কৃষিজমি ধ্বংস হওয়ায় হুমকিতে খাদ্য উৎপাদন-জলসেচে ১ ট্রিলিয়ন ও ভূমি রক্ষায় ১৬০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে ফাও
বিশ্ব যেখানে ২০৫০ সাল নাগাদ খাদ্য উৎপাদন ৭০ শতাংশ বৃদ্ধির প্রচেষ্টা চালাচ্ছে, সেখানে এক-চতুর্থাংশ ভূমিই মারাত্মকভাবে ধ্বংস হচ্ছে এবং বিস্তীর্ণ কৃষি এলাকা ঝুঁকিতে রয়েছে। গত সোমবার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এমন সতর্কবার্তা উচ্চারণ করে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (ফাও) জানায়, ভূমি ক্ষয়, মরুকরণ এবং জলবায়ুর পরিবর্তন বিশ্বজুড়ে প্রধান খাদ্য উৎপাদন ব্যবস্থা হুমকির মুখে। বিশেষ করে ভূমধ্য অঞ্চল থেকে শুরু করে আফ্রিকার দক্ষিণাঞ্চল
পর্যন্ত এবং দক্ষিণপূর্ব এশিয়ায় এ সংকট প্রকট আকারে দেখা যাচ্ছে। এ অবস্থায় উন্নয়নশীল বিশ্বকে জলসেচ ও ভূমি রক্ষায় বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়েছে ফাও।
সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ এবং টেকসই ও সহনশীল নয় এমন কৃষি উৎপাদন ও উপকরণ ব্যবহারে কৃষিজমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। তবে ১৯৬১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ফসলিজমি বেড়েছে ১২ শতাংশ যেখানে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। এর প্রধান কারণ বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায় প্রধান শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি। কিন্তু অনেক অঞ্চলে উৎপাদনের এ হার কমে যাচ্ছে যা বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিপজ্জনক।
রোমভিত্তিক সংস্থাটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, উৎপাদনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পূর্ব এশিয়ায়। এ অঞ্চলে ১৯৬১-২০০৬ সাল পর্যন্ত শস্য উৎপাদন বার্ষিক ২.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদন মাত্র ০.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। যদিও সেন্ট্রাল আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপে উৎপাদন বেড়েছে। ফাওর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়েও বেশি হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ মানুষের আয় বাড়ছে ও খাদ্য তালিকা পরিবর্তিত হচ্ছে। যেমন উন্নয়নশীল বিশ্বে দুগ্ধজাত পণ্য ও খাবার পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাপ বৃদ্ধির কারণে ভূমি ও পানির জন্য শহর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। ফাওর পরিচালক জ্যাক দিওফ বলেন, 'এসব ঝুঁকি ২০৫০ সাল নাগাদ মানব চাহিদা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত বিশ্বের জন্য এর পরিণতি ভালো হবে না।'
প্রতিবেদনের জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের ভূমি ও পানিসম্পদের ২৫ শতাংশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং ৪৪ শতাংশ হালকাভাবে অধঃপতিত হচ্ছে আর মাত্র ১০ শতাংশের উন্নতি হচ্ছে সামান্যভাবে। বলা হয়, পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ও কৃষি ব্যবস্থার বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ফাওর মতে, এ জন্য উন্নয়নশীল বিশ্বকে জলসেচ ব্যবস্থায় ২০০৭-২০৫০ সাল পর্যন্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। একই সময়ে ভূমি রক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে ১৬০ বিলিয়ন ডলার। এএফপি।
সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়, অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ এবং টেকসই ও সহনশীল নয় এমন কৃষি উৎপাদন ও উপকরণ ব্যবহারে কৃষিজমির উৎপাদন ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে। তবে ১৯৬১ সাল থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত বিশ্বের ফসলিজমি বেড়েছে ১২ শতাংশ যেখানে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে ১৫০ শতাংশ। এর প্রধান কারণ বৈজ্ঞানিক উৎকর্ষতায় প্রধান শস্য উৎপাদন বৃদ্ধি। কিন্তু অনেক অঞ্চলে উৎপাদনের এ হার কমে যাচ্ছে যা বিশ্ব খাদ্য উৎপাদনের জন্য বিপজ্জনক।
রোমভিত্তিক সংস্থাটির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, উৎপাদনে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা পূর্ব এশিয়ায়। এ অঞ্চলে ১৯৬১-২০০৬ সাল পর্যন্ত শস্য উৎপাদন বার্ষিক ২.৫ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পায়। কিন্তু ধারণা করা হচ্ছে, ২০০৬ সাল থেকে ২০৫০ সাল পর্যন্ত খাদ্য উৎপাদন মাত্র ০.৩ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পাবে। যদিও সেন্ট্রাল আমেরিকা এবং পূর্ব ইউরোপে উৎপাদন বেড়েছে। ফাওর মতে, জনসংখ্যা বৃদ্ধির চেয়েও বেশি হারে খাদ্য উৎপাদন বাড়াতে হবে। কারণ মানুষের আয় বাড়ছে ও খাদ্য তালিকা পরিবর্তিত হচ্ছে। যেমন উন্নয়নশীল বিশ্বে দুগ্ধজাত পণ্য ও খাবার পণ্যের চাহিদা বাড়ছে। এ ছাড়া প্রাকৃতিক সম্পদের ওপর চাপ বৃদ্ধির কারণে ভূমি ও পানির জন্য শহর ও গ্রামের মানুষের মধ্যে প্রতিযোগিতা বাড়বে। ফাওর পরিচালক জ্যাক দিওফ বলেন, 'এসব ঝুঁকি ২০৫০ সাল নাগাদ মানব চাহিদা পূরণে বাধা হয়ে দাঁড়াবে। দরিদ্র ও ক্ষুধার্ত বিশ্বের জন্য এর পরিণতি ভালো হবে না।'
প্রতিবেদনের জরিপে দেখা যায়, বিশ্বের ভূমি ও পানিসম্পদের ২৫ শতাংশ মারাত্মকভাবে নষ্ট হচ্ছে এবং ৪৪ শতাংশ হালকাভাবে অধঃপতিত হচ্ছে আর মাত্র ১০ শতাংশের উন্নতি হচ্ছে সামান্যভাবে। বলা হয়, পানির যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে ও কৃষি ব্যবস্থার বৈজ্ঞানিক উন্নয়ন ঘটাতে হবে। ফাওর মতে, এ জন্য উন্নয়নশীল বিশ্বকে জলসেচ ব্যবস্থায় ২০০৭-২০৫০ সাল পর্যন্ত ১ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। একই সময়ে ভূমি রক্ষায় বিনিয়োগ করতে হবে ১৬০ বিলিয়ন ডলার। এএফপি।
No comments