‘বাবা লাল জামা লিয়ে আসে না ক্যান মা!’ by অহিদুল হক
‘বাবা আমার জামা আইনতে গেছে, লাল জামা।
কিন্তু জামা লিয়ে আসে না ক্যান। আমার বাবা আমাক থুইয়ে (রেখে) কতি গেছে মা।’
মায়ের কাছে আধো আধো বোলে মাঝে মাঝেই এ প্রশ্ন করছে মর্মান্তিক বাস
দুর্ঘটনায় নিহত গুরুদাসপুরের শিধুলী গ্রামের বাহাদুর আলীর একমাত্র কন্যা
শাহনাজ খাতুন সৃষ্টি (৩)। তার এমন আবেগঘন প্রশ্নের কোনো জবাব দিতে পারছেন
না বাহাদুরের স্ত্রী শিল্পী। আঁচলে মুখ ঢেকে শুধুই কাঁদছেন তিনি।
গত ২০ অক্টোবর কোর্টে হাজিরা দিতে নাটোর গিয়েছিলেন বাহাদুর। যাওয়ার সময় মেয়ের জন্য লাল রঙের জামা কিনে আনবেন বলে মেয়ে আর স্ত্রীকে বলে যান। কিন্তু লাল জামা নিয়ে বাড়ি পৌঁছার আগেই বড়াইগ্রামের রেজুর মোড়ে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা তার জীবনপ্রদীপ চীরতরে নিভিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, বাহাদুর দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। অভাবের সঙ্গে যে তাদের নিত্য বোঝাপড়া সেটা ঘরবাড়ির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বৃদ্ধ বাবা-মাসহ পাঁচ সদস্যের পরিবার তার আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বাস দুর্ঘটনায় বাহাদুরের মৃত্যুতে তারা অথৈ সাগরে ভাসছেন। ঘটনার ১৫ দিন পরেও স্বাভাবিক হতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তাদের কান্না গ্রামের মানুষদেরও প্রতিনিয়ত কাঁদিয়ে চলেছে।
বাহাদুরের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মজিদ চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ রাস্তায় গাড়ি ধরছে, কাগজপত্র দেখছে। কিন্তু তারা যদি আগেই এ কাজ করতো, তাহলে বুড়ো বয়সে পুত্রশোকে আমাকে কাঁদতে হতো না।
গত ২০ অক্টোবর কোর্টে হাজিরা দিতে নাটোর গিয়েছিলেন বাহাদুর। যাওয়ার সময় মেয়ের জন্য লাল রঙের জামা কিনে আনবেন বলে মেয়ে আর স্ত্রীকে বলে যান। কিন্তু লাল জামা নিয়ে বাড়ি পৌঁছার আগেই বড়াইগ্রামের রেজুর মোড়ে ভয়াবহ বাস দুর্ঘটনা তার জীবনপ্রদীপ চীরতরে নিভিয়ে দিয়েছে।
জানা গেছে, বাহাদুর দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতেন। অভাবের সঙ্গে যে তাদের নিত্য বোঝাপড়া সেটা ঘরবাড়ির দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বৃদ্ধ বাবা-মাসহ পাঁচ সদস্যের পরিবার তার আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। কিন্তু বাস দুর্ঘটনায় বাহাদুরের মৃত্যুতে তারা অথৈ সাগরে ভাসছেন। ঘটনার ১৫ দিন পরেও স্বাভাবিক হতে পারেননি পরিবারের সদস্যরা। তাদের কান্না গ্রামের মানুষদেরও প্রতিনিয়ত কাঁদিয়ে চলেছে।
বাহাদুরের বৃদ্ধ বাবা আব্দুল মজিদ চোখের পানি মুছতে মুছতে বলেন, দুর্ঘটনার পর পুলিশ রাস্তায় গাড়ি ধরছে, কাগজপত্র দেখছে। কিন্তু তারা যদি আগেই এ কাজ করতো, তাহলে বুড়ো বয়সে পুত্রশোকে আমাকে কাঁদতে হতো না।
No comments