প্রফেসর এমাজউদ্দীনের বাসায় গুলি- জাতির জন্য কী অপেক্ষা করছে?
ঢাকা
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদের
বাসভবনের শোয়ার ঘর টার্গেট করে গুলি ছোড়া হয়েছে। গত শনিবার রাতে এ
উদ্বেগজনক ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর নিউমার্কেট থানার পাশে এলিফ্যান্ট রোডের
বাসায়। গুলিতে জানালার কাচ ভেঙে গেছে। নয়া দিগন্তে এ প্রসঙ্গে আরো জানানো
হয়েছে, তখন ড. এমাজউদ্দীন তার দুই মেয়েকে নিয়ে রাতের খাবার খাচ্ছিলেন। এমন
সময় দুর্বৃত্তরা চার রাউন্ড গুলি ছোড়ে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে বলছে, এ
ব্যাপারে তদন্ত করা হবে। প্রত্যক্ষদর্শী জানান, কিছু দুষ্কৃতকারী
মোটরসাইকেলে এসে গুলি ছুড়ে পালিয়ে যায়।
প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ (৮৩) শুধু একজন প্রবীণ শিক্ষাবিদই নন, তিনি দেশের একজন প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং একজন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী। তিনি দলীয় সঙ্কীর্ণতায় আবদ্ধ কিংবা বিশেষ কোনো নেতানেত্রীর অন্ধভক্ত বা স্তাবক যে নন, তা তার এযাবৎকালের ভূমিকায় স্পষ্ট। এর পাশাপাশি তিনি যে ইসলামি মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, সে বিষয়ে সবাই অবহিত। তিনি সঙ্ঘাত-সহিংসতার রাজনীতির তীব্র বিরোধী। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের ওপর তিনি জোর দিয়ে আসছেন। এমনকি একপর্যায়ে তিনি ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রেখেও সঙ্কটের সুরাহা করা সম্ভব। যদি তিনি দলান্ধ হতেন কিংবা চিন্তাধারার দিক দিয়ে গোঁড়ামির পরিচয় দিতেন, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হতো না। কিন্তু দেশের মানুষ দেখছে, এত উদার ও নমনীয় মনোভাবের ব্যক্তিত্ব হলেও তাকে সহিংসতায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার আসামি করা হয়েছে। এটা কেবল অবিশ্বাস্য নয়, উদ্বেগজনকও; শুধু হাস্যকর নয়, লজ্জাকরও।
এই প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ ঘটনায় অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের বাড়িতে গুলি চালানো হলো। পরম করুণাময় আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তবে মারাত্মক কোনো অঘটন ঘটেও যেতে পারত মাত্র ৫ মিনিট আগে গুলি ছোড়া হলে। সেই মামলার মতো এই গুলিবর্ষণের ঘটনা কারা ঘটাতে পারে বলে জনগণের বিশ্বাস, তা বলা নি®প্রয়োজন। জাতির স্বার্থে এমাজউদ্দীনের দেশপ্রেমিক ভূমিকা এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যের কারণে রুষ্ট যারা, তাদের পক্ষেই এসব করা সম্ভব। এমন দুর্বৃত্তপনা ও সন্ত্রাস যে পরিকল্পিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা অব্যাহত থাকলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা চিন্তার স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার সম্পূর্ণ বিপন্ন হয়ে পড়বে। তখন দেশের ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার আর জাতিকে বরণ করতে হবে দুর্ভাগ্য। তা না চাইলে এ রকম হামলা, হুমকি, হয়রানিসহ সর্বপ্রকার সন্ত্রাস-সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে। স্বার্থত্যাগ, উদারতা ও সমঝোতার পথে দেশের কর্ণধারদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রফেসর এমাজউদ্দীনের বাসভবনে কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাই। আশা করি, প্রশাসন অবিলম্বে তদন্ত করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং সেই সাথে তার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
প্রফেসর এমাজউদ্দীন আহমদ (৮৩) শুধু একজন প্রবীণ শিক্ষাবিদই নন, তিনি দেশের একজন প্রখ্যাত রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এবং একজন শীর্ষস্থানীয় বুদ্ধিজীবী। তিনি দলীয় সঙ্কীর্ণতায় আবদ্ধ কিংবা বিশেষ কোনো নেতানেত্রীর অন্ধভক্ত বা স্তাবক যে নন, তা তার এযাবৎকালের ভূমিকায় স্পষ্ট। এর পাশাপাশি তিনি যে ইসলামি মূল্যবোধ এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, সে বিষয়ে সবাই অবহিত। তিনি সঙ্ঘাত-সহিংসতার রাজনীতির তীব্র বিরোধী। আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনের ওপর তিনি জোর দিয়ে আসছেন। এমনকি একপর্যায়ে তিনি ব্যক্তিগত অভিমত প্রকাশ করে বলেছেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীকে রেখেও সঙ্কটের সুরাহা করা সম্ভব। যদি তিনি দলান্ধ হতেন কিংবা চিন্তাধারার দিক দিয়ে গোঁড়ামির পরিচয় দিতেন, তাহলে বর্তমান পরিস্থিতিতে এ ধরনের বক্তব্য দেয়া তার পক্ষে সম্ভব হতো না। কিন্তু দেশের মানুষ দেখছে, এত উদার ও নমনীয় মনোভাবের ব্যক্তিত্ব হলেও তাকে সহিংসতায় মানুষের মৃত্যুর ঘটনায় মামলার আসামি করা হয়েছে। এটা কেবল অবিশ্বাস্য নয়, উদ্বেগজনকও; শুধু হাস্যকর নয়, লজ্জাকরও।
এই প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ ঘটনায় অধ্যাপক এমাজউদ্দীনের বাড়িতে গুলি চালানো হলো। পরম করুণাময় আল্লাহর রহমতে তিনি বেঁচে গেছেন। তবে মারাত্মক কোনো অঘটন ঘটেও যেতে পারত মাত্র ৫ মিনিট আগে গুলি ছোড়া হলে। সেই মামলার মতো এই গুলিবর্ষণের ঘটনা কারা ঘটাতে পারে বলে জনগণের বিশ্বাস, তা বলা নি®প্রয়োজন। জাতির স্বার্থে এমাজউদ্দীনের দেশপ্রেমিক ভূমিকা এবং প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্যের কারণে রুষ্ট যারা, তাদের পক্ষেই এসব করা সম্ভব। এমন দুর্বৃত্তপনা ও সন্ত্রাস যে পরিকল্পিত, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা অব্যাহত থাকলে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা তথা চিন্তার স্বাধীনতা ও মতপ্রকাশের অধিকার সম্পূর্ণ বিপন্ন হয়ে পড়বে। তখন দেশের ভবিষ্যৎ হবে অন্ধকার আর জাতিকে বরণ করতে হবে দুর্ভাগ্য। তা না চাইলে এ রকম হামলা, হুমকি, হয়রানিসহ সর্বপ্রকার সন্ত্রাস-সহিংসতার অবসান ঘটাতে হবে। স্বার্থত্যাগ, উদারতা ও সমঝোতার পথে দেশের কর্ণধারদের এগিয়ে যেতে হবে। আমরা প্রফেসর এমাজউদ্দীনের বাসভবনে কাপুরুষোচিত হামলার নিন্দা জানাই। আশা করি, প্রশাসন অবিলম্বে তদন্ত করে এ ব্যাপারে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে এবং সেই সাথে তার মতো বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হবে।
No comments