‘গুলি করে দেব,এসপি স্যারের নির্দেশ আছে’ by ইকবাল আহমদ সরকার
হরতালের পক্ষে কোন ধরণের মিছিল বের করা
হলে গুলি করার হুমকি দিয়েছে গাজীপুর থানা পুলিশ। এ নিয়ে জেলায় যোগ দেয়া
নতুন এসপির নির্দেশনা রয়েছে বলে হরতাল সমর্থনকারিদের জানানো হয়। সকালে
নগরের জোড়পুকুর এলাকায় বিএনপি নেতা আব্দুস সালাম শামীমের নেতৃত্বে পিকেটিং
করার চেষ্টা করে। পরে পুলিশের গুলি করার হুমকিতে মিছিল না করেই নেতাকর্মীরা
চলে যায়। জেলা বিএনপির সহ প্রচার সম্পাদক ও পৌর বিএনপির সহসভাপতি আব্দুস
সালাম মানবজমিনকে জানান, হরতালের পিকেটিং করার জন্য ছাত্রনেতা খান জাহিদুল
ইসলাম, মনির হোসেনসহ ৩০-৩৫ জন নেতা কর্মী সাড়ে আটটায় জোরপুকুর মসজিদের
সামনে জড়ো হই। এসময় পুলিশের কয়েকজন এসআই- এএসআই ১০ -১২ জন কনস্টেবল সঙ্গে
নিয়ে আমাদের বলেন, কোন মিছিল করবেন না, করলে গুলি করে দেব, নতুন এসপি স্যার
আসছেন, ওনার নির্দেশ আছে, হরতালের পক্ষে কোন কর্মকান্ড করবেন না, যার যার
মত চলে যান। পুলিশের এ হুমকির পর পর তারা ঝুঁকি নিয়ে আর মিছিল করেননি। যার
যার মত চলে যায়। তবে কোন কোন এসআই বা এএসআই এ হুমকি দিয়েছে তাদের নাম
জানাতে পারেননি ওই বিএনপি নেতা। মোহাম্মদ হারুণ অর রশীদ সম্প্রতি ঢাকা থেকে
গাজীপুরে পুলিশ সুপার হিসেবে বদলী হয়েছেন। এর আগে সাবেক বিরোধী দলীয় চীফ
হুইপ জয়নুল আবদীন ফারুককে হরতালে শারিরীকভাবে নির্যাতন করে আলোচিত হয়েছিলেন
তিনি। এদিকে গাজীপুর জেলা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে থেকে সকাল ১০ টায় জেলা
বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ডা. মাজহারুল আলমের নেতৃত্বে হরতালের মিছিল বের করতে
চাইলে পুলিশ তাতে বাধা দেয়। পরে সেখানে দাঁড়িয়েই হরতালের পক্ষে তারা কয়েক
মিনিট বিক্ষোভ করে। হরতালের সকালে রাজপথে এমনকি দলীয় অফিসেও দেখা যায়নি
জেলা বিএনপির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদকসহ অনেক সিনিয়র নেতাদের। তবে সকালে
দলীয় কার্যালয়ে পৌর বিএনপি সভাপতি মীর হালিমুজ্জামান ননী, আহাম্মদ আলী
রুশদী, ডা. মাজহারুল আলম মন্ডল, মুক্তিযোদ্ধা এসকে জবিউল্লাহ, জয়নাল
তালুকদার, সৈয়দ হাসান সোহেল, আসাদুজ্জামান সোহেল, খন্দকার নাজমুল, মাহমুদ
রাজু, বাপ্পীদেসহ কয়েকজন নেতাকে পুলিশ পাহারায় পার্টি অফিসে বসে থাকতে দেখা
গেছে। গাজীপুরের সর্বত্র ঢিলেঢালা ভাবে হরতাল পালিত হয়েছে। মহাসড়কে
দূরপাল্লার বাস চলাচল না করলেও নগর জুড়ে আঞ্চলিক সড়কের বাস ও সব ধরণের ছোট
যানবাহন চলাচল করছে সকাল থেকে।
No comments