আমি কাউকে পরোয়া করি না-সিরিয়া বিক্ষোভের আইকন ফাদওয়া
ফাদওয়া সুলাইমান সিরিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় একজন অভিনেত্রী। সিরিয়ার সরকারবিরোধী বিক্ষোভের অন্যতম আইকন তিনি। দেশটির অন্যতম রক্তক্ষয়ী নগরী হোমসের আসাদবিরোধী বিক্ষোভের সামনের সারি থেকেই স্লোগান দিচ্ছেন তিনি। সিরিয়ার বিক্ষোভের শুরুতে তিনি যখন আসাদবিরোধী বিক্ষোভে যোগ দিলেন তখন অবাক হয়েছেন অনেকেই। কারণ তিনি এসেছেন হোমসের সংখ্যালঘু আলাওয়াতি গোষ্ঠী থেকে, যাদের অধিকাংশই আসাদ সমর্থক।
এমনকি তার পরিবারও আসাদ সমর্থক। হোমসের বিক্ষোভ আলজাজিরা টেলিভিশনে সরাসরি সম্প্রচার হওয়ার সময় তার পরিবার ও আসাদ সরকারের নজরে আসেন তিনি। পরবর্তী সময়ে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে তার ভাই বলেছিলেন, তাকে পরিবার থেকে বিচ্যুত করা হয়েছে। সুলাইমান বর্তমানে আত্মগোপনে আছেন। অজ্ঞাত স্থানে থেকে আলজাজিরাকে সাক্ষাৎকার দেন সুলাইমান। নিচে এর চুম্বক অংশ তুলে ধরা হলো :
আ.জা. :আলজাজিরা টেলিভিশনে সিরিয়ার বিপ্লব প্রচার করার পর কীভাবে আপনার জীবন বদলে গেল_
সুলাইমান :আসাদবিরোধী বিক্ষোভের পর আমাকে হয় কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুবরণ করতে হবে_ এটা জেনেই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছি। বর্তমানে আমাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে তারা (আসাদ সরকার)। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে আমার অবস্থান জানার জন্য। নিরাপত্তার কারণে আমি আমার পরিবারকেও জানাইনি, আমি কোথায় আছি। সংখ্যালঘু প্রতিটি জাতির ওপরই আসাদ সরকারের তীব্র চাপ রয়েছে। এদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা থাকলেও সরকারি বাহিনীর হুমকিতে কিছু করতে পারছে না।
আ.জা. :আপনার নিজের গোত্রের মধ্যে কত লোক আসাদবিরোধী।
সুলাইমান :শুধু এ গোত্র নয়, সিরিয়ার অনেক সংখ্যালঘু আছে, যারা আসাদবিরোধী। সিরিয়ার রাজপথে খেয়াল করলে আপনারা দেখতে পারবেন যারা উচ্চস্বরে আসাদবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, তারা প্রায় সব সম্প্রদায় থেকেই এসেছে। এমনকি রাজধানী দামেস্কে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করছে এবং অন্যদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছে।
আ.জা. :আলাওয়াতি সংখ্যালঘুদের অনেক সদস্য বর্তমানে ভীতির মধ্যে রয়েছেন।
সুলাইমান :হ্যাঁ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। তবে আমি সহজভাবেই উত্তর দিতে চাই। কারণ আমি কাউকে পরোয়া করি না। হোমসে কী হচ্ছে তা আপনারা অনেকেই জানেন না। সংখ্যালঘুরা যে অঞ্চলে বসবাস করছে সেখানে আসাদ সরকার ২০০ সদস্যের একটি দল গঠন করে নিয়োগ দিয়েছে। এরা এক গোষ্ঠীর মানুষ হত্যা করে অন্য গোষ্ঠীগুলোর এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
আ.জা. :সিরিয়ার ইসলামিক শাসনের ভয় করেন না?
সুলাইমান:গণতান্ত্রিকভাবে সিরিয়ার জনগণ যদি ইসলামিক দলগুলোকে মেনে নেয় তবে এটা তাদের পছন্দ। নিজের পছন্দমতো শাসক বসানোর অধিকার তাদের রয়েছে। তবে সিরিয়া ইসলামিক শাসনের ভয়ে ভীত নয়। আপনি যদি সিরিয়ায় ঘুরে থাকেন তবে বুঝবেন সিরিয়ায় কোনো কট্টর ইসলামপন্থি বা জঙ্গিবাদ নেই।
আ.জা. :সিরিয়া কি গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে?
সুলাইমান :একটি গৃহযুদ্ধ কখনও কাম্য নয়। কিন্তু আসাদ সরকার নিজের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সিরীয়দের হত্যা করছে। সিরিয়ায় হত্যা এবং গৃহযুদ্ধ এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে আমি চাই না সিরিয়ায় কোনো সামরিক আগ্রাসন হোক।
তবে শক্তিশালী এবং দায়িত্বপূর্ণ সমাধান চাই।
আ.জা. :আলজাজিরা টেলিভিশনে সিরিয়ার বিপ্লব প্রচার করার পর কীভাবে আপনার জীবন বদলে গেল_
সুলাইমান :আসাদবিরোধী বিক্ষোভের পর আমাকে হয় কারাদণ্ড কিংবা মৃত্যুবরণ করতে হবে_ এটা জেনেই বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করেছি। বর্তমানে আমাকে হন্যে হয়ে খুঁজছে তারা (আসাদ সরকার)। ইতিমধ্যে বেশ কয়েক বিক্ষোভকারীকে ধরে নিয়ে নির্যাতন করেছে আমার অবস্থান জানার জন্য। নিরাপত্তার কারণে আমি আমার পরিবারকেও জানাইনি, আমি কোথায় আছি। সংখ্যালঘু প্রতিটি জাতির ওপরই আসাদ সরকারের তীব্র চাপ রয়েছে। এদের বিক্ষোভে অংশগ্রহণ করার ইচ্ছা থাকলেও সরকারি বাহিনীর হুমকিতে কিছু করতে পারছে না।
আ.জা. :আপনার নিজের গোত্রের মধ্যে কত লোক আসাদবিরোধী।
সুলাইমান :শুধু এ গোত্র নয়, সিরিয়ার অনেক সংখ্যালঘু আছে, যারা আসাদবিরোধী। সিরিয়ার রাজপথে খেয়াল করলে আপনারা দেখতে পারবেন যারা উচ্চস্বরে আসাদবিরোধী স্লোগান দিচ্ছে, তারা প্রায় সব সম্প্রদায় থেকেই এসেছে। এমনকি রাজধানী দামেস্কে তারা বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করছে এবং অন্যদের অংশগ্রহণে উৎসাহিত করছে।
আ.জা. :আলাওয়াতি সংখ্যালঘুদের অনেক সদস্য বর্তমানে ভীতির মধ্যে রয়েছেন।
সুলাইমান :হ্যাঁ। এটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটা প্রশ্ন। তবে আমি সহজভাবেই উত্তর দিতে চাই। কারণ আমি কাউকে পরোয়া করি না। হোমসে কী হচ্ছে তা আপনারা অনেকেই জানেন না। সংখ্যালঘুরা যে অঞ্চলে বসবাস করছে সেখানে আসাদ সরকার ২০০ সদস্যের একটি দল গঠন করে নিয়োগ দিয়েছে। এরা এক গোষ্ঠীর মানুষ হত্যা করে অন্য গোষ্ঠীগুলোর এলাকায় নিয়ে যাচ্ছে।
আ.জা. :সিরিয়ার ইসলামিক শাসনের ভয় করেন না?
সুলাইমান:গণতান্ত্রিকভাবে সিরিয়ার জনগণ যদি ইসলামিক দলগুলোকে মেনে নেয় তবে এটা তাদের পছন্দ। নিজের পছন্দমতো শাসক বসানোর অধিকার তাদের রয়েছে। তবে সিরিয়া ইসলামিক শাসনের ভয়ে ভীত নয়। আপনি যদি সিরিয়ায় ঘুরে থাকেন তবে বুঝবেন সিরিয়ায় কোনো কট্টর ইসলামপন্থি বা জঙ্গিবাদ নেই।
আ.জা. :সিরিয়া কি গৃহযুদ্ধের দিকে যাচ্ছে?
সুলাইমান :একটি গৃহযুদ্ধ কখনও কাম্য নয়। কিন্তু আসাদ সরকার নিজের ক্ষমতা আঁকড়ে থাকার জন্য প্রতিনিয়ত সিরীয়দের হত্যা করছে। সিরিয়ায় হত্যা এবং গৃহযুদ্ধ এড়াতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তবে আমি চাই না সিরিয়ায় কোনো সামরিক আগ্রাসন হোক।
তবে শক্তিশালী এবং দায়িত্বপূর্ণ সমাধান চাই।
No comments