কূটনীতিকদের গুম-খুনের তালিকা দিয়েছে বিএনপি
চলমান
আন্দোলনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গত এক মাসে বিরোধী নেতাকর্মীদের
গুম-খুনের একটি তালিকা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থাসহ বিদেশী
দূতাবাসগুলোতে পাঠিয়েছে বিএনপি। সেই সঙ্গে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার
সংস্থাগুলোকে এ বিষয়ে তাদের সরজমিন তদন্ত করার জন্য অনুরোধও জানিয়েছে দলটি।
বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, আগামী সপ্তাহে ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি উচ্চ
পর্যায়ের প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সামপ্রতিক মানবাধিকার পরিস্থিতি দেখতে
ঢাকায় আসছে। এরকম প্রেক্ষাপটে বিএনপির পক্ষ থেকে এই তালিকা দেয়া হয়েছে। এ
তালিকায় উল্লেখ করা হয়েছে, গত ৫ই জানুয়ারি প্রতিদ্বন্দ্বিতাহীন নির্বাচনের
বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ পালনের কর্মসূচি দেয় বিএনপিসহ ২০
দল। এ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, র্যাব, পুলিশসহ সাদা
পোশাকে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডারদের হাতে ৭৮ জন প্রাণ হারিয়েছে। যার মধ্যে
বিরোধী দলের নেতাকর্মীর সংখ্যা ৪৩ জন। এসব হত্যাকাণ্ডের মধ্যে রংপুর,
চাঁপাই নবাবগঞ্জ, রাজশাহী, নোয়াখালী, কুড়িগ্রাম, রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী,
বরিশালের উজিরপুর, কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মী ও
সাধারণ জনসাধারণ রয়েছে। এ সময়ে সারা দেশে ১৮ হাজার নেতাকর্মী, সাধারণ
মানুষ গ্রেপ্তার হয়েছে। মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৭ লাখের অধিক
নেতাকর্মী। এর বাইরে মামলায় অজ্ঞাত সংখ্যক লোককে আসামির তালিকায় যুক্ত করা
হয়েছে। অজ্ঞাত এই তালিকায় পরবর্তীতে গ্রেপ্তারকৃত বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের
আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে। এব্যাপারে বিএনপি চেয়ারপারসনের বিশেষ
সহকারী শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস সাংবাদিকদের বলেন, ৫ই জানুয়ারি থেকে
সারা দেশে যৌথ অভিযানের নামে বিএনপিসহ ২০দলীয় জোটের অসংখ্য নেতাকর্মীকে
গ্রেপ্তারের পাশাপাশি কথিত বন্দুকযুদ্ধে সাজানো নাটকের মাধ্যমে হত্যাকাণ্ডে
ঘটনা ঘটানো হয়েছে। সরকারের কঠোর সেন্সরশিপের মধ্যেও এ বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয়
দৈনিকে খবর প্রকাশিত হয়েছে। ৫ই জানুয়ারির পর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা
বিশেষ করে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের কথিত ‘ক্রসফায়ার’, ‘বন্দুকযুদ্ধ’ ও
‘ট্রাকের নিচে ফেলে’ হত্যাকাণ্ডের পাশাপাশি পুলিশি হেফাজতে নেতাকর্মীদের
পায়ে গুলি করে পঙ্গু করা হয়েছে।
গুম-খুনের মহোৎসব চলছে: বিএনপি
সব যোগাযোগ বন্ধ করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়াকে অঘোষিত গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অঘোষিতভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘসহ সব বিশ্বসংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ জানানো সত্ত্বেও অবৈধ আওয়ামী সরকারের টনক নড়ছে না। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর হুকুমে সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মহোৎসব করছে দলবাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। প্রতিবাদী মিছিলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। খুন, গুম, অপহরণ, হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন রাজপথের অসীম সাহসী আন্দোলনকারী সাথীরা। গণগ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছে। প্রতিনিয়ত অসংখ্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ জনগণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকার শ্যামলী এলাকায় মিছিল থেকে ৪ শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তন্মধ্যে শিবির নেতা জসীমউদ্দিন হাওলাদারকে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং অন্য তিনজন সজীব, আবদুল মান্নান ও আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের কথা এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকার কলাবাগান থানার পুলিশ শিবির নেতা আবু হাসানকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে পায়ে গুলি করে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট জামায়াত নেতা বেলায়েত হোসেন মজুমদার ও বেলাল হোসেন পণ্ডিতকে একই কায়দায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে পায়ে গুলি করে। আমরা সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর এহেন ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ও বন্দুকবাজির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হুঁশিয়ার করছি, ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে এসব হত্যাকাণ্ডের ও নির্মম বন্দুকবাজির প্রত্যেকটি ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করা হবে। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিএনপি, জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতাকর্মী যারা এ জাতীয় হত্যাকাণ্ডের ও বন্দুকবাজির শিকার হচ্ছেন, তার প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার করা হবে। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সব নেতাকর্মী ও সব গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এ অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। দাবি করেছে, ন্যয়সঙ্গত গণ-আন্দেলনের বিজয় অনিবার্য। বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে আওয়ামী লীগের দলীয় ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে পরিণত করেছে। এর আগে চতুর্থ সংশোধনীর মাধমে বাকশাল কায়েম করেও তারা একই কর্ম করেছিল। দুটি সংশোধনীর মর্মার্থ একই। সব বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করে শুধু আওয়ামী লীগ একদলীয় সরকার ও একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করবে। মূলত একদলীয় শাসন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকরণই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মেনিফেস্টো। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ক্ষমতারোহণের জন্য নয়, বরং আওয়ামী একনায়কতান্ত্রিকতা ও স্বৈরতান্ত্রিকতা থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্যই জনগণের এ আন্দোলন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশেষে অর্থমন্ত্রী মাল মুহিত স্বীকার করেছেন, ‘ঢাকা বাইরের সারা দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।’ অন্তত এটি তার রাবিশ বক্তব্য নয় বলে আমি মনে করি। আমি তাকে এবং তার অবৈধ সরকারকে আহ্বান জানাই- সময় থাকতে পতনের পদধ্বনি শুনুন। দ্রুত পদত্যাগ করে দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান। বিবৃতিতে ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয, এফবিসিসিআইয়ের দলবাজ সভাপতির কারণে ব্যবসায়ী সমাজের বক্তব্য সরকারের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে না। সরকারপ্রধানের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। অতএব, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের পরামর্শ দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবস্থাবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত হবে। পরীক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং গণহারে পাস করিয়ে দিয়ে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে নিলামে উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বেচারা শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের জন্য মায়াকান্না করছেন। ১৯৯৫-৯৬ সালের আওয়ামী নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের কারণে এসএসসি পরীক্ষা তিন মাস পেছাতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী সরকার ও পরবর্তীকালের তাদের প্রত্যেক শাসনামলেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল। বিগত বিএনপি সরকারের সময়েই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নকলমুক্ত ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সব পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজসহ শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনসাধারণকে আহ্বান জানাই। আপনারা সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করুন। তাহলেই দেশের সব মানুষের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল জবাবদিহিমূলক সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
গুম-খুনের মহোৎসব চলছে: বিএনপি
সব যোগাযোগ বন্ধ করে বিএনপি চেয়ারপারসন ও ২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতা খালেদা জিয়াকে অঘোষিত গৃহবন্দি করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। গতকাল এক বিবৃতিতে দলের যুগ্ম মহাসচিব সালাহউদ্দিন আহমেদ এ অভিযোগ করেন। বিবৃতিতে বলা হয়, খালেদা জিয়াকে সব যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন অবস্থায় অঘোষিতভাবে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইইউসহ পৃথিবীর সব উন্নত রাষ্ট্রসমূহ, জাতিসংঘসহ সব বিশ্বসংস্থা, জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সব মানবাধিকার সংস্থাগুলোর উদ্বেগ জানানো সত্ত্বেও অবৈধ আওয়ামী সরকারের টনক নড়ছে না। বিবৃতিতে অভিযোগ করা হয়, প্রধানমন্ত্রীর হুকুমে সারা দেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মহোৎসব করছে দলবাজ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা। প্রতিবাদী মিছিলে নির্বিচারে গুলিবর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। খুন, গুম, অপহরণ, হামলা-মামলার শিকার হচ্ছেন রাজপথের অসীম সাহসী আন্দোলনকারী সাথীরা। গণগ্রেপ্তারের শিকার হচ্ছে। প্রতিনিয়ত অসংখ্য বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী ও নিরীহ সাধারণ জনগণ।
বিবৃতিতে বলা হয়, ঢাকার শ্যামলী এলাকায় মিছিল থেকে ৪ শিবিরকর্মীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তন্মধ্যে শিবির নেতা জসীমউদ্দিন হাওলাদারকে ক্রসফায়ারে হত্যা এবং অন্য তিনজন সজীব, আবদুল মান্নান ও আবদুল্লাহকে গ্রেপ্তারের কথা এখনও স্বীকার করেনি পুলিশ। এ ছাড়া ঢাকার কলাবাগান থানার পুলিশ শিবির নেতা আবু হাসানকে বাসা থেকে থানায় ডেকে নিয়ে পায়ে গুলি করে। কুমিল্লার নাঙ্গলকোট জামায়াত নেতা বেলায়েত হোসেন মজুমদার ও বেলাল হোসেন পণ্ডিতকে একই কায়দায় বাসা থেকে ডেকে নিয়ে থানায় নিয়ে গিয়ে পায়ে গুলি করে। আমরা সরকারের পেটোয়া পুলিশ বাহিনীর এহেন ঘৃণ্য হত্যাকাণ্ড ও বন্দুকবাজির তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। হুঁশিয়ার করছি, ক্ষমতার পটপরিবর্তন হলে এসব হত্যাকাণ্ডের ও নির্মম বন্দুকবাজির প্রত্যেকটি ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিচার করা হবে। এছাড়া প্রতিনিয়ত বিএনপি, জামায়াতসহ ২০ দলীয় জোটের অসংখ্য নেতাকর্মী যারা এ জাতীয় হত্যাকাণ্ডের ও বন্দুকবাজির শিকার হচ্ছেন, তার প্রত্যেকটি ঘটনার বিচার করা হবে। বিএনপিসহ ২০ দলীয় জোটের সব নেতাকর্মী ও সব গণতন্ত্রকামী দেশবাসীকে চলমান শান্তিপূর্ণ অবরোধ ও হরতাল কর্মসূচি পালনের মধ্য দিয়ে এ অবৈধ সরকারের পতন নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছে দলটি। দাবি করেছে, ন্যয়সঙ্গত গণ-আন্দেলনের বিজয় অনিবার্য। বিবৃতিতে বলেন, আওয়ামী লীগ সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানকে আওয়ামী লীগের দলীয় ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে পরিণত করেছে। এর আগে চতুর্থ সংশোধনীর মাধমে বাকশাল কায়েম করেও তারা একই কর্ম করেছিল। দুটি সংশোধনীর মর্মার্থ একই। সব বিরোধী দল নিশ্চিহ্ন করে শুধু আওয়ামী লীগ একদলীয় সরকার ও একদলীয় রাষ্ট্রব্যবস্থা কায়েম করবে। মূলত একদলীয় শাসন ও রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠাকরণই আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মেনিফেস্টো। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপি ও ২০ দলীয় জোটের ক্ষমতারোহণের জন্য নয়, বরং আওয়ামী একনায়কতান্ত্রিকতা ও স্বৈরতান্ত্রিকতা থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্যই জনগণের এ আন্দোলন। সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, অবশেষে অর্থমন্ত্রী মাল মুহিত স্বীকার করেছেন, ‘ঢাকা বাইরের সারা দেশের অবস্থা অত্যন্ত নাজুক।’ অন্তত এটি তার রাবিশ বক্তব্য নয় বলে আমি মনে করি। আমি তাকে এবং তার অবৈধ সরকারকে আহ্বান জানাই- সময় থাকতে পতনের পদধ্বনি শুনুন। দ্রুত পদত্যাগ করে দেশ বাঁচান, মানুষ বাঁচান। বিবৃতিতে ব্যবসায়ী সমাজের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলা হয, এফবিসিসিআইয়ের দলবাজ সভাপতির কারণে ব্যবসায়ী সমাজের বক্তব্য সরকারের কর্ণকুহরে প্রবেশ করছে না। সরকারপ্রধানের রাজনৈতিক ভুল সিদ্ধান্তের কারণেই চলমান রাজনৈতিক সঙ্কট ও অস্থিরতার সৃষ্টি হয়েছে। অতএব, স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে সরকারকে দ্রুত পদত্যাগের পরামর্শ দিন। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের মাধ্যমে সত্যিকারের জনপ্রতিনিধিত্বশীল সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে ব্যবস্থাবান্ধব স্থিতিশীল পরিবেশ নিশ্চিত হবে। পরীক্ষা ও শিক্ষাব্যবস্থা নিয়ে বিবৃতিতে বলা হয়, প্রশ্নপত্র ফাঁস এবং গণহারে পাস করিয়ে দিয়ে সমগ্র শিক্ষাব্যবস্থাকে নিলামে উঠিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও বেচারা শিক্ষামন্ত্রী পরীক্ষার্থীদের জন্য মায়াকান্না করছেন। ১৯৯৫-৯৬ সালের আওয়ামী নৈরাজ্য ও তাণ্ডবের কারণে এসএসসি পরীক্ষা তিন মাস পেছাতে বাধ্য হয়েছিল তৎকালীন বিএনপি সরকার। স্বাধীনতা-পরবর্তী আওয়ামী সরকার ও পরবর্তীকালের তাদের প্রত্যেক শাসনামলেই দেশের শিক্ষাব্যবস্থা ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে উপনীত হয়েছিল। বিগত বিএনপি সরকারের সময়েই দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে দেশের শিক্ষাব্যবস্থাকে নকলমুক্ত ও আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করতে সক্ষম হয়েছিল। বিবৃতিতে বলা হয়, দেশের সব পরীক্ষার্থী, অভিভাবক, ব্যবসায়ী, চাকরিজীবী, পেশাজীবী, বুদ্ধিজীবী, সুশীলসমাজসহ শ্রেণী-পেশা নির্বিশেষে সর্বস্তরের জনসাধারণকে আহ্বান জানাই। আপনারা সম্মিলিতভাবে গণতন্ত্র মুক্তি আন্দোলনের পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হয়ে অবৈধ সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করুন। তাহলেই দেশের সব মানুষের অভিপ্রায় অনুযায়ী প্রকৃত জনপ্রতিনিধিত্বশীল জবাবদিহিমূলক সংসদ ও সরকার প্রতিষ্ঠিত হবে। স্থিতিশীল রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত হবে।
No comments