এক চট্টগ্রাম বন্দর দুই ক্ষুব্ধ নেতা by মহিউদ্দীন জুয়েল
নৌমন্ত্রী
শাজাহান খান ক্ষুব্ধ। অন্যদিকে ক্ষুব্ধ মহিউদ্দিন চৌধুরী। দু’জনেই নিজেদের
পক্ষে অনড়। তবে পরিস্থিতি এখন উত্তপ্ত। চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে মুখোমুখি
তারা। বিষয়টি গড়াচ্ছে দলের উচ্চ পর্যায়েও। মন্ত্রী শাজাহান খানের ক্ষোভ
বাড়ছে। তার বক্তব্য, চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র আন্দোলনের নামে বন্দরকে
অরক্ষার পাঁয়তারা করছেন। তিনি বন্দর নিয়ে যে সব কর্মসূচি দিচ্ছেন তা
নৌমন্ত্রীর সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সরকারের বিরুদ্ধাচরণ। নিজের
প্রভাব খাটানোর জন্য তিনি বন্দরকে কুক্ষিগত রাখার চেষ্টা করছেন। এই নিয়ে
একাধিকবার তার সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। কিন্তু বারবারই মহিউদ্দিন চৌধুরী
অযৌক্তিক দাবি তুলে বন্দর রক্ষার আন্দোলনের কথা বলেছেন। অন্যদিকে মন্ত্রী
শাজাহান খানের কাছে বারবার দাবি দেয়ার পরও সেগুলো বাস্তবায়িত না হওয়ায় ভীষণ
রাগান্বিত চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র। বর্তমান নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শেখ
হাসিনার আস্থাভাজন বলে পরিচিত মহিউদ্দিন চৌধুরী কয়েক মাস আগে নৌমন্ত্রীর
সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে তিনি বন্দর রক্ষায় ১০ দফা দাবি পেশ করেছিলেন।
সেখানে কনটেইনার ওঠানামার কাজে যুক্ত প্রতিষ্ঠান সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড
নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি বাতিলের দাবি জানান। মূলত এই
প্রতিষ্ঠানকে নিয়েই দু’জনের মধ্যে দ্বন্দ্ব। সর্বশেষ গত শনিবার চট্টগ্রামে
এসে মহিউদ্দিন চৌধুরীর কর্মকাণ্ডে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মন্ত্রী শাজাহান খান।
এই সময় তিনি সাবেক মেয়রকে যৌক্তিক দাবি নিয়ে কথা না বলার আহ্বান জানান।
বক্তব্যে মন্ত্রী কড়া সমালোচনা করেন তার। বন্দর নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন এবং
কর্ণফুলী নদী দূষণ রোধকল্পে খাল ও নদী খনন কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন
অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান।
তিনি
বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষার জন্য যারা আন্দোলন করছেন, তারা আসলে বন্দর
অরক্ষার আন্দোলন করছেন। তারা বারবারই বলছেন এই বন্দর নাকি মাফিয়াদের খপ্পরে
পড়েছে। আমি মনে করি তারা সত্যি কথা বলছেন না।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় ১০ দফা দাবি দিয়েছিলেন। আমরা তার সঙ্গে বসেছিলাম। তিনি আলোচনায় দাবিগুলোর ব্যাপারে কোন জবাব দিতে পারেননি। এবারও তিনি ১০ দফা দাবি দিয়েছেন। ওনার দাবিগুলো অযৌক্তিক।
শাজাহান খান আরও বলেন, আমি বুঝি না কেন বলা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর মাফিয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে। এসব কথাবার্তা ঠিক নয়। যারা বলছে, তাদের উদ্দেশ্য কি তা বুঝতে পারি না। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে বিদেশ থেকে জাহাজ আসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই বন্দর নিয়ে সারা বিশ্বে যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। মাফিয়ারা মানুষ খুন করে। মাফিয়ারা মাদক ব্যবসা করে। মাফিয়ারা অর্থ পাচার করে। এখানে কি এসব হচ্ছে?
অনুষ্ঠানে এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মনজুর আলম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা।
অনুষ্ঠান শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান মানবজমিনকে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারও প্রতি আমার কোন রাগ নেই। তবে মাঝে মাঝে খুব অভিমান হয়। যখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে যাই তখনই হঠাৎ করে বাধা চলে আসে। তবে এ সব বাধা আমি ভয় পাই না। আমি আমার কাজ করে যাবো।
মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তিনি একজন বর্ষীয়ান নেতা। তার সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। তবে বন্দর নিয়ে তার যুক্তির সঙ্গে কিছুক্ষেত্রে আমার দ্বিমত রয়েছে। তিনি যেসব দাবি কিংবা অভিযোগ দিয়েছিলেন তা ঠিক নয়। এখানে কেউ যদি রাগও হয় তা আমার করার কিছু নেই। আমরা তার দেয়া ১০ দফা দাবি খতিয়ে দেখেছি। এগুলোর সত্যতা নেই।
মন্ত্রী বলেন, বন্দর রক্ষায় আবারও ১০ দফা দিয়েছেন তিনি। তাকে আহ্বান করবো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। আসুন, বসুন, আলোচনা করি। আমি আলোচনায় বিশ্বাস করি। রাস্তায় কিছু না বলে আলোচনায় আসুন। আপনার যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনার অযৌক্তিক দাবিগুলো আমরা দেখিয়ে দিয়ে বলবো এটি সঠিক নয়।
বন্দর নিয়ে শাজাহান খান বিচলিত না হলেও ভীষণ চিন্তিত সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। ক্ষমতাসীন দলের এই প্রভাবশালী নেতা চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদের ব্যানারে গত ৩ মাস ধরে সমাবেশ, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। বন্দরের নানা অনিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ দেয়ার অভিযোগে তিনি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বন্দরের শ্রমিকদের নিয়ে বিশাল সমাবেশও করেছেন। আর এই কাজটি করতে গিয়েই দূরত্ব তৈরি হয়েছে শাজাহান খানের সঙ্গে।
কিছুদিন আগে প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কেউ রাজনীতি করলে পরিণাম ভাল হবে না। সাইফ পাওয়ারটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান বন্দরে কিভাবে কাজ করছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি জানি, তারা অবৈধভাবে সেখানে আছে। চুক্তিভঙ্গ করে তারা বন্দরকে জিম্মি করে রেখেছে। ওদেরকে শেল্টার দিচ্ছেন ঘাপটি মেরে থাকা একটি প্রভাবশালী মহল। তারা নতুনভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।
বক্তব্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী শেল্টার কিংবা কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ার যে কথা তুলে ধরেছেন তা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এই নিয়ে শাজাহান খানের ওপরও তার ভীষণ রাগ বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক নামের ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অবস্থান নিয়েছেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তার অভিযোগ, গত ৮ বছর ধরে একচেটিয়া চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কাজ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে হাতে রেখে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
গত ২৫শে আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে আরও কথা বলেন বর্তমান নগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি। তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, বন্দর অচলের কাজে যদি কেউ সাইফ পাওয়ারটেককে প্রশ্রয় দেয় তাহলে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। কিছুতেই দেশের স্বর্ণদ্বার বন্দরকে কুক্ষিগত হতে দেবো না। এই নিয়ে কোন ধরনের রাজনীতি চলবে না। ওই প্রতিষ্ঠান বন্দরের অনেক টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। এতে বন্দরের সঙ্গে জড়িত সব লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা একটি মাফিয়া। আমি এই মাফিয়াদের হাত থেকে চট্টগ্রামের মানুষকে বাঁচাতে আন্দোলন শুরু করেছি। এই বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, আমি ফেয়ার রাজনীতি করি। অন্যায়কে কখনওই প্রশ্রয় দেই না। বন্দরে কোন ধরনের অন্যায় কাজ চলবে তা আমি হতে দেবো না। নগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, শাজাহান খানের কাছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এই লক্ষ্যে তিনি ১০ দফা দাবিও পেশ করেছিলেন। কিন্তু শাজাহান খান তার অনুরোধ না রাখায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে এই নিয়ে চাপা বিরোধ সৃষ্টি হয়। দিন দিন এই ক্ষোভ আরও বাড়ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
মহিউদ্দিন চৌধুরীর নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, আমাদের মহিউদ্দিন চৌধুরী চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষায় ১০ দফা দাবি দিয়েছিলেন। আমরা তার সঙ্গে বসেছিলাম। তিনি আলোচনায় দাবিগুলোর ব্যাপারে কোন জবাব দিতে পারেননি। এবারও তিনি ১০ দফা দাবি দিয়েছেন। ওনার দাবিগুলো অযৌক্তিক।
শাজাহান খান আরও বলেন, আমি বুঝি না কেন বলা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দর মাফিয়াদের হাতে চলে যাচ্ছে। এসব কথাবার্তা ঠিক নয়। যারা বলছে, তাদের উদ্দেশ্য কি তা বুঝতে পারি না। যদি এভাবে চলতে থাকে তাহলে বিদেশ থেকে জাহাজ আসা বন্ধ হয়ে যাবে। এই বন্দর নিয়ে সারা বিশ্বে যে ভাবমূর্তি গড়ে উঠেছে তা নষ্ট হয়ে যাবে। মাফিয়ারা মানুষ খুন করে। মাফিয়ারা মাদক ব্যবসা করে। মাফিয়ারা অর্থ পাচার করে। এখানে কি এসব হচ্ছে?
অনুষ্ঠানে এই সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মনজুর আলম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামসহ একাধিক রাজনৈতিক নেতা।
অনুষ্ঠান শেষে নৌপরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান মানবজমিনকে বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর চট্টগ্রাম বন্দর অনেকখানি এগিয়ে গেছে। এই প্রতিষ্ঠানকে অধিক গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে। কারও প্রতি আমার কোন রাগ নেই। তবে মাঝে মাঝে খুব অভিমান হয়। যখনই কোন সিদ্ধান্ত নিতে যাই তখনই হঠাৎ করে বাধা চলে আসে। তবে এ সব বাধা আমি ভয় পাই না। আমি আমার কাজ করে যাবো।
মহিউদ্দিন চৌধুরী প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, তিনি একজন বর্ষীয়ান নেতা। তার সঙ্গে আমার কোন বিরোধ নেই। তবে বন্দর নিয়ে তার যুক্তির সঙ্গে কিছুক্ষেত্রে আমার দ্বিমত রয়েছে। তিনি যেসব দাবি কিংবা অভিযোগ দিয়েছিলেন তা ঠিক নয়। এখানে কেউ যদি রাগও হয় তা আমার করার কিছু নেই। আমরা তার দেয়া ১০ দফা দাবি খতিয়ে দেখেছি। এগুলোর সত্যতা নেই।
মন্ত্রী বলেন, বন্দর রক্ষায় আবারও ১০ দফা দিয়েছেন তিনি। তাকে আহ্বান করবো আন্দোলনের প্রয়োজন নেই। আসুন, বসুন, আলোচনা করি। আমি আলোচনায় বিশ্বাস করি। রাস্তায় কিছু না বলে আলোচনায় আসুন। আপনার যৌক্তিক দাবি বাস্তবায়ন করবো ইনশাআল্লাহ। কিন্তু আপনার অযৌক্তিক দাবিগুলো আমরা দেখিয়ে দিয়ে বলবো এটি সঠিক নয়।
বন্দর নিয়ে শাজাহান খান বিচলিত না হলেও ভীষণ চিন্তিত সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরী। ক্ষমতাসীন দলের এই প্রভাবশালী নেতা চট্টগ্রাম বন্দর রক্ষা পরিষদের ব্যানারে গত ৩ মাস ধরে সমাবেশ, অনশনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন। বন্দরের নানা অনিয়ম ও শর্ত ভঙ্গ করে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেড নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে কাজ দেয়ার অভিযোগে তিনি কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। এর অংশ হিসেবে ইতিমধ্যে বন্দরের শ্রমিকদের নিয়ে বিশাল সমাবেশও করেছেন। আর এই কাজটি করতে গিয়েই দূরত্ব তৈরি হয়েছে শাজাহান খানের সঙ্গে।
কিছুদিন আগে প্রেস ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর নিয়ে কেউ রাজনীতি করলে পরিণাম ভাল হবে না। সাইফ পাওয়ারটেক নামের একটি প্রতিষ্ঠান বন্দরে কিভাবে কাজ করছে তা আমার বোধগম্য নয়। আমি জানি, তারা অবৈধভাবে সেখানে আছে। চুক্তিভঙ্গ করে তারা বন্দরকে জিম্মি করে রেখেছে। ওদেরকে শেল্টার দিচ্ছেন ঘাপটি মেরে থাকা একটি প্রভাবশালী মহল। তারা নতুনভাবে রাজনীতি করার চেষ্টা করছেন।
বক্তব্যে মহিউদ্দিন চৌধুরী শেল্টার কিংবা কোন ধরনের ব্যবস্থা না নেয়ার যে কথা তুলে ধরেছেন তা নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের দিকে ইঙ্গিত করেছেন বলে মনে করছেন সচেতন মহল। এই নিয়ে শাজাহান খানের ওপরও তার ভীষণ রাগ বলে দলের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। সাইফ পাওয়ারটেক নামের ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই অবস্থান নিয়েছেন এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তার অভিযোগ, গত ৮ বছর ধরে একচেটিয়া চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার হ্যান্ডলিং কাজ সম্পূর্ণ অবৈধভাবে হাতে রেখে বিপুল অঙ্কের অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছে এই প্রতিষ্ঠান।
গত ২৫শে আগস্ট চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে আয়োজিত ওই সংবাদ সংবাদ সম্মেলনে এই বিষয়ে আরও কথা বলেন বর্তমান নগর আওয়ামী লীগের এই সভাপতি। তিনি হুঙ্কার দিয়ে বলেন, বন্দর অচলের কাজে যদি কেউ সাইফ পাওয়ারটেককে প্রশ্রয় দেয় তাহলে আমরা শ্রমিকদের নিয়ে তাদের প্রতিহত করবো। কিছুতেই দেশের স্বর্ণদ্বার বন্দরকে কুক্ষিগত হতে দেবো না। এই নিয়ে কোন ধরনের রাজনীতি চলবে না। ওই প্রতিষ্ঠান বন্দরের অনেক টাকা নিয়ে চলে যাচ্ছে। এতে বন্দরের সঙ্গে জড়িত সব লোকজন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। তারা একটি মাফিয়া। আমি এই মাফিয়াদের হাত থেকে চট্টগ্রামের মানুষকে বাঁচাতে আন্দোলন শুরু করেছি। এই বিষয়ে মহিউদ্দিন চৌধুরী মানবজমিনকে বলেন, আমি ফেয়ার রাজনীতি করি। অন্যায়কে কখনওই প্রশ্রয় দেই না। বন্দরে কোন ধরনের অন্যায় কাজ চলবে তা আমি হতে দেবো না। নগর আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, শাজাহান খানের কাছে সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের চুক্তি বাতিলের কথা জানিয়েছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। এই লক্ষ্যে তিনি ১০ দফা দাবিও পেশ করেছিলেন। কিন্তু শাজাহান খান তার অনুরোধ না রাখায় মহিউদ্দিন চৌধুরীর সঙ্গে এই নিয়ে চাপা বিরোধ সৃষ্টি হয়। দিন দিন এই ক্ষোভ আরও বাড়ছে বলে সূত্রটি জানিয়েছে।
No comments