বার্ন ইউনিটে সাতজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক- দগ্ধ শরীর দুঃসহ স্মৃতি তাড়া করে হানিফকে by শহিদুল ইসলাম রাজী
ঢামেকে বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হানিফ |
ওরা
তিনজনÑ রাশেদুল, ইউসুফ ও হানিফ। বাসে বসেছিলেন পাশাপাশি সিটে। শেষ রাতে
হঠাৎ বিভীষিকায় শেষ রক্ষা হয়নি ইউসুফ-রাশেদুলের। হানিফের ঠাঁই হয় ঢাকা
মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে। চৌদ্দগ্রামে বাসে পেট্রলবোমায় দগ্ধ হানিফের
শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। একটু একটু করে সেরেও উঠছেন তিনি। কিন্তু দগ্ধ
শরীরে দুঃসহ সেই স্মৃতি আর স্বজন হারানোর বেদনা কিছুতেই ভুলতে পারছেন না
তিনি। হানিফ জানান, বাসে আগুন ধরে যেতেই সবাই দরজার দিকে ছুটলেন।
কিন্তু তাড়াহুড়োর কারণে দরজা খুলতে পারছিলেন না কেউ। উপায়ান্ত না দেখে
দরজার কাঁচ ভেঙে নিচে লাফিয়ে পড়েন তিনি। ততক্ষণে ভেতরে আটকে পড়া ইউসুফ ও
রাশেদুলের শরীরে আগুন ধরে গেছে। ঘটনাস্থলেই পুড়ে অঙ্গার হয়ে যান ইউসুফ।
দগ্ধ রাশেদুলের মৃত্যু হয় চিকিৎসাধীন অবস্থায়। হানিফের বড় ভাই ইউসুফ ও
রাশেদুল ভাতিজা। সেই বিভীষিকাময় রাতের দুঃসহ স্মৃতি তাড়া করছে তাকে। চোখের
সামনে আপনজন পুড়ে অঙ্গার হওয়ার বর্ণনা দিয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হানিফ বলেন, বাসের দরজার কাঁচ ভেঙে বের না হলে
নিজেও পুড়ে মরতেন।
ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, টানা অবরোধে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ১২৪ জন বার্ন ইউনিট থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনো চিকিৎসাধীন ৬৩ জন। দগ্ধদের মধ্যে অনেকেরই মুখ ও হাত পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে আরো আটজনকে।
জানা গেছে, হানিফের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার শাহাগচান্দা গ্রামে। চার ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। এই দম্পতির বড় ছেলে সাজিদ স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। শিহাব (৪) ও শাহীন (২) নামে আরো দুই সন্তান রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে থেকে কৃষিপণ্যের ব্যবসা করেন তিনি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হানিফের ভাতিজা রাশেদুল ও বড় ভাই ইউসুফের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। বিদায় জানাতে তাদের সাথে ঢাকা আসছিলেন তিনি।
২ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে কে বা কারা। এতে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে সাতজনের মৃত্যু হয়। ওই সাতজনের একজন ইউসুফ। ঘটনায় দগ্ধ ছয়জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন ভাতিজা রাশেদুলের মৃত্যু হয়।
হানিফের শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হানিফ একটু একটু করে সেরে উঠলেও সেই দিনের স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তিনি।
হানিফ বলেন, এটা কী ধরনের নৃশংসতা? যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েও যদি বাসে আগুন দেয়া হতো তাহলে এতগুলো মানুষ মরত না। মানুষগুলো পুড়ত না।
এ দিকে গত বুধবার রাতে গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে বলাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ওই ঘটনায় দগ্ধ শিশু মরিয়ম রূপা (৬) ও রাকিব মিয়ার (১২) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রূপাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রাইভেট কার চালক আবুল কালাম, যশোরের ট্রাকের হেলপার মুরাদ মোল্লা, রংপুরের তছিরন বেগম, ঠিকানাহীন শিশু জাকির হোসেন, সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, সিলেটের ট্রাকচালক বকুল দেবনাথ, ঠিকাদার নূর আলম, লক্ষীপুরের পিকআপ ভ্যান চালক কামাল হোসেন ও কক্সবাজারের যুবক রাশেদুল ইসলাম।
ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটের আবাসিক সার্জন ডা. পার্থ শংকর পাল জানান, টানা অবরোধে পেট্রলবোমায় দগ্ধ ১২৪ জন বার্ন ইউনিট থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন। এখনো চিকিৎসাধীন ৬৩ জন। দগ্ধদের মধ্যে অনেকেরই মুখ ও হাত পুড়ে গেছে। তাদের মধ্যে সাতজনকে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) রাখা হয়েছে। হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিটে (এইচডিইউ) রাখা হয়েছে আরো আটজনকে।
জানা গেছে, হানিফের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়ার শাহাগচান্দা গ্রামে। চার ভাই, তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। স্ত্রীর নাম আনোয়ারা বেগম। এই দম্পতির বড় ছেলে সাজিদ স্থানীয় একটি স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্র। শিহাব (৪) ও শাহীন (২) নামে আরো দুই সন্তান রয়েছে। গ্রামের বাড়িতে থেকে কৃষিপণ্যের ব্যবসা করেন তিনি। গত ৩ ফেব্রুয়ারি হানিফের ভাতিজা রাশেদুল ও বড় ভাই ইউসুফের বিদেশ যাওয়ার কথা ছিল। বিদায় জানাতে তাদের সাথে ঢাকা আসছিলেন তিনি।
২ ফেব্রুয়ারি রাত আড়াইটার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বক্সবাজার থেকে ঢাকাগামী আইকন পরিবহনের একটি যাত্রীবাহি চলন্ত বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করে কে বা কারা। এতে দগ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলে সাতজনের মৃত্যু হয়। ওই সাতজনের একজন ইউসুফ। ঘটনায় দগ্ধ ছয়জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। পরে সেখানে চিকিৎসাধীন ভাতিজা রাশেদুলের মৃত্যু হয়।
হানিফের শরীরের ৭ শতাংশ পুড়ে গেছে। বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন হানিফ একটু একটু করে সেরে উঠলেও সেই দিনের স্মৃতি কিছুতেই ভুলতে পারছেন না তিনি।
হানিফ বলেন, এটা কী ধরনের নৃশংসতা? যাত্রীদের নামিয়ে দিয়েও যদি বাসে আগুন দেয়া হতো তাহলে এতগুলো মানুষ মরত না। মানুষগুলো পুড়ত না।
এ দিকে গত বুধবার রাতে গাজীপুরের ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের সামনে বলাকা পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা নিক্ষেপ করা হয়। ওই ঘটনায় দগ্ধ শিশু মরিয়ম রূপা (৬) ও রাকিব মিয়ার (১২) অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। রূপাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন প্রাইভেট কার চালক আবুল কালাম, যশোরের ট্রাকের হেলপার মুরাদ মোল্লা, রংপুরের তছিরন বেগম, ঠিকানাহীন শিশু জাকির হোসেন, সাতক্ষীরার ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, সিলেটের ট্রাকচালক বকুল দেবনাথ, ঠিকাদার নূর আলম, লক্ষীপুরের পিকআপ ভ্যান চালক কামাল হোসেন ও কক্সবাজারের যুবক রাশেদুল ইসলাম।
No comments