ঢাকায় অবস্থা ভালো বটে! কিন্তু আতঙ্ক তো সবখানেই
অর্থমন্ত্রী
আবুল মাল আবদুল মুহিত স্বীকার করেছেন, ঢাকার পরিস্থিতি ভালো হলেও বাইরের
অবস্থা মারাত্মক। ঢাকায় হয়তো হরতাল চলছে না, কিন্তু জেলায় বা আন্তজেলা
পরিবহন-যাতায়াতের পরিস্থিতি তো স্বাভাবিক নয়। অবশ্য পুলিশের মহাপরিদর্শক এ
কে এম শহীদুল হক ঢাকার বাইরের পরিস্থিতি খুব খারাপ বলে মনে করেন না।
দু-একটি স্থানে চোরাগোপ্তা হামলা ছাড়া সবখানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক বলে
তিনি মনে করেন। যদি তা-ই হবে, তাহলে তিনি কেন আবার রাত নয়টার পর মহাসড়কে
যাত্রীবাহী বাস না চালানোর সুপারিশ করেছেন? অবশ্য পরিবহন মালিকেরা রাতেও
বাস চালাতে চান। তাঁরা আরও কয়েক দিন পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নিতে চান।
আসল সত্য হলো, ঢাকায় দোকানপাট, অফিস-আদালত খোলা এবং রাস্তায় গাড়ির ভিড় থাকলেও পেট্রলবোমার ভয় থেকে কারও মুক্তি নেই। আর ঢাকার বাইরে যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কম, তাই সেখানে ভয়ও বেশি। বিভিন্ন জেলায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিরীহ মানুষ পুড়ে মরছে প্রতিদিনই। এমনকি ঢাকায়ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে দিনের পর দিন।
প্রশ্ন হলো, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির অবসানের পথ কী? দীর্ঘদিন ধরে এ রকম অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। মানুষ কি পেট্রলবোমায় পুড়ে মরতেই থাকবে? অর্থনীতির যে ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়ে কি কারও মাথাব্যথা থাকবে না? ঢাকার বাইরের জেলাগুলোকে সচল রাখার জন্য সরকার শুধু পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর নির্ভর করছে। অতিরিক্ত র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের কথা অর্থমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন। তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে সরকার মনে করছে, শুধু র্যাব-পুলিশ দিয়ে সবকিছু ঠান্ডা করা যাবে? তাহলে ভুল হবে। এবং এই ভুলের খেসারত জনগণ দিচ্ছে, সরকারকেও দিতে হবে। জনজীবনের সংকট অস্বীকার না করে বরং সংকট অবসানের রাজনৈতিক উপায় খুঁজে বের করাই এখন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কাজ। মানুষ শান্তি চায়। সরকারকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
আসল সত্য হলো, ঢাকায় দোকানপাট, অফিস-আদালত খোলা এবং রাস্তায় গাড়ির ভিড় থাকলেও পেট্রলবোমার ভয় থেকে কারও মুক্তি নেই। আর ঢাকার বাইরে যেহেতু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ কম, তাই সেখানে ভয়ও বেশি। বিভিন্ন জেলায় যাত্রীবাহী বাসে পেট্রলবোমা হামলায় নিরীহ মানুষ পুড়ে মরছে প্রতিদিনই। এমনকি ঢাকায়ও বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে দিনের পর দিন।
প্রশ্ন হলো, এই অস্বাভাবিক পরিস্থিতির অবসানের পথ কী? দীর্ঘদিন ধরে এ রকম অবস্থা চলতে দেওয়া যায় না। মানুষ কি পেট্রলবোমায় পুড়ে মরতেই থাকবে? অর্থনীতির যে ক্ষতি হচ্ছে, সে বিষয়ে কি কারও মাথাব্যথা থাকবে না? ঢাকার বাইরের জেলাগুলোকে সচল রাখার জন্য সরকার শুধু পুলিশ ও প্রশাসনের ওপর নির্ভর করছে। অতিরিক্ত র্যাব, বিজিবি ও পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হচ্ছে। এ কারণে বাড়তি অর্থ বরাদ্দের কথা অর্থমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন। তাহলে কি ধরে নিতে হবে যে সরকার মনে করছে, শুধু র্যাব-পুলিশ দিয়ে সবকিছু ঠান্ডা করা যাবে? তাহলে ভুল হবে। এবং এই ভুলের খেসারত জনগণ দিচ্ছে, সরকারকেও দিতে হবে। জনজীবনের সংকট অস্বীকার না করে বরং সংকট অবসানের রাজনৈতিক উপায় খুঁজে বের করাই এখন সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান কাজ। মানুষ শান্তি চায়। সরকারকে এ বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে।
No comments