চুল পড়া রোধ করতে by ডা. দিদারুল আহসান
সাধারণত প্রাকৃতিকভাবেই আমরা প্রতিদিন কিছু চুল হারাই। এ চুল পড়ার হার যদি বেশি হয় এবং দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকে, তাহলে আমাদের বিশেষ ব্যবস্থা নিতে হবে যাতে চুল পড়ার এ অস্বাভাবিক ব্যাপারটা আমাদের হাতের নাগালের বাইরে চলে না যায়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের শরীরে আয়রনের অভাবে চুল পড়ে যায়। আয়রনের অভাবে আমাদের দেহে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কমে যায়, যা আমাদের চুলের গোড়ার (হেয়ার ফলিকল) জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একটি ছোট ডায়াগনস্টিক টেস্টের মাধ্যমে আপনি নিশ্চিত হতে পারেন যে, আপনার শরীরে লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা কম কিনা। যদি তাই হয়, তাহলে প্রচুর পরিমাণে লালশাক, কচুশাক খেতে হবে। এতেও যদি লোহিত রক্ত কণিকার সংখ্যা না বাড়ে তাহলে আয়রন ও ভিটামিন সি (শরীরে আয়রন গ্রহণে সহায়তা করে) এর সংমিশ্রণে কিছু ট্যাবলেট পাওয়া যায়, তা খেতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এ পদ্ধতি ভালো কাজ দেয়।
ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এ উপাদান থাকে। তবে সেসব মাছ আমাদের দেশে সবসময় পাওয়া যায় বলে জানা নেই (স্যামন, ম্যাকারেল ইত্যাদি)। আমাদের দেশে একটি জিনিস পাওয়া যায়, তা হল তিশির তেল। এ তিশির তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, এ তিশির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ তিশির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ফর্মেও পাওয়া যায়।
যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে, তারা চুলে উল্টাপাল্টা কিছু ব্যবহার করবেন না। বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হবেন না। তেল, তা যত দামিই হোক, চুলের পুষ্টি যোগাতে পারে না। চুলে তেল দিলেও ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলবেন। হেয়ার স্টাইল জেল ব্যবহার না করাই ভালো। বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য চুল পড়ে যেতে পারে। যেমন, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড সমস্যা, রক্তশূন্যতা, হৃদরোগে ব্যবহার করা ওষুধ ইত্যাদি।
সবচেয়ে বেশি চুল পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে বংশগতির কারণে। যাদের বংশে চুল পড়ার ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। এ ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আজকাল চুল ধরে রাখার বা গজানোর অনেক কার্যকরী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। মেসোথেরাপি ও পিআরপিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার নতুন সংযোজন। সবশেষে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যানটেশন তো রয়েছেই। চুল ঝরে যাওয়ার জন্য এখন হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
লেখক : ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ, আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট। মোবাইল : ০১৭১৫৬১৬২০০
ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড চুল পড়া রোধে কার্যকর। সাধারণত বিশেষ ধরনের মাছে এ উপাদান থাকে। তবে সেসব মাছ আমাদের দেশে সবসময় পাওয়া যায় বলে জানা নেই (স্যামন, ম্যাকারেল ইত্যাদি)। আমাদের দেশে একটি জিনিস পাওয়া যায়, তা হল তিশির তেল। এ তিশির তেলে প্রচুর পরিমাণে ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায়। মনে রাখবেন, এ তিশির তেল কিন্তু মাথায় লাগানোর জন্য নয় অথবা রান্নায় ব্যবহার করার জন্যও নয়। প্রতিদিন ২ চা চামচ পরিমাণ তিশির তেল সালাদের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে হবে। তাহলে আপনার চুল পড়া অনেক কমে আসতে পারে। ওমেগা-থ্রি (৩) ফ্যাটি অ্যাসিড ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল ফর্মেও পাওয়া যায়।
যাদের চুল পড়ে যাচ্ছে, তারা চুলে উল্টাপাল্টা কিছু ব্যবহার করবেন না। বিজ্ঞাপনে বিভ্রান্ত হবেন না। তেল, তা যত দামিই হোক, চুলের পুষ্টি যোগাতে পারে না। চুলে তেল দিলেও ১ ঘণ্টা রেখে শ্যাম্পু করে ফেলবেন। হেয়ার স্টাইল জেল ব্যবহার না করাই ভালো। বিভিন্ন শারীরিক ও মানসিক সমস্যার জন্য চুল পড়ে যেতে পারে। যেমন, দুশ্চিন্তা, থাইরয়েড সমস্যা, রক্তশূন্যতা, হৃদরোগে ব্যবহার করা ওষুধ ইত্যাদি।
সবচেয়ে বেশি চুল পড়ার ঘটনা ঘটে থাকে বংশগতির কারণে। যাদের বংশে চুল পড়ার ইতিহাস আছে, তাদের ক্ষেত্রে চুল পড়ার হার স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি হতে পারে। এ ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার পাশাপাশি আজকাল চুল ধরে রাখার বা গজানোর অনেক কার্যকরী ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে। মেসোথেরাপি ও পিআরপিতে চিকিৎসা ব্যবস্থার নতুন সংযোজন। সবশেষে হেয়ার ট্রান্সপ্ল্যানটেশন তো রয়েছেই। চুল ঝরে যাওয়ার জন্য এখন হতাশ হওয়ার কোনো কারণ নেই।
লেখক : ত্বক ও যৌনব্যাধি বিশেষজ্ঞ, আল-রাজি হাসপাতাল, ফার্মগেট। মোবাইল : ০১৭১৫৬১৬২০০
No comments