সাভারে বোন ও ভগ্নিপতিকে বেঁধে রেখে স্কুলছাত্রী ধর্ষণ, ভিডিওচিত্র ধারণ
সাভার পৌর এলাকার আনন্দপুর মহল্লায় বোন ও ভগ্নিপতিকে আটকে রেখে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও সে দৃশ্য মোবাইল ফোনে ভিডিও করার অভিযোগ উঠেছে। ধারণকৃত দৃশ্য ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ধর্ষিতার পরিবারের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা। এ ঘটনা পুলিশকে জানানো হলে তারা ধর্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করে উল্টো ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা ছাড়তে বলেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ অবস্থায় পুরো পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা দরজা-জানালা বন্ধ করে ঘরে অবরুদ্ধ অবস্থায় রয়েছে। আনন্দপুর মহল্লার সরদার ভিলার দোতলায় বাবুল মিয়ার বাসায় শনিবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সূত্র জানায়, ফজলুল হকের ভাড়া দেয়া বাড়ির ওই ফ্ল্যাটে এক ব্যক্তি তার স্ত্রী ও শ্যালিকা নিয়ে ভাড়া থাকেন। তার ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। ১৩ বছর বয়সী তার ওই শ্যালিকা স্থানীয় এ্যাবাক স্কুলের ৭ম শ্রেণীর ছাত্রী। শনিবার দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২টায় গেণ্ডা বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন লাকড়ি ব্যবসায়ী আনুর জামাতা কবির (৩০) ও আরেক যুবক আজিজ ওই বাসায় গিয়ে তাদের জিম্মি করে আটকে রেখে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ ও সেই দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ধারণকৃত সেই দৃশ্য ইন্টারনেটের মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে তারা ওই মেয়ের ভগ্নিপতির কাছে ৫০ হাজার টাকা দাবি করে। ওই দিন বিকালে ধর্ষক কবির ও আজিজ ওরফে সেলুন আজিজ ওই বাসায় গিয়ে তাদের কাছ থেকে কিছু টাকা হাতিয়ে নেয়। পরে ঘটনা জানাজানি হলে সন্ধ্যায় সাদা পোশাকে সাভার মডেল থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাশেম আলী ওই বাড়িতে যায়। তারা ঘটনা নিয়ে বাড়াবাড়ি না করে ধর্ষিতার পরিবারকে এলাকা ছাড়ার পরামর্শ দেয়। পরে এসআই হাশেম বাসার বাইরে রাস্তায় দাঁড়ানো সেলুন আজিজের সঙ্গে কথা বলে স্থান ত্যাগ করেন। এর আগে বিকালে বাড়ির মালিক ফজলুল হকসহ স্থানীয় কয়েকজন ঘটনা মীমাংসার উদ্যোগ নিয়ে কালু মিয়ার বাড়িতে এক সালিশ বৈঠক বসে। সেখানে দেলোয়ার হোসেন দিলু বিচার করে হাতিয়ে নেয়া সেই টাকা পরিশোধের আশ্বাস দেয়।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল গণমাধ্যমের কর্মীরা ওই বাসায় গেলে ধর্ষিতার বোন প্রথমে ভয়ে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে তিনি ও অন্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে চলেন। বাড়ির মালিক ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের বলেছি থানায় মামলা করতে। কিন্তু তারা ভয়ে মামলা করবে না বলে জানিয়েছে। মামলা করতে তাদের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে ধর্ষক কবির ও আজিজ ওরফে সেলুন আজিজ গতকাল সকালে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিকে সালিশের বিচারক দেলোয়ার হোসেন দিলু ধর্ষণের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ঘরে ঢুকে তারা ছিনতাই করেছে। আমরা বিচার করে দিয়েছি। বিচারে ছিনতাইয়ের সেই ৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাভার মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তিনি স্পটে এসআই হাসেম আলীকে পাঠিয়েছিলেন। কেউ অভিযোগ না দেয়ায় মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে এ ঘটনার খবর পেয়ে গতকাল গণমাধ্যমের কর্মীরা ওই বাসায় গেলে ধর্ষিতার বোন প্রথমে ভয়ে কাঁপা কাঁপা কণ্ঠে ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে তিনি ও অন্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের এড়িয়ে চলেন। বাড়ির মালিক ফজলুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, তাদের বলেছি থানায় মামলা করতে। কিন্তু তারা ভয়ে মামলা করবে না বলে জানিয়েছে। মামলা করতে তাদের সহযোগিতারও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তবে ধর্ষক কবির ও আজিজ ওরফে সেলুন আজিজ গতকাল সকালে গা-ঢাকা দিয়েছে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন। এদিকে সালিশের বিচারক দেলোয়ার হোসেন দিলু ধর্ষণের বিষয় অস্বীকার করে বলেন, ঘরে ঢুকে তারা ছিনতাই করেছে। আমরা বিচার করে দিয়েছি। বিচারে ছিনতাইয়ের সেই ৫ হাজার টাকা ফেরত দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। সাভার মডেল থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তিনি স্পটে এসআই হাসেম আলীকে পাঠিয়েছিলেন। কেউ অভিযোগ না দেয়ায় মামলা হয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
No comments