদিন গোনুল তার ৬৭ বছর বয়সী স্বামীকে
হত্যা করেন। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি। আইনজীবীদের কাছে দেয়া
জবানবন্দিতে গোনুল বলেছেন, প্রথম ২০ দিন সবকিছুই ছিল ঠিকঠাক। কিন্তু, এরপর
ঘরোয়া প্রতিহিংসা শুরু হয়। সকাল হওয়া পর্যন্ত জার্মানির পর্নো ছবি ও ভিডিও
দেখতেন স্বামী এবং আমাকেও সেগুলো করতে বলতেন। আমি তা করতে রাজি না হলেই,
তিনি আমাকে মারধর করতেন। শেষ পর্যন্ত পুলিশের কাছে অভিযোগ করেন গোনুল এবং
সহিংসতার মাত্রা আরও অনেক বেড়ে যায়। এরকমই এক ঘটনায় উত্তপ্ত বাক-বিত-ার
মধ্যে ওই ব্যক্তির আরেক পক্ষের স্ত্রীর পুত্র একটি ভোঁতা বস্তু দিয়ে তার
মাথায় আঘাত করেন। এ সময় রান্নাঘরের একটি ছুরি দিয়ে স্বামীর গলা কেটে তাকে
হত্যা করেন স্ত্রী। এরপর তিনি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেন। গোনুলকে
রিমান্ডে নেয়া হয়েছে। অচিরেই তার বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে বলে জানা গেছে।
একসঙ্গে সুখী জীবনযাপনের প্রতিশ্রুতি দেয়ায় গোনুল সংসার জীবনে পা বাড়ানোর
সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বলে জানান। তুর্কি কর্তৃপক্ষ স্বীকার করছে, দেশটির মূল
সমস্যাগুলোর একটি ঘরোয়া সহিংসতা। প্রতি বছর ঘরোয়া প্রতিহিংসার জেরে শ’ শ’
নারী প্রাণ হারান। স্বামী মারধর করার পর খুব অল্প সংখ্যক ঘটনায় স্ত্রী তার
স্বামীকে হত্যার পথ বেছে নেন।
No comments