জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতি প্রত্যাখ্যান করায় ধন্যবাদ -দিল্লিবাসীকে কেজরিওয়াল
দিল্লির
ভোটাররা ‘জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতিকে’ প্রত্যাখ্যান করায় তাদের ধন্যবাদ
দিয়েছেন ভারতের আম আদমি পার্টির (এএপি) নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। তবে
কেন্দ্রফেরত জরিপে হারের স্পষ্ট ইঙ্গিত থাকলেও পরাজয় মানতে অস্বীকৃতি
জানিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (বিজেপি)। খবর হিন্দুস্তান টাইমস ও
এনডিটিভির।
কেন্দ্রফেরত সাতটি জরিপের গড় ফলাফলে দেখা গেছে, এএপি ৪২টি আসন পেতে যাচ্ছে। এ জরিপে বিজেপির আসনসংখ্যা আগের জরিপগুলো থেকে আরও কমে ২৬-এ পৌঁছে। বিপুল বিজয়ের ইঙ্গিতে উল্লসিত এএপি সমর্থকেরা। তবে জরিপের ফলকে আমলে না নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বলছে, নির্বাচনে বিজয়ী হবে তারাই। অন্যদিকে দৃশ্যত শোচনীয় ফল করতে যাচ্ছে কংগ্রেস। দু-একটি কেন্দ্রফেরত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, তারা একটিও আসন পাবে না।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। নির্বাচনের আগেও একাধিক জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছিল, এএপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তাদের পাওয়া আসনের সংখ্যা ৩৬ থেকে ৩৮-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। ওই সব জরিপে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা বিজেপি ২৯টির বেশি আসন পাবে না। জরিপগুলো তখন কংগ্রেসকে চারটির বেশি আসন দেয়নি।
উল্লসিত এএপি শিবির দলটির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে ব্যগ্র হয়ে আছে। এই বিজয়কে তারা লোকসভার নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছে। কেজরিওয়াল ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারানসি আসনে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
কেন্দ্রফেরত জরিপের ফল দেখার পর কেজরিওয়াল টুইটারে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এএপির নিঃস্বার্থ প্রতিটি কর্মীকে আমার ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। তাঁরা রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। দিল্লিবাসীর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আপনারা সত্যিই অসাধারণ। আপনারা জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আশা করছি কেন্দ্রফেরত জরিপের ফলই চূড়ান্ত ফল হবে।’
এখনো আশাবাদী বিজেপি: কেন্দ্রফেরত জরিপে নিশ্চিত পরাজয়ের আভাসেও বিজেপি শিবির হাল ছাড়ছে না। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। দলটি এখনো দিল্লিতে সরকার গঠনে আস্থাশীল। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার গতকাল বলেন, ‘কেন্দ্রফেরত জরিপ হয়েছে। তবে আমরা মাঠের বাস্তবতা জানি। আমাদের কর্মীরা সারা দিন খেটেছেন। মানুষ দল বেঁধে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বিজেপি জিতবে এবং সরকার গঠন করবে। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।’
বিজেপির দিল্লি রাজ্য কমিটির সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়ও বলেন, ‘যে হারে মানুষের ঢল দেখেছি, তাতে বিজয় বিজেপিরই হবে।’
তবে বিজেপির পুরোনো নেতারা যা-ই বলুন, দিল্লি নির্বাচনে দলটির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী কিরণ বেদীর কথায় আস্থার অভাব স্পষ্ট। ভোট হয়ে যাওয়ার পর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজনীতিতে নবাগত কিরণ বলেন, তিনি যেকোনো ধরনের ফলাফল মেনে নেবেন। এবং ফলাফল যা-ই হোক দায় তাঁর।
জরিপ অনুযায়ী হাতে গোনা কয়েকটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা কংগ্রেসের। তবে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা এর পরও আশা করছেন, ২০১৩ সালের চেয়ে তাঁরা এবার ভালো ফল করবেন। দিল্লি বিধানসভার গত নির্বাচনে কংগ্রেস আটটি আসন পেয়েছিল।
কেন্দ্রফেরত সাতটি জরিপের গড় ফলাফলে দেখা গেছে, এএপি ৪২টি আসন পেতে যাচ্ছে। এ জরিপে বিজেপির আসনসংখ্যা আগের জরিপগুলো থেকে আরও কমে ২৬-এ পৌঁছে। বিপুল বিজয়ের ইঙ্গিতে উল্লসিত এএপি সমর্থকেরা। তবে জরিপের ফলকে আমলে না নিয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি বলছে, নির্বাচনে বিজয়ী হবে তারাই। অন্যদিকে দৃশ্যত শোচনীয় ফল করতে যাচ্ছে কংগ্রেস। দু-একটি কেন্দ্রফেরত জরিপের ফলাফলে দেখা গেছে, তারা একটিও আসন পাবে না।
গত শনিবার অনুষ্ঠিত ৭০ আসনের দিল্লি বিধানসভার নির্বাচনের ফল ঘোষণা করা হবে আগামীকাল মঙ্গলবার। নির্বাচনের আগেও একাধিক জরিপের ফলাফলে বলা হয়েছিল, এএপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে। তাদের পাওয়া আসনের সংখ্যা ৩৬ থেকে ৩৮-এর মধ্যে ঘোরাফেরা করেছে। ওই সব জরিপে বলা হয়, কেন্দ্রীয় সরকারে থাকা বিজেপি ২৯টির বেশি আসন পাবে না। জরিপগুলো তখন কংগ্রেসকে চারটির বেশি আসন দেয়নি।
উল্লসিত এএপি শিবির দলটির প্রধান অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখতে ব্যগ্র হয়ে আছে। এই বিজয়কে তারা লোকসভার নির্বাচনে পরাজয়ের প্রতিশোধ হিসেবেও দেখছে। কেজরিওয়াল ওই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে বারানসি আসনে দাঁড়িয়ে বিপুল ভোটে হেরে গিয়েছিলেন।
কেন্দ্রফেরত জরিপের ফল দেখার পর কেজরিওয়াল টুইটারে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘এএপির নিঃস্বার্থ প্রতিটি কর্মীকে আমার ধন্যবাদ ও অভিনন্দন। তাঁরা রাত-দিন কঠোর পরিশ্রম করেছেন। দিল্লিবাসীর প্রতি আমার কৃতজ্ঞতা। আপনারা সত্যিই অসাধারণ। আপনারা জাতপাত ও ধর্মের রাজনীতিকে প্রত্যাখ্যান করেছেন। আশা করছি কেন্দ্রফেরত জরিপের ফলই চূড়ান্ত ফল হবে।’
এখনো আশাবাদী বিজেপি: কেন্দ্রফেরত জরিপে নিশ্চিত পরাজয়ের আভাসেও বিজেপি শিবির হাল ছাড়ছে না। নির্বাচনের পর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বিজেপির সভাপতি অমিত শাহর সঙ্গে বৈঠক করেন। দলটি এখনো দিল্লিতে সরকার গঠনে আস্থাশীল। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনন্ত কুমার গতকাল বলেন, ‘কেন্দ্রফেরত জরিপ হয়েছে। তবে আমরা মাঠের বাস্তবতা জানি। আমাদের কর্মীরা সারা দিন খেটেছেন। মানুষ দল বেঁধে বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। ১০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। বিজেপি জিতবে এবং সরকার গঠন করবে। বিজেপি নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবে।’
বিজেপির দিল্লি রাজ্য কমিটির সভাপতি সতীশ উপাধ্যায়ও বলেন, ‘যে হারে মানুষের ঢল দেখেছি, তাতে বিজয় বিজেপিরই হবে।’
তবে বিজেপির পুরোনো নেতারা যা-ই বলুন, দিল্লি নির্বাচনে দলটির মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থী কিরণ বেদীর কথায় আস্থার অভাব স্পষ্ট। ভোট হয়ে যাওয়ার পর শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে রাজনীতিতে নবাগত কিরণ বলেন, তিনি যেকোনো ধরনের ফলাফল মেনে নেবেন। এবং ফলাফল যা-ই হোক দায় তাঁর।
জরিপ অনুযায়ী হাতে গোনা কয়েকটি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা কংগ্রেসের। তবে দলটির জ্যেষ্ঠ নেতারা এর পরও আশা করছেন, ২০১৩ সালের চেয়ে তাঁরা এবার ভালো ফল করবেন। দিল্লি বিধানসভার গত নির্বাচনে কংগ্রেস আটটি আসন পেয়েছিল।
No comments