লন্ডনে ইরানের দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ যুক্তরাজ্যের
তেহরানে ব্রিটিশ দূতাবাসে বিক্ষোভকারীদের হামলার এক দিন পর গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্য সরকার দূতাবাস থেকে তাদের সব কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করেছে। একই সঙ্গে যুক্তরাজ্য লন্ডনে ইরানের দূতাবাস বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ অভিযোগ করেন, ইরানের সরকার তেহরানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে হামলার সঙ্গে জড়িত। পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে কূটনীতিক কর্মকর্তারা তেহরান ত্যাগ করেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ তেহরানে কর্মরত সব ব্রিটিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে বলেছেন।
ইরান হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এ ঘটনায় ইরানকে ‘চরম মূল্য দিতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রতিবাদে মঙ্গলবার তেহরানে ব্যাপক ছাত্রবিক্ষোভ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ ব্রিটিশ দূতাবাস চত্বরে ঢুকে সেখানে হামলা চালায়। তারা যুক্তরাজ্যের পতাকা ও একটি গাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। প্রায় একই সময় তেহরানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ কূটনীতিকদের আবাসিক কম্পাউন্ডেও হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদ তড়িঘড়ি নিন্দা প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারিজানি। তিনি বলেন, ছাত্রবিক্ষোভের ব্যাপারে নিন্দা জানানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ ‘তাড়াহুড়া’ করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গেয়েছে।
আলি লারিজানি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের কয়েক দশক ধরে আধিপত্যসুলভ আচরণের ফলই হচ্ছে এই বিক্ষোভ। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।’
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার তা ৎ ক্ষণিক নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। তবে এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
নরওয়ের দূতাবাস বন্ধ: দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিল্ডি স্টেইনফেল্ড গতকাল বলেন, তেহরানে নরওয়ের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হলেও কূটনীতিক কর্মকর্তারা এখনো তেহরানে অবস্থান করছেন। তাঁদের ইরান থেকে সরিয়ে আনা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে ইরানকে অচল করে দিতে কঠোর আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করেছে ফ্রান্স। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান জুপ্পি বলেন, সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ অঞ্চলে ‘অপূরণীয়’ ক্ষতি ও ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’র সৃষ্টি হবে।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হেগ অভিযোগ করেন, ইরানের সরকার তেহরানে যুক্তরাজ্যের দূতাবাসে হামলার সঙ্গে জড়িত। পররাষ্ট্র দপ্তর গতকাল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘গত মঙ্গলবার বিক্ষোভকারীদের হামলার পরিপ্রেক্ষিতে ও নিরাপত্তার স্বার্থে কূটনীতিক কর্মকর্তারা তেহরান ত্যাগ করেছেন।’
বিবৃতিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী ডেভিড ক্যামেরন ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী উইলিয়াম হগ তেহরানে কর্মরত সব ব্রিটিশ কর্মী ও তাঁদের পরিবারের সদস্যদের নিরাপত্তার বিষয়টি অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিশ্চিত করতে বলেছেন।
ইরান হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে দুঃখ প্রকাশ করেছে। তবে প্রধানমন্ত্রী ক্যামেরন এ ঘটনায় ইরানকে ‘চরম মূল্য দিতে হবে’ বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও নিরাপত্তা পরিষদ এ ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে।
ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের নতুন করে অর্থনৈতিক অবরোধ আরোপের প্রতিবাদে মঙ্গলবার তেহরানে ব্যাপক ছাত্রবিক্ষোভ হয়। এ সময় বিক্ষোভকারীদের একাংশ ব্রিটিশ দূতাবাস চত্বরে ঢুকে সেখানে হামলা চালায়। তারা যুক্তরাজ্যের পতাকা ও একটি গাড়ি আগুনে জ্বালিয়ে দেয়। প্রায় একই সময় তেহরানের উত্তরাঞ্চলে অবস্থিত ব্রিটিশ কূটনীতিকদের আবাসিক কম্পাউন্ডেও হামলা চালানো হয়।
এ ঘটনায় নিরাপত্তা পরিষদ তড়িঘড়ি নিন্দা প্রকাশ করেছে বলে অভিযোগ করেন ইরানের পার্লামেন্টের স্পিকার আলি লারিজানি। তিনি বলেন, ছাত্রবিক্ষোভের ব্যাপারে নিন্দা জানানোর ক্ষেত্রে নিরাপত্তা পরিষদ ‘তাড়াহুড়া’ করেছে। এর মধ্য দিয়ে তারা যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্রের অতীতের অন্যায়ের পক্ষে সাফাই গেয়েছে।
আলি লারিজানি বলেন, ‘ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাজ্যের কয়েক দশক ধরে আধিপত্যসুলভ আচরণের ফলই হচ্ছে এই বিক্ষোভ। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র এ ঘটনাকে ইস্যু হিসেবে ব্যবহার করতে চাইছে।’
১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদ ব্রিটিশ দূতাবাসে হামলার ঘটনায় মঙ্গলবার তা ৎ ক্ষণিক নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি প্রকাশ করে। তবে এ হামলার পরিপ্রেক্ষিতে পাল্টা কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে কি না, সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি।
নরওয়ের দূতাবাস বন্ধ: দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হিল্ডি স্টেইনফেল্ড গতকাল বলেন, তেহরানে নরওয়ের দূতাবাস বন্ধ করে দেওয়া হলেও কূটনীতিক কর্মকর্তারা এখনো তেহরানে অবস্থান করছেন। তাঁদের ইরান থেকে সরিয়ে আনা হবে কি না, সে ব্যাপারে এখনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এদিকে ইরানকে অচল করে দিতে কঠোর আন্তর্জাতিক অবরোধ আরোপের প্রস্তাব করেছে ফ্রান্স। ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যালান জুপ্পি বলেন, সামরিক পদক্ষেপ গ্রহণ করলে এ অঞ্চলে ‘অপূরণীয়’ ক্ষতি ও ‘বিপর্যয়কর পরিস্থিতি’র সৃষ্টি হবে।
No comments