কারাগারে ধারণক্ষমতার তিন গুণ বন্দী- সমঝোতাই ভয়াবহ পরিস্থিতির সমাধান
বহুল
আলোচিত ও নানা বিতর্কে বিতর্কিত ৫ জানুয়ারির নির্বাচন। এ নির্বাচনের আগে
যেমন একটি রাজনৈতিক সঙ্কট ছিল, নির্বাচনের পর সে সঙ্কট অব্যাহত। সময়ের সাথে
সে সঙ্কট জটিল থেকে জটিলতর হচ্ছে। কিন্তু অবাক করা ব্যাপার হচ্ছে, সরকার
দেশে কোনো রাজনৈতিক সঙ্কট আছে বলেই স্বীকার করছে না; বরং বর্তমান রাজনৈতিক
সঙ্কট সূত্রে সরকারবিরোধীদের চলমান আন্দোলন কর্মসূচিকে জোরজবরদস্তির
মাধ্যমে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে। সরকার বলছে, দেশে কোনো রাজনৈতিক সমস্যা
বা সঙ্কট নেই। বর্তমানে যা আছে তা হচ্ছে একটি আইনশৃঙ্খলাজনিত সমস্যা। অতএব,
সরকার এ সমস্যা দূর করতে যা যা দরকার তাই করবে। সরকারপক্ষ বলছে, সরকার
যতটুকু কঠোর হওয়ার দরকার তা হবে। সরকার এখন জোর প্রচারণায় ব্যস্ত ২০ দলীয়
জোটের প্রধান দল বিএনপিকে দেশ ও দেশের বাইরে একটি সন্ত্রাসী ও জঙ্গি সংগঠন
হিসেবে চিহ্নিত করে দলটিকে পর্যুদস্ত করতে। তাদের মতে, বিএনপি সন্ত্রাসী
দল। অতএব, সরকারি দলের নেতাকর্মী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাজ
হচ্ছে অস্ত্র দিয়ে সন্ত্রাসীদের দমন করতে হবে, রাজনৈতিকভাবে তা মোকাবেলা
করা যাবে না। কেউ কেউ সরাসরি বলছেন, তাদের বুকে গুলি করতে হবে। আইনশৃঙ্খলা
বাহিনীর শীর্ষকর্তা বলছেন, সন্ত্রাসীদের বংশ পর্যন্ত ধ্বংস করে দিতে হবে।
বাস্তবে দেখা যাচ্ছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সরকারবিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের
দমনপীড়নেই এই কঠোরতা অবলম্বন করে চলেছে। ফলে তথাকথিত ক্রসফায়ার, গুম,
অপহরণ ও হত্যাসহ হামলা-মামলা সময়ের সাথে ক্রমেই বাড়ছে। প্রতিদিন হাজার
হাজার সরকারবিরোধী নেতাকর্মী গ্রেফতার হচ্ছে। তাদের পাঠানো হচ্ছে কারাগারে।
ফলে এরই মধ্যে কারাগারের বন্দীর সংখ্যা ধারণক্ষমতার তিন গুণ ছাড়িয়ে গেছে।
কারাগারে বন্দীর সংখ্যা প্রতিদিন কয়েক হাজার বাড়ছে।
নয়া দিগন্ত গতকাল এক খবরে জানিয়েছে, দেশজুড়ে কারাগারগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সরকারবিরোধী আন্দোলন দমাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পাইকারি গ্রেফতার অভিযানের সুবাদে এসব কারাগারে তিলধারণের ঠাঁই নেই। ঢাকাসহ প্রায় সব ক’টি কারাগারেই ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বন্দী রাখা হয়েছে, কারাগারগুলোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, দেশের ৬৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা সর্বমোট ২৭ হাজার হলেও বর্তমানে সেগুলোতে রাখা হয়েছে ৭১ হাজার বন্দী। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা মতে, এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্দীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা মনে করি, এ ধরনের গ্রেফতার, মামলা দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে শুধু আরো জটিলই করবে। নির্বিচার শক্তিপ্রয়োগ, গ্রেফতার ও গুম বন্ধ নিশ্চিত করতে হবেÑ এমন তাগিদ এসেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ থেকেও। এর ফলে নানা ক্ষেত্রে নানা ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে। অবিলম্বে সংলাপই কেবল পারে এ বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতে। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত বিরোধীদের সাথে আলোচনায় বসে এ সঙ্কট পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করবে।
নয়া দিগন্ত গতকাল এক খবরে জানিয়েছে, দেশজুড়ে কারাগারগুলোতে সৃষ্টি হয়েছে ভয়াবহ মানবিক বিপর্যয়। সরকারবিরোধী আন্দোলন দমাতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর পাইকারি গ্রেফতার অভিযানের সুবাদে এসব কারাগারে তিলধারণের ঠাঁই নেই। ঢাকাসহ প্রায় সব ক’টি কারাগারেই ধারণক্ষমতার চেয়ে তিন থেকে চার গুণ বন্দী রাখা হয়েছে, কারাগারগুলোর সর্বশেষ পরিসংখ্যান মতে, দেশের ৬৮টি কারাগারের ধারণক্ষমতা সর্বমোট ২৭ হাজার হলেও বর্তমানে সেগুলোতে রাখা হয়েছে ৭১ হাজার বন্দী। কর্তৃপক্ষের আশঙ্কা মতে, এ পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে বন্দীর সংখ্যা লাখ ছাড়িয়ে যাবে।
আমরা মনে করি, এ ধরনের গ্রেফতার, মামলা দেশে বিদ্যমান রাজনৈতিক সঙ্কটকে শুধু আরো জটিলই করবে। নির্বিচার শক্তিপ্রয়োগ, গ্রেফতার ও গুম বন্ধ নিশ্চিত করতে হবেÑ এমন তাগিদ এসেছে মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ থেকেও। এর ফলে নানা ক্ষেত্রে নানা ধরনের মানবিক বিপর্যয় দেখা দেবে। অবিলম্বে সংলাপই কেবল পারে এ বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে দেশকে বাঁচাতে। আমাদের প্রত্যাশা, সরকার দ্রুত বিরোধীদের সাথে আলোচনায় বসে এ সঙ্কট পরিস্থিতি থেকে জাতিকে রক্ষা করবে।
No comments