একজন সংগ্রামী মায়ের প্রতিচ্ছবি by আশফিয়া রায়হান
লন্ডনে
তখন রাত ১০টা। টিভির ব্রেকিং নিউজ খালেদা জিয়ার গুলশান কার্যালয়ের বিদ্যুৎ
সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। বিশ্বাস করতে কষ্ট হয়। মতাসীনদের কি মাথা
খারাপ হয়ে গেছে? নাকি সরকারের মন্ত্রণাদাতারা অচৈতন্য হয়ে পড়েছেন যে
বেসামাল মন্ত্রীর হুমকির কয়েক ঘণ্টার মধ্যে পুলিশ প্রহরায় ডেসার লোক গিয়ে
খালেদা জিয়ার অবরুদ্ধ অফিসের বিদ্যুৎ লাইন কেটে দেয়! এসব কী শুরু হয়েছে
দেশটাতে। প্রবাসে আমরা যারা থাকি দেশের জন্য দেশের মানুষের জন্য সবাই
কমবেশি দুশ্চিন্তা করি। সবারই আত্মীয়স্বজন শুভাকাক্সী দেশে থাকে। বিদেশে
থাকলেও মনটা পড়ে থাকে ফেলে আসা পরিবারপরিজনের কাছে। দেশের একটা ভালো খবর
শুনলে রাতে ঘুমটা ভালো হয়। আর খারাপ কিছু শুনলে ঘুমাতে পারি না। সারা রাত এ
পাশ ও পাশ করে সকালে উঠে জীবিকার তাগিদে অফিসে যাই। কাজের মধ্যে ক্রমাগত
ভুল করতে থাকি। ম্যানেজার কারণ জিজ্ঞাসা করলে বলতে পারি না যে আমার দেশের
কথা ভেবে ভেবে কাজে ভুল হয়ে যাচ্ছে। কারণ দেশ যে আমার মাতৃভূমি আমার
পিতৃভূমি। দেশের সাথে জড়িয়ে আছে আমার মা আমার পৃথিবী।
আমার মায়ের নামে নাম হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার নিউজ হলে নিজের অজান্তেই উৎকর্ণ হয়ে শুনি। আমার মায়ের মতো তিনিও একাকী নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন। এই সংগ্রামী নারীর পুরোটা জীবন কেটে গেল লড়াই করতে করতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে চলে গেলেন। ছোট দু’টি সন্তান নিয়ে সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী থেকেছেন তিনি। অল্পের জন্য রা পেয়েছেন মৃত্যুর হাত থেকে। দেশ স্বাধীন হলে দুই সন্তানসহ বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তিনি।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে আততায়ীর গুলিতে শহীদ হন। ছোট ছেলে দু’টি নিয়ে অকালে বিধবা হন বেগম খালেদা জিয়া। শুরু হয় তার জীবনসংগ্রাম। তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাল ধরেন। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় স্বৈরাচার এরশাদ সরকার তাকে গৃহে অবরুদ্ধ করে রাখে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। তার আপসহীন অবস্থানের কারণেই মূলত মাথা নত করে শেষ পর্যন্ত এরশাদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। পরে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিন-তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালে হঠাৎ একটা কালো মেঘ এসে অন্ধকারে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আকাশে ডানা মেলে উড়তে থাকে অশুভ চক্র। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিন সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে কারাগারে প্রেরণ করে। এ সময় তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক মানসিক নির্যাতন। তার দুই ছেলেকে জেলে ভরে তাদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে রিমান্ডের নামে চলে অমানবিক কায়দায় অত্যাচার-নির্যাতন। দুই ছেলেকেই নির্যাতন করে পঙ্গু করে দেয়া হয়। এরপর বলা হয় ছেলেদের নিয়ে বিদেশ চলে যেতে। বেগম জিয়া দেশ ও দেশের মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাননি। দুই সন্তানকে মৃতপ্রায় অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। তার বয়োবৃদ্ধা মা মেয়ের সাথে দেখা করতে এসে জেল গেট থেকে ফিরে যান। তাকে মেয়ের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। ফিরে গিয়ে বেশি দিন আর বাঁচেননি। মেয়েকে একনজর দেখার অর্পূণতা নিয়েই মারা যান তিনি। স্নেহময়ী মাকে শেষবারের মতো একনজর দেখা থেকে বঞ্চিত হন বেগম জিয়া। এর যে কী ব্যথা কী কষ্ট তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এর কিছু দিন পরই তিনি হারান তার বড়বোনকে। মা হারানোর ব্যথা ভুলতে-না-ভুলতেই বোন হারিয়ে আরো শোকাহত হয়ে পড়েন তিনি।
এরপর ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের কালো থাবা থেকে মুক্তি পেয়ে বেগম জিয়া আবারো গণমানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন। সন্তানদের প্রবাসে রেখে বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গী করে আন্দোলন গড়ে তোলেন। মাকে হারিয়ে বোনকে হারিয়ে দুই ছেলে, ছেলের বউ আর আদরের নাতনীদের ছেড়ে একাকী নিঃসঙ্গ বেগম জিয়া তব্ওু মনোবল হারাননি।
আপসহীন নেত্রীকে দুর্বল করতে এবার আরেক উপসর্গ ব্যবহার করা হয়। এবার তাকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি, যে বাড়িতে তিনি স্বামী সন্তান নাতনীদের নিয়ে প্রায় ৪০ বছর কাটিয়েছেন সে বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হলো। তার ও তার দুই ছেলের নামে একের পর এক দিতে থাকল বানোয়াট মামলা। প্রিয়জন হারানোর তালিকাটা আরো বড় হতে লাগল। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই মারা যান তার ভাই। একজন মানুষ আর কত কষ্টের বোঝা বইতে পারে।
গ্রেফতার হওয়ার পর বড় ছেলের সাথে লন্ডনে একবার দেখা হলেও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সাথে আর দেখা হয়নি। শেষ একনজর দেখা হয়েছিল কোর্টে। রাজনীতি থেকে সব সময় দূরে থাকলেও কোকোকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হয়। মালয়েশিয়ার নির্বাসিত জীবনে বন্দী জীবনের অপমানের কষ্ট কিছুতেই ভুলতে না পেরে অনেকটা নিঃসঙ্গ নিভৃত জীবন কাটান কোকো। মিথ্যা অভিযোগের বোঝা তাকে অকালমৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বেগম খালেদা জিয়ার জীবনে এ আরেক কষ্টের অধ্যায়। বলা হয়ে থাকে মায়ের কাছে সন্তানের লাশ পাহাড় সমান ভারী। আর একজন বিধবা মায়ের কাছে এর ওজন আরো অনেক অনেক গুণ বেশি ভারী। এক জীবনে কত কষ্ট সহ্য করা যায়? আল্লাহ যেন তাকে এই হিমালয় সমান ভার বহন করার তৌফিক দান করেন।
আমরা এ কি দেখছি! আমরা কি দিন দিন মানবিকতা হারিয়ে ফেলছি? ছেলেকে চিরনিদ্রায় শোয়াতে-না-শোয়াতেই সন্তানহারা মায়ের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া শুরু হয়ে গেছে। কুলখানির সময়টুকু না দিয়ে শুরু হয়ে গেছে পুড়িয়ে মারার হুমকি ধমকি। চোখের পানি শুকানোর সময়টুকু না দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎসংযোগ। আওয়ামী লীগের ও অনুগতদের মুখ লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাস খুনের গডফাদাররা এখন ক্ষমতার ছায়াতলে।
আমাদের দেয়া ট্যাক্সের টাকায় জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়িতে চড়া মন্ত্রীদের আস্ফালন দেখলে গা গুলিয়ে ওঠে। নৌ চলাচল ও পরিবহনমন্ত্রী নৌ দুর্ঘটনায় হাজারো মানুষের মৃত্যুর দায়মুক্তি কিন্তু এখনো হয়নি। মন্ত্রী সাহেবেরা, প্লিজ আপনারা কিছু বলার আগে বুঝে শুনে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন। ঝোঁকের মাথায় কিছু করে বসবেন না যেন। জনগণের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বুঝতে পারবেন। নইলে দেখবেন মাঝদরিয়া থেকে তরী আর তীরে ভিড়বে না।
লেখক : যুক্তরাজ্যপ্রবাসী
আমার মায়ের নামে নাম হওয়ায় বেগম খালেদা জিয়ার নিউজ হলে নিজের অজান্তেই উৎকর্ণ হয়ে শুনি। আমার মায়ের মতো তিনিও একাকী নিঃসঙ্গ জীবন কাটাচ্ছেন। এই সংগ্রামী নারীর পুরোটা জীবন কেটে গেল লড়াই করতে করতে। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় স্বামী স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধে চলে গেলেন। ছোট দু’টি সন্তান নিয়ে সীমাহীন দুর্দশার মধ্যে ক্যান্টনমেন্টে বন্দী থেকেছেন তিনি। অল্পের জন্য রা পেয়েছেন মৃত্যুর হাত থেকে। দেশ স্বাধীন হলে দুই সন্তানসহ বন্দিদশা থেকে মুক্ত হন তিনি।
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮১ সালে আততায়ীর গুলিতে শহীদ হন। ছোট ছেলে দু’টি নিয়ে অকালে বিধবা হন বেগম খালেদা জিয়া। শুরু হয় তার জীবনসংগ্রাম। তিনি জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির হাল ধরেন। স্বৈরাচার সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করায় স্বৈরাচার এরশাদ সরকার তাকে গৃহে অবরুদ্ধ করে রাখে। কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি। তার আপসহীন অবস্থানের কারণেই মূলত মাথা নত করে শেষ পর্যন্ত এরশাদ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কাছে মতা হস্তান্তর করতে বাধ্য হন। পরে বেগম খালেদা জিয়া জনগণের ভোটে তিন-তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন।
২০০৭ সালে হঠাৎ একটা কালো মেঘ এসে অন্ধকারে আচ্ছন্ন করে ফেলে। আকাশে ডানা মেলে উড়তে থাকে অশুভ চক্র। ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিন সরকার বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দী করে কারাগারে প্রেরণ করে। এ সময় তার ওপর চালানো হয় অমানুষিক মানসিক নির্যাতন। তার দুই ছেলেকে জেলে ভরে তাদের নামে মিথ্যা মামলা সাজিয়ে রিমান্ডের নামে চলে অমানবিক কায়দায় অত্যাচার-নির্যাতন। দুই ছেলেকেই নির্যাতন করে পঙ্গু করে দেয়া হয়। এরপর বলা হয় ছেলেদের নিয়ে বিদেশ চলে যেতে। বেগম জিয়া দেশ ও দেশের মানুষকে ছেড়ে কোথাও যাননি। দুই সন্তানকে মৃতপ্রায় অবস্থায় চিকিৎসার জন্য বিদেশে পাঠান। তার বয়োবৃদ্ধা মা মেয়ের সাথে দেখা করতে এসে জেল গেট থেকে ফিরে যান। তাকে মেয়ের সাথে দেখা করতে দেয়া হয়নি। ফিরে গিয়ে বেশি দিন আর বাঁচেননি। মেয়েকে একনজর দেখার অর্পূণতা নিয়েই মারা যান তিনি। স্নেহময়ী মাকে শেষবারের মতো একনজর দেখা থেকে বঞ্চিত হন বেগম জিয়া। এর যে কী ব্যথা কী কষ্ট তা ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। এর কিছু দিন পরই তিনি হারান তার বড়বোনকে। মা হারানোর ব্যথা ভুলতে-না-ভুলতেই বোন হারিয়ে আরো শোকাহত হয়ে পড়েন তিনি।
এরপর ফখরুদ্দীন-মইন উদ্দিনের কালো থাবা থেকে মুক্তি পেয়ে বেগম জিয়া আবারো গণমানুষের অধিকার আদায়ে সোচ্চার হন। সন্তানদের প্রবাসে রেখে বাংলাদেশের মানুষকে সঙ্গী করে আন্দোলন গড়ে তোলেন। মাকে হারিয়ে বোনকে হারিয়ে দুই ছেলে, ছেলের বউ আর আদরের নাতনীদের ছেড়ে একাকী নিঃসঙ্গ বেগম জিয়া তব্ওু মনোবল হারাননি।
আপসহীন নেত্রীকে দুর্বল করতে এবার আরেক উপসর্গ ব্যবহার করা হয়। এবার তাকে তার স্বামীর স্মৃতিবিজড়িত বাড়ি, যে বাড়িতে তিনি স্বামী সন্তান নাতনীদের নিয়ে প্রায় ৪০ বছর কাটিয়েছেন সে বাড়ি থেকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হলো। তার ও তার দুই ছেলের নামে একের পর এক দিতে থাকল বানোয়াট মামলা। প্রিয়জন হারানোর তালিকাটা আরো বড় হতে লাগল। এরই মধ্যে হঠাৎ করেই মারা যান তার ভাই। একজন মানুষ আর কত কষ্টের বোঝা বইতে পারে।
গ্রেফতার হওয়ার পর বড় ছেলের সাথে লন্ডনে একবার দেখা হলেও ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর সাথে আর দেখা হয়নি। শেষ একনজর দেখা হয়েছিল কোর্টে। রাজনীতি থেকে সব সময় দূরে থাকলেও কোকোকে রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে পঙ্গু করে দেয়া হয়। মালয়েশিয়ার নির্বাসিত জীবনে বন্দী জীবনের অপমানের কষ্ট কিছুতেই ভুলতে না পেরে অনেকটা নিঃসঙ্গ নিভৃত জীবন কাটান কোকো। মিথ্যা অভিযোগের বোঝা তাকে অকালমৃত্যুর মুখে ঠেলে দেয়। বেগম খালেদা জিয়ার জীবনে এ আরেক কষ্টের অধ্যায়। বলা হয়ে থাকে মায়ের কাছে সন্তানের লাশ পাহাড় সমান ভারী। আর একজন বিধবা মায়ের কাছে এর ওজন আরো অনেক অনেক গুণ বেশি ভারী। এক জীবনে কত কষ্ট সহ্য করা যায়? আল্লাহ যেন তাকে এই হিমালয় সমান ভার বহন করার তৌফিক দান করেন।
আমরা এ কি দেখছি! আমরা কি দিন দিন মানবিকতা হারিয়ে ফেলছি? ছেলেকে চিরনিদ্রায় শোয়াতে-না-শোয়াতেই সন্তানহারা মায়ের নামে মিথ্যা মামলা দেয়া শুরু হয়ে গেছে। কুলখানির সময়টুকু না দিয়ে শুরু হয়ে গেছে পুড়িয়ে মারার হুমকি ধমকি। চোখের পানি শুকানোর সময়টুকু না দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে তার কার্যালয়ের বিদ্যুৎসংযোগ। আওয়ামী লীগের ও অনুগতদের মুখ লাগামহীন হয়ে পড়েছে। সন্ত্রাস খুনের গডফাদাররা এখন ক্ষমতার ছায়াতলে।
আমাদের দেয়া ট্যাক্সের টাকায় জাতীয় পতাকা লাগানো গাড়িতে চড়া মন্ত্রীদের আস্ফালন দেখলে গা গুলিয়ে ওঠে। নৌ চলাচল ও পরিবহনমন্ত্রী নৌ দুর্ঘটনায় হাজারো মানুষের মৃত্যুর দায়মুক্তি কিন্তু এখনো হয়নি। মন্ত্রী সাহেবেরা, প্লিজ আপনারা কিছু বলার আগে বুঝে শুনে দায়িত্ব নিয়ে কথা বলবেন। ঝোঁকের মাথায় কিছু করে বসবেন না যেন। জনগণের মনের ভাষা বোঝার চেষ্টা করুন। আবহাওয়ার পূর্বাভাস বুঝতে পারবেন। নইলে দেখবেন মাঝদরিয়া থেকে তরী আর তীরে ভিড়বে না।
লেখক : যুক্তরাজ্যপ্রবাসী
No comments