পরিশ্রমীদের সঙ্গী ভাগ্য
অবসর থেকে ফিরে আসার পর অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে চলছেন শহিদ আফ্রিদি। দুবাইয়ে শ্রীলংকাকে গুঁড়িয়ে আসার পর গতকাল প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশকে হারানোর পেছনেও মূল ভূমিকা এই স্পিন অলরাউন্ডারের। লেগ স্পিনে ৫ উইকেট নিয়ে মাত্র ৯১ রানে বাংলাদেশের ইনিংস গুটিয়ে দেওয়ার পর বিপদের মুখে ২৩ বলে ২৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে ড্রেসিংরুমে ফিরেছেন বিজয়ীর বেশে। সেঞ্চুরি বা ৫ উইকেটের পর পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা
যেখানে সিজদাহ দেন, সেখানে আফ্রিদি বিশ্বাস করেন, নিজের ভাগ্য নিজেকেই গড়তে হয়।বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল বল হাতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালিয়েছিলেন এবং সেগুলো কাজও করেছে বলে জানান আফ্রিদি। আর কোচের পরামর্শে ব্যাটিংয়েও কিছুটা পরিবর্তন এনেছেন বলেও জানান। আর এ সফলতার রহস্য বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি বলেন, 'আল্লাহ যেন আমার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা বজায় রাখেন। আমি এটা বলতে চাই না যে, মানুষের সঙ্গে ভাগ্য থাকে। তবে সাহসী এবং পরিশ্রমীদের ভাগ্যও সহায়তা করে থাকে। আমার মতে, মানুষকে নিজের ভাগ্য নিজে তৈরি করা উচিত।'
অথচ টিম ম্যানেজমেন্ট এবং বোর্ডের সঙ্গে দ্বন্দ্বে অবসরে চলে গিয়েছিলেন তিনি; কিন্তু অবসর থেকে ফেরার পর আগের চেয়ে অনেক ভালো খেলছেন। স্বভাবতই প্রশ্ন জাগতে পারে, এত ভালো খেলার পেছনে মোটিভেশন কী! আফ্রিদির সাফ জবাব, 'চেষ্টা হলো ভালো খেলার পেছনে মূল কারণ। এছাড়া ৩-৪ মাস বিশ্রাম করেছি। ওই সময়টায় আমি কঠোর পরিশ্রম করেছি। আমার বন্ধু, ভক্ত এবং ক্রিকেটপ্রেমীরা চেয়েছিল আমি যেন ফিরে আসি। শ্রীলংকা এবং বাংলাদেশ সিরিজের প্রতি আমি নিজে ভীষণ ফোকাসড এবং পজেটিভ ছিলাম। ইংল্যান্ড সিরিজের দিকেও ভীষণ আগ্রহ নিয়ে তাকিয়ে আছি।' এদিকে বাংলাদেশ দল এবং শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেট নিয়েও কথা বলেছেন এ তারকা, 'আমার মনে হয়, কন্ডিশন স্পিনারদের জন্য খুবই উপযুক্ত। তারা (বাংলাদেশ) কীভাবে খেলেছে, সে বিষয়ে আমি কিছু বলতে চাই না; কিন্তু আমি জানি, তাদের দলে বেশ কয়েকজন ভালো ব্যাটসম্যান আছে। আর উইকেট মোটেও এতটা কঠিন না। আমার মনে হয়, অনুশীলনে এ ধরনের পিচে কঠোর পরিশ্রম করলে ভালো করা খুবই সম্ভব। আসলে সব কিছু নির্ভর করে ব্যাটসম্যানের টেম্পারমেন্টের ওপর। সম্ভবত টি২০ ক্রিকেট ব্যাটসম্যানদের টেম্পারমেন্ট কমিয়ে দিচ্ছে।'
No comments