পেনশন বিক্রেতার পুরো চালুর আবেদন by মাসুদ আহমেদ
সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য অষ্টম জাতীয় বেতন স্কেল প্রস্তাব ২০১৫ সালের জুলাই থেকে কার্যকর হবে। সরকার অবসরপ্রাপ্তদের পেনশনভাতা বৃদ্ধিরও সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন জাতীয় স্কেল কার্যকর হলে কর্মচারীদের পেনশনভাতা অনেকটা বৃদ্ধি পাবে। তবে পুরনো অবসরপ্রাপ্ত যারা বর্তমান হারে পেনশন তুলছেন এবং যারা অবসর গ্রহণের সময় পেনশন বিক্রি করেছিলেন তাদের ব্যাপারে সরকার কী সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে, তার ওপর তাদের দুঃখ মোচনের মাত্রা নির্ভর করছে।
অবসর গ্রহণের সময় অনেকে চিকিৎসা, ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, মেয়ের বিয়ে, ছেলের চাকরি ইত্যাদি কারণে পেনশন বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। অনেকে চাকরির জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে আদম বেপারির খপ্পরে সর্বস্বান্ত। বৃদ্ধ বয়সে প্রায় সবাই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, হার্ট ডিজিজ, কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনিক ওষুধ খেতে হয়। প্রতি সপ্তাহে প্রেসার মাপাতে ২০ টাকা ও মাসে দু’বার ডায়াবেটিস মাপাতে ৫০ টাকা করে ১০০ টাকা খরচ হয়। তা ছাড়া একবার ডাক্তারের কাছে গেলে প্রেসক্রিপশন ফি ৭০০ টাকা; তার নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিন থেকে চার হাজার টাকা, আর ওষুধের জন্য খরচ তো আছেই। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। সপ্তাহান্তে যেতে হয় চেকআপের জন্যও। পেনশন বিক্রেতাদের বর্তমানে যাদের বয়স ৬৫ বছর তারা মাসিক মাত্র ৭০০ টাকা, আর যাদের বয়স ৬৫-এর ওপর তারা মাসিক মাত্র ১০০০ টাকা করে চিকিৎসাভাতা এবং সেই সাথে দুই ঈদে দু’টি উৎসবভাতা পান। এমতাবস্থায় সাধারণ অবসরভোগীদের চিকিৎসাভাতা দুই হাজার টাকা, ৬৫ বছর বয়স হলে চার হাজার টাকা, ৭০ বছর পূর্ণতায় ছয় হাজার টাকা এবং অশীতিপরের জন্য অন্তত সাত হাজার টাকা হওয়া জরুরি।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন একটি অমূল্য সম্পদ। যারা দীর্ঘ দিন দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থেকে দেশের সেবা করেছিলেন, তারা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। পেনশন বিক্রিকারী এই নাগরিকদের সংখ্যা কতই বা হবে। বর্তমানে দেশে সোয়া কোটি প্রবীণ আছেন। তন্মধ্যে হয়তো ৪০ লাখের মতো হবেন পেনশনার। কারণ সব প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী নন। পেনশন বিক্রিকারীর সংখ্যা বড়জোর ১০ লাখের মতো হতে পারে। হায়াত-মউত সবই আল্লাহর হাতে। তারা আর কত দিনই বা বাঁচবেন। তাদের মূল বেতনও খুব বেশি নয়। তারা যদি পেনশন বিক্রি না করতেন, তাহলে তাদেরকে নিয়মিত পেনশনভোগীদের মতো মাসিক পেনশন দিতে হতো। নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর বিক্রীত পেনশন পুনঃচালু করা হলে সরকারের কোনো আর্থিক ক্ষতি হবে না কিংবা বর্ধিত আর্থিক চাপ আসবে না। পেনশন বিক্রিকারীদের অবসরের ১০ বছর পূর্ণ হলে তাদের জন্য পেনশন পুনরায় চালু করার ব্যাপারে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে পূর্ণ পেনশন চালু করার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মাসুদ আহমেদ
বেলাব, নরসিংদী।
অবসর গ্রহণের সময় অনেকে চিকিৎসা, ছেলেমেয়ের লেখাপড়া, মেয়ের বিয়ে, ছেলের চাকরি ইত্যাদি কারণে পেনশন বিক্রি করতে বাধ্য হয়েছিলেন। অনেকে চাকরির জন্য ছেলেকে বিদেশে পাঠাতে গিয়ে আদম বেপারির খপ্পরে সর্বস্বান্ত। বৃদ্ধ বয়সে প্রায় সবাই আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, ব্লাড প্রেসার, দৃষ্টিশক্তি হ্রাস, হার্ট ডিজিজ, কিডনি সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত। রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য প্রেসার ও ডায়াবেটিস রোগীদের দৈনিক ওষুধ খেতে হয়। প্রতি সপ্তাহে প্রেসার মাপাতে ২০ টাকা ও মাসে দু’বার ডায়াবেটিস মাপাতে ৫০ টাকা করে ১০০ টাকা খরচ হয়। তা ছাড়া একবার ডাক্তারের কাছে গেলে প্রেসক্রিপশন ফি ৭০০ টাকা; তার নির্ধারিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারে বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য তিন থেকে চার হাজার টাকা, আর ওষুধের জন্য খরচ তো আছেই। অর্থাৎ সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা খরচ হয়। সপ্তাহান্তে যেতে হয় চেকআপের জন্যও। পেনশন বিক্রেতাদের বর্তমানে যাদের বয়স ৬৫ বছর তারা মাসিক মাত্র ৭০০ টাকা, আর যাদের বয়স ৬৫-এর ওপর তারা মাসিক মাত্র ১০০০ টাকা করে চিকিৎসাভাতা এবং সেই সাথে দুই ঈদে দু’টি উৎসবভাতা পান। এমতাবস্থায় সাধারণ অবসরভোগীদের চিকিৎসাভাতা দুই হাজার টাকা, ৬৫ বছর বয়স হলে চার হাজার টাকা, ৭০ বছর পূর্ণতায় ছয় হাজার টাকা এবং অশীতিপরের জন্য অন্তত সাত হাজার টাকা হওয়া জরুরি।
অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারীদের পেনশন একটি অমূল্য সম্পদ। যারা দীর্ঘ দিন দক্ষতা, যোগ্যতা ও নিষ্ঠার সাথে সরকারি চাকরিতে নিয়োজিত থেকে দেশের সেবা করেছিলেন, তারা জীবনের শেষ প্রান্তে এসে মানবেতর জীবন যাপন করতে বাধ্য হচ্ছেন। পেনশন বিক্রিকারী এই নাগরিকদের সংখ্যা কতই বা হবে। বর্তমানে দেশে সোয়া কোটি প্রবীণ আছেন। তন্মধ্যে হয়তো ৪০ লাখের মতো হবেন পেনশনার। কারণ সব প্রবীণ অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকরিজীবী নন। পেনশন বিক্রিকারীর সংখ্যা বড়জোর ১০ লাখের মতো হতে পারে। হায়াত-মউত সবই আল্লাহর হাতে। তারা আর কত দিনই বা বাঁচবেন। তাদের মূল বেতনও খুব বেশি নয়। তারা যদি পেনশন বিক্রি না করতেন, তাহলে তাদেরকে নিয়মিত পেনশনভোগীদের মতো মাসিক পেনশন দিতে হতো। নির্দিষ্ট একটা সময়ের পর বিক্রীত পেনশন পুনঃচালু করা হলে সরকারের কোনো আর্থিক ক্ষতি হবে না কিংবা বর্ধিত আর্থিক চাপ আসবে না। পেনশন বিক্রিকারীদের অবসরের ১০ বছর পূর্ণ হলে তাদের জন্য পেনশন পুনরায় চালু করার ব্যাপারে মাননীয় অর্থমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি। সেই সাথে পূর্ণ পেনশন চালু করার বিষয়টি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিবেচনার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন জানাচ্ছি।
মাসুদ আহমেদ
বেলাব, নরসিংদী।
No comments