জীবজন্তু পায় ভূমিকম্পের আগাম বার্তা
মানুষের আগে জীবজন্তু ভূমিকম্প বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের আগাম বার্তা পায়। পৃথিবী কেঁপে ওঠার অনেক আগেই এরা বুঝতে পারে ভূমিকম্প আসছে। বিশেষত পানিতে থাকা জীবজন্তু সবচেয়ে আগে বিষয়টি টের পায় এবং বেশ কিছু লক্ষণও প্রকাশ করে। এটা দীর্ঘদিনের প্রচল ধারণা। এবার বিজ্ঞানীরা বিষয়টি আমলে নিয়েছেন। জীবজন্তু কিভাবে ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পায়_বিষয়টি নিয়ে গবেষণা করেছেন তাঁরা।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, রাসায়নিক বিক্রিয়া বা ভূ-অভ্যন্তরে বড় ধরনের কোনো পরিবর্তন ঘটলে জীবজন্তু তাদের ইন্দ্রিয়ের মাধ্যমে টের পায়। বিশেষত পৃথিবীতে ভূমিকম্পের মতো কোনো ঘটনা ঘটার অনেক আগেই এরা বিষয়টি আঁচ করতে পারে। ভূমিকম্পের পূর্বাভাস জানার ক্ষেত্রে জীবজন্তুর আচরণ পর্যবেক্ষণ একটি ভালো উপায় হতে পারে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।
কিন্তু ভূমিকম্পের আগাম বার্তা কিভাবে পায় জীবজন্তু? বিষয়টি বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে ভূ-অভ্যন্তরের শিলারাশিতে সঞ্চিত শক্তির আকস্মিক অবমুক্তির কারণে সৃষ্ট স্পন্দনের মাত্রা মৃদু কম্পন থেকে প্রচণ্ড ঘূর্ণনের মতো হতে পারে। শিলারাশি থেকে সৃষ্ট স্পন্দন সবার আগে পানির তলদেশে অনুভূত হয়। যেসব জীবজন্তু পানিতে বাস করে কিংবা পানির কাছাকাছি বাস করে এরা খুবই সংবেদনশীল হয়। বিশেষত মাটির নিচে বা পানির নিচের পরিবর্তনটা আগেভাগেই এরা টের পেয়ে যায়।
বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ইতালিতে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পের এক দিন আগে ওখানকার ল'কুইলার একটি পুকুরে ব্যাঙগুলো লাফিয়ে ডাঙায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই গবেষণা প্রতিবেদন দি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথে প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকদলের প্রধান নাসার বিজ্ঞানী ফ্রেডিমান ফ্রয়েড ও যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির রিচেল গ্রান্ড আশা করেন, তাঁদের এ গবেষণার ফল ভূতাত্তি্বক ও প্রাণিবিজ্ঞানীদের যৌথভাবে গবেষণাকাজ করতে উৎসাহিত করবে। আর সেই গবেষণায় হয়তো জীবজন্তুর ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নির্ভুল আরো কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতালির ওই পুকুরের ব্যাঙের উদাহরণই একমাত্র শুধু নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অনেক আগেই টের পায় এমন অনেক জীবজন্তুর উদাহরণই দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সরীসৃপ, উভচর প্রাণী ও মাছ সবচেয়ে এগিয়ে। যেমন বলা যায়, ১৯৭৫ সালে চীনে বড় ধরনের একটি ভূমিকম্পের এক মাস আগে অসংখ্য সাপ গর্ত ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
কিন্তু ভূমিকম্পের আগাম বার্তা কিভাবে পায় জীবজন্তু? বিষয়টি বিজ্ঞানীরা ব্যাখ্যা করেছেন এভাবে যে ভূ-অভ্যন্তরের শিলারাশিতে সঞ্চিত শক্তির আকস্মিক অবমুক্তির কারণে সৃষ্ট স্পন্দনের মাত্রা মৃদু কম্পন থেকে প্রচণ্ড ঘূর্ণনের মতো হতে পারে। শিলারাশি থেকে সৃষ্ট স্পন্দন সবার আগে পানির তলদেশে অনুভূত হয়। যেসব জীবজন্তু পানিতে বাস করে কিংবা পানির কাছাকাছি বাস করে এরা খুবই সংবেদনশীল হয়। বিশেষত মাটির নিচে বা পানির নিচের পরিবর্তনটা আগেভাগেই এরা টের পেয়ে যায়।
বিজ্ঞানীদের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ইতালিতে সংঘটিত একটি ভূমিকম্পের এক দিন আগে ওখানকার ল'কুইলার একটি পুকুরে ব্যাঙগুলো লাফিয়ে ডাঙায় আশ্রয় নিয়েছিল। এই গবেষণা প্রতিবেদন দি ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব এনভায়রনমেন্টাল রিসার্চ অ্যান্ড পাবলিক হেলথে প্রকাশ করা হয়েছে।
গবেষকদলের প্রধান নাসার বিজ্ঞানী ফ্রেডিমান ফ্রয়েড ও যুক্তরাজ্যের ওপেন ইউনিভার্সিটির রিচেল গ্রান্ড আশা করেন, তাঁদের এ গবেষণার ফল ভূতাত্তি্বক ও প্রাণিবিজ্ঞানীদের যৌথভাবে গবেষণাকাজ করতে উৎসাহিত করবে। আর সেই গবেষণায় হয়তো জীবজন্তুর ভূমিকম্পের আগাম বার্তা পাওয়ার বিষয়টি সম্পর্কে নির্ভুল আরো কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যেতে পারে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, ইতালির ওই পুকুরের ব্যাঙের উদাহরণই একমাত্র শুধু নয়, প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের অনেক আগেই টের পায় এমন অনেক জীবজন্তুর উদাহরণই দেওয়া যাবে। এ ক্ষেত্রে সরীসৃপ, উভচর প্রাণী ও মাছ সবচেয়ে এগিয়ে। যেমন বলা যায়, ১৯৭৫ সালে চীনে বড় ধরনের একটি ভূমিকম্পের এক মাস আগে অসংখ্য সাপ গর্ত ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে এসেছিল। সূত্র : বিবিসি অনলাইন।
No comments