ডার্লিং হারবারে হ্যালোইনের রাতে by হ্যাপি রহমান
আকাশছোঁয়া
স্বচ্ছ অথৈ নীল জলের দেয়াল আর আকাশের বুকে শুভ্র মেঘের লুকোচুরি, সব
মিলিয়েই অদ্ভুত নৈসর্গিক সৌন্দর্য। ছোট ছোট পাথরের পাহাড়ের বুক চিড়ে
বয়ে চলেছে কৃত্রিম ঝরনা। ডার্লিং হারবারের চারপাশে স্তরে স্তরে সাজানো
নানা রঙের নুড়ি পাথর। সঙ্গে অথৈ নীলের ক্যানভাস। স্বচ্ছ নীল জল সৌন্দর্য
আর বৈচিত্র্যে মগ্ন চৈতন্যে কড়া নাড়িয়ে দেয় আসা সব পর্যটককে!
>>হ্যালোইনের রাতে ডার্লিং হারবারে আতশবাজি
অস্ট্রেলিয়া
মূলত ব্রিটিশদের মাধ্যমে গোড়াপত্তন ও উন্নত। ব্রিটিশ ক্যাপ্টেন জেমস কুক
১৭৭০ সালে দেশটি আবিষ্কার করেন। আবহাওয়া কখনো শীত, কখনো নাতিশীতোষ্ণ।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে জনপ্রিয় রাজ্য বা প্রদেশ নিউ সাউথ ওয়েলস মূলত
সমুদ্র সৈকতগুলোর জন্যই বিখ্যাত।
>>ডার্লিং হারবারে ভাসমান রেস্তোরাঁ
>>ডার্লিং হারবারে ভাসমান রেস্তোরাঁ
ডার্লিং
হারবার তার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ও উল্লেখযোগ্য। এটি সমুদ্র তীরবর্তী
এলাকায় অবস্থিত। এর চারপাশে গড়ে উঠেছে ২৪টি বার ও রেস্তোরাঁ, বিনোদনের
জন্য বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর স্থান। অসংখ্য ভাসমান জাহাজের কোনোটায় রেস্তোরাঁ,
কোনোটায় বার, পার্টির জমজমাট ব্যস্ত আয়োজন। রাতের হারবার প্রতিটি
পর্যটকের মুগ্ধতা কেড়ে নেয়। নানা রঙের আলোয় সজ্জিত ভবনগুলো চোখ ধাঁধানো
সৌন্দর্যে ভরপুর। চারপাশে হইচই, উৎসবমুখর পরিবেশ, দম ফেলার ফুসরত নেই কারও।
এ যেন জীবনের অন্য এক জগৎ, রঙিন অধ্যায়।
হারবার সেতুটি বহুকাল আগে ইংরেজদের তৈরি। কিন্তু কাঠামোগত দিক থেকে এটি এখনো মজবুত এবং শক্ত ভিত্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি কাঠ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি। নিচের দিকে স্টিল ও কাঠের পিলার রয়েছে। কাঠামোর অধিকাংশই কাঠ দিয়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলী। দক্ষ কারিগরেরা এগুলো তৈরি করেছেন। নিপুণ কারুকার্যখচিত কাঠের সঙ্গে স্টিলও ব্যবহৃত হয়েছে। সেতুটির মেঝে কংক্রিট-নির্মিত।
হারবার সেতুর দুই পাশ থেকেই নিচের দিকে নামা যায়। হারবার এলাকাটি নানা রকমের টাইলস বসিয়ে সেখানে কৃত্রিম ঝরনা, নানা রকমের কৃত্রিম গাছ এবং নানা রঙের আলোকসজ্জিত লাইট ব্যবহৃত হয়েছে।
সিডনি হারবারের ওপর উত্তর ও দক্ষিণ সিডনির মাঝে সংযোগ স্থাপনকারী দৃষ্টিনন্দন এই সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১১৫০ মিটার এবং এর ওপর দিয়ে ট্রেন, গাড়ি, সাইকেল ও মানুষ চলাচলের রাস্তা আছে। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি রাত ১২টায় এই সেতুর ওপর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আর বর্ণাঢ্য আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়।
সিডনির প্রাণকেন্দ্র ডার্লিং হারবার সত্যিই প্রকৃতির অপরূপ রূপসী কন্যা। ডার্লিং হারবার থেকে সামান্য দূরে (১০ মিনিটের হাঁটা পথ) ডার্লিং হারবার সিডনির প্রধান ফেরিঘাট। সিডনির অন্যতম প্রধান যাতায়াতের বাহন হচ্ছে ফেরি, যা প্রধানত ডার্লিং হারবারকেন্দ্রিক। আমি আর আমার মেয়ে অথৈ প্রতিবারই ফেরিতে করে ঘুরি। কারণ, প্রশান্ত মহাসাগরের স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর তার চারপাশে নানা রঙের নানা আকারের ছোট-বড় পাথরের পাহাড়ঘেরা অপূর্ব ডার্লিং হারবার আমাকে হাতছানি দেয় বার বার। আমিও সাড়া দিই তার পাগলকরা রূপে।
সিডনির সুরম্য সব অট্টালিকা এবং নামকরা হোটেলগুলো এই হারবারকে ঘিরে। দর্শনীয় কয়েকটি স্থান যেমন-আকুয়ারিয়াম, ওয়াইল্ড লাইফ মিউজিয়াম, মাদাম তুসোর মিউজিয়াম, মেরিটাইম মিউজিয়াম ইত্যাদি এই হারবারের পাশে অবস্থিত। পর্যটনের ‘হপ অন হপ অফ’ বাসে চড়ে সিডনি সিবিডির চারপাশ ঘুরে ডার্লিং হারবারে আসা-যায়। হারবারে বেড়ানোর জন্য ছোট খেলনা ট্রেনের মতো ট্রেন আছে। আবার এখান থেকেই একটা মোনো রেলও ছেড়ে যায় সিডনি শহর কিছুটা ঘুরে দেখার জন্য। এখানে পর্যটকদের জন্য আছে চোখ ধাঁধানো সব রেস্তোরাঁ, চকচকে ঝকঝকে নামীদামি সব ব্র্যান্ডের দোকানপাট।
প্রচুর প্রমোদতরি হারবারের বুকে ঠাঁই নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গোনে পর্যটকদের জন্য। যেন সওদাগরের বজরা দূর অজানার উদ্দেশে রওনা হবে এখনি। শুধু বর্ষ বরণের সময় নয়, বিভিন্ন সময় বিশেষ দিনগুলোতেও ছোটখাটো আতশবাজির (ফায়ার ওয়ার্কস) আয়োজন করা হয়। পয়লা নভেম্বর শনিবার রাত নয়টায় পশ্চিমা কালচার হ্যালোইন ডেতে আয়োজন করা হয়েছিল আতশবাজির। এসব আতশবাজি হারবার সেতুর ব্যাপকতা, সৌন্দর্য ও আয়োজনের কাছে অবিশ্বাস্য ভালো লাগায় মন ভালো করে দেয় মুহূর্তেই। হারবার সেতুসহ সংলগ্ন বিশাল এলাকা বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছিল সেদিন। উপস্থিত পর্যটকদের আনন্দধ্বনি ও হাজারো সুরের মূর্ছনায় উৎসবমখুর আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে তার চারপাশ।
হ্যাপি রহমান
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
হারবার সেতুটি বহুকাল আগে ইংরেজদের তৈরি। কিন্তু কাঠামোগত দিক থেকে এটি এখনো মজবুত এবং শক্ত ভিত্তি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এটি কাঠ ও লোহার সমন্বয়ে তৈরি। নিচের দিকে স্টিল ও কাঠের পিলার রয়েছে। কাঠামোর অধিকাংশই কাঠ দিয়ে তৈরি দৃষ্টিনন্দন নির্মাণশৈলী। দক্ষ কারিগরেরা এগুলো তৈরি করেছেন। নিপুণ কারুকার্যখচিত কাঠের সঙ্গে স্টিলও ব্যবহৃত হয়েছে। সেতুটির মেঝে কংক্রিট-নির্মিত।
হারবার সেতুর দুই পাশ থেকেই নিচের দিকে নামা যায়। হারবার এলাকাটি নানা রকমের টাইলস বসিয়ে সেখানে কৃত্রিম ঝরনা, নানা রকমের কৃত্রিম গাছ এবং নানা রঙের আলোকসজ্জিত লাইট ব্যবহৃত হয়েছে।
সিডনি হারবারের ওপর উত্তর ও দক্ষিণ সিডনির মাঝে সংযোগ স্থাপনকারী দৃষ্টিনন্দন এই সেতু। এর দৈর্ঘ্য ১১৫০ মিটার এবং এর ওপর দিয়ে ট্রেন, গাড়ি, সাইকেল ও মানুষ চলাচলের রাস্তা আছে। প্রতিবছর ১ জানুয়ারি রাত ১২টায় এই সেতুর ওপর পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আর বর্ণাঢ্য আতশবাজি অনুষ্ঠিত হয়।
সিডনির প্রাণকেন্দ্র ডার্লিং হারবার সত্যিই প্রকৃতির অপরূপ রূপসী কন্যা। ডার্লিং হারবার থেকে সামান্য দূরে (১০ মিনিটের হাঁটা পথ) ডার্লিং হারবার সিডনির প্রধান ফেরিঘাট। সিডনির অন্যতম প্রধান যাতায়াতের বাহন হচ্ছে ফেরি, যা প্রধানত ডার্লিং হারবারকেন্দ্রিক। আমি আর আমার মেয়ে অথৈ প্রতিবারই ফেরিতে করে ঘুরি। কারণ, প্রশান্ত মহাসাগরের স্বচ্ছ নীল জলরাশি আর তার চারপাশে নানা রঙের নানা আকারের ছোট-বড় পাথরের পাহাড়ঘেরা অপূর্ব ডার্লিং হারবার আমাকে হাতছানি দেয় বার বার। আমিও সাড়া দিই তার পাগলকরা রূপে।
সিডনির সুরম্য সব অট্টালিকা এবং নামকরা হোটেলগুলো এই হারবারকে ঘিরে। দর্শনীয় কয়েকটি স্থান যেমন-আকুয়ারিয়াম, ওয়াইল্ড লাইফ মিউজিয়াম, মাদাম তুসোর মিউজিয়াম, মেরিটাইম মিউজিয়াম ইত্যাদি এই হারবারের পাশে অবস্থিত। পর্যটনের ‘হপ অন হপ অফ’ বাসে চড়ে সিডনি সিবিডির চারপাশ ঘুরে ডার্লিং হারবারে আসা-যায়। হারবারে বেড়ানোর জন্য ছোট খেলনা ট্রেনের মতো ট্রেন আছে। আবার এখান থেকেই একটা মোনো রেলও ছেড়ে যায় সিডনি শহর কিছুটা ঘুরে দেখার জন্য। এখানে পর্যটকদের জন্য আছে চোখ ধাঁধানো সব রেস্তোরাঁ, চকচকে ঝকঝকে নামীদামি সব ব্র্যান্ডের দোকানপাট।
প্রচুর প্রমোদতরি হারবারের বুকে ঠাঁই নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গোনে পর্যটকদের জন্য। যেন সওদাগরের বজরা দূর অজানার উদ্দেশে রওনা হবে এখনি। শুধু বর্ষ বরণের সময় নয়, বিভিন্ন সময় বিশেষ দিনগুলোতেও ছোটখাটো আতশবাজির (ফায়ার ওয়ার্কস) আয়োজন করা হয়। পয়লা নভেম্বর শনিবার রাত নয়টায় পশ্চিমা কালচার হ্যালোইন ডেতে আয়োজন করা হয়েছিল আতশবাজির। এসব আতশবাজি হারবার সেতুর ব্যাপকতা, সৌন্দর্য ও আয়োজনের কাছে অবিশ্বাস্য ভালো লাগায় মন ভালো করে দেয় মুহূর্তেই। হারবার সেতুসহ সংলগ্ন বিশাল এলাকা বর্ণিল আলোকসজ্জায় সেজেছিল সেদিন। উপস্থিত পর্যটকদের আনন্দধ্বনি ও হাজারো সুরের মূর্ছনায় উৎসবমখুর আনন্দে মুখরিত হয়ে ওঠে তার চারপাশ।
হ্যাপি রহমান
সিডনি, অস্ট্রেলিয়া
No comments