ঈদে নতুন জামা আর পুরোনো কাপড়ের কাফন >> ইসরাইলের বর্বর ও নৃশংস বোমা হামলায় গাজার মৃত-অর্ধমৃতদের নিয়ে একটি ছবি গ্যালারী
ইসরাইলের বর্বর ও নৃশংস বোমা হামলায় গাজার মৃত-অর্ধমৃতদের নিয়ে একটি ছবি গ্যালারী > ঈদে নতুন জামা আর পুরোনো কাপড়ের কাফন
মৃত-অর্ধমৃতের ভিড়ে পা রাখার জায়গা নেই
গাজাবাসীর
প্রাণের কেন্দ্র আল শিফা হাসপাতাল। জীবন বাঁচানোর যুদ্ধে দিন-রাত ২৪ ঘণ্টা
সেবা দিয়ে যাচ্ছে এই চিকিৎসা কেন্দ্র। ইসরাইলের নৃশংস বোমা হামলায় আহতদের
সার্বক্ষণিক পাশে থাকছে এই হাসপাতাল। কর্মকর্তা, ডাক্তার, পুলিশ, নার্স ও
কর্মীদের বিরাম নেই কর্তব্যে। কিন্তু এই প্রাণ কেন্দ্রই এখন রূপ নিয়েছে
মরদেহ রাখার হিমাগারে! লাশে গিজ গিজ করছে হাসপাতাল কমপাউন্ড। মৃত আর
অর্ধমৃতের ভিড়ে পা রাখার জায়গা নেই। অসহায় শিফা হাসাপাতালের চালচিত্র তুলে
ধরলেন চিকিৎসকরা। ইসরাইলের গাজা আক্রমণে মুহুর্মুহু বিমান হামলা ও স্থল
হামলায় প্রতিদিনই বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। তবু মেডিকেল টিম তাদের সর্বোচ্চ
শক্তি দিয়ে চেষ্টা করছে রোগীর জীবন বাঁচাতে। বর্তমানে এই হাসপাতালটি
মেডিকেল সরঞ্জামাদি ও আর্থিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করেই টিকে আছে। স্বাস্থ্য
মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ডা. আশলাফ আল কিদরা বলেন, ‘কম বেতন ও জীবনের ঝুঁকি
সত্ত্বেও আমাদের মেডিকেল টিম গাজার সব জনগণকে সেবা দিয়ে যাচ্ছে।’ সবচেয়ে
করুণ ও বেদনার ব্যাপার হচ্ছে চোখের সামনে নিহত হচ্ছে ডাক্তরদের প্রিয়জন
স্বজনরাই। ডা. কিদরা বলেন, ‘আমাদের হাসাপাতালের একজন ডাক্তার মাজদি নাইম
দেখেন ইসরাইলের হামলায় তার ছেলে আবেদ আল রহমান নিহত হয়েছে।’ আল শিফা
হাসপাতালে এখন নিদারুণ ওষুধ সংকট। প্রয়োজনীয় জরুরি মেডিকেল সরঞ্জামাদির
পর্যাপ্ত ব্যবস্থাই নেই। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ‘অত্যন্ত মৌলিক ওষুধগুলোর
৩০ শতাংশ সরবরাহ নেই। অন্যান্য মেডিকেল উপকরণের ৫৫ শতাংশই সংগ্রহে নেই।
এছাড়া জ্বালানি ও বিদ্যুৎ জেনারেশনের অসুবিধায় জরুরি চিকিৎসা ও
পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিগ্নিত হচ্ছে। টেলিগ্রাফ।
No comments