সহজ জয়ে শীর্ষে ঢাকা মেট্রো
দুই দলের জয়ের নায়ক দুই বাঁহাতি স্পিনার। ঢাকা মেট্রোর আরাফাত সানি আর সিলেটের এনামুল হক জুনিয়র। বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট জয়ের নায়ক এনামুল ৭ উইকেট নেওয়ার পরেও অবশ্য বরিশালের বিপক্ষে জিততে বেগ পেতে হয়েছে সিলেটকে। ব্যাটসম্যানরা কঠিন বানিয়ে ফেললেও শেষ পর্যন্ত তারা জিতেছে মাত্র ৪ উইকেটে। অন্যদিকে প্রথম ইনিংসে ব্যাটসম্যানরা রান-পাহাড় গড়ে দেওয়ার পর ঢাকা মেট্রোর হয়ে বাকি কাজটা সেরেছেন আরাফাতই।
রংপুরের দ্বিতীয় ইনিংসের ছয়টি উইকেট তুলে নিয়ে এ বাঁহাতি স্পিনারই দলের ৯ উইকেটে সহজ জয়ের রূপকার। কাল ফতুল্লা স্টেডিয়ামে পাওয়া এ জয় দিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগের ষষ্ঠ রাউন্ডশেষে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেও উঠে গেছে ঢাকা মেট্রো।
৩ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে চার দিনের ম্যাচের শেষদিন শুরু করা রংপুরের হয়ে একাই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন ধীমান ঘোষ। এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ৭৯ রান ছাড়া বলার মতো রানও নেই আর কারো ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৪১ রান খরচায় ৬ উইকেট নেওয়া আরাফাতের শিকার ধীমানও। তাঁর ইনিংসটা না হলে হয়তো ইনিংস পরাজয়ও এড়াতে পারত না রংপুর। সেটি এড়ালেও মাত্র ৩০ রানের টার্গেটে পেঁৗছাতে মাত্র ৮.২ ওভারই লেগেছে মেট্রোর। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা অবশ্য আরাফাত নন, পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোর প্রথম ইনিংসে ১৫২ রান করা আসিফ আহমেদ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এনামুল ৬৪ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন ১৯৯ রানে। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ইফতেখার নাঈম এ ইনিংসেও ৭৭ রান না করলে সিলেটের টার্গেট ১৮৩ না হয়ে হতো আরো অনেক কম। এ রান তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসা সিলেটের জয়ে নাদীফ চৌধুরীর অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসটার দারুণ ভূমিকা। দল হেরে গেলেও ব্যাট হাতে চমৎকার পারফরম্যান্সের জন্য পাওয়া ম্যাচসেরার পুরস্কারে সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছে ইফতেখার নাঈমকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল-সিলেট : বরিশাল ১ম ইনিংস ২৬৪/১০ ও ২য় ইনিংস ৬২.৫ ওভারে ১৯৯/১০ (জুপিটার ৩০, ইফতেখার ৭৭, মনির ৩৬; এনামুল ৭/৬৪, আবু জাহেদ ২/৩৯, তাপস ১/৬৪)। সিলেট ১ম ইনিংস ২৮১/১০ ও ২য় ইনিংস ৫৪.২ ওভারে ১৮৬/৬ (সায়েম ৩৪, নাদীফ ৫৮*, গোলাম রহমান ৩৮, গোলাম মাবুদ ৩১; ইশরাক ২/৪৫, ইফতেখার ২/২৯)। ফল : সিলেট ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইফতেখার নাঈম (বরিশাল)।
ঢাকা মেট্রো-রংপুর : রংপুর ১ম ইনিংস ৩৫৪/১০ ও ২য় ইনিংস ৫৮.৪ ওভারে ১৯৩/১০ (রবিউল ৩১, ধীমান ৭৯, সাজিদুল ২৩; আরাফাত ৬/৪১)। ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৫১৮/১০ ও ২য় ইনিংস ৮.২ ওভারে ৩০/১ (আসিফ ৮, আশরাফুল ১১*, শাহবাজ ৭*; শুভাশিষ ১/১৮)। ফল : ঢাকা মেট্রো ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আসিফ আহমেদ (ঢাকা মেট্রো)।
৩ উইকেটে ৯৩ রান নিয়ে চার দিনের ম্যাচের শেষদিন শুরু করা রংপুরের হয়ে একাই যা একটু প্রতিরোধ গড়েছিলেন ধীমান ঘোষ। এ উইকেটকিপার-ব্যাটসম্যানের ৭৯ রান ছাড়া বলার মতো রানও নেই আর কারো ব্যাটে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য ৪১ রান খরচায় ৬ উইকেট নেওয়া আরাফাতের শিকার ধীমানও। তাঁর ইনিংসটা না হলে হয়তো ইনিংস পরাজয়ও এড়াতে পারত না রংপুর। সেটি এড়ালেও মাত্র ৩০ রানের টার্গেটে পেঁৗছাতে মাত্র ৮.২ ওভারই লেগেছে মেট্রোর। ম্যাচসেরার পুরস্কারটা অবশ্য আরাফাত নন, পেয়েছেন ঢাকা মেট্রোর প্রথম ইনিংসে ১৫২ রান করা আসিফ আহমেদ।
চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এনামুল ৬৪ রানে ৭ উইকেট তুলে নিয়ে বরিশালের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে দেন ১৯৯ রানে। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান ইফতেখার নাঈম এ ইনিংসেও ৭৭ রান না করলে সিলেটের টার্গেট ১৮৩ না হয়ে হতো আরো অনেক কম। এ রান তাড়া করতে নেমে এক পর্যায়ে ৬১ রানে ৪ উইকেট খুইয়ে বসা সিলেটের জয়ে নাদীফ চৌধুরীর অপরাজিত ৫৮ রানের ইনিংসটার দারুণ ভূমিকা। দল হেরে গেলেও ব্যাট হাতে চমৎকার পারফরম্যান্সের জন্য পাওয়া ম্যাচসেরার পুরস্কারে সান্ত্বনা খুঁজতে হয়েছে ইফতেখার নাঈমকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বরিশাল-সিলেট : বরিশাল ১ম ইনিংস ২৬৪/১০ ও ২য় ইনিংস ৬২.৫ ওভারে ১৯৯/১০ (জুপিটার ৩০, ইফতেখার ৭৭, মনির ৩৬; এনামুল ৭/৬৪, আবু জাহেদ ২/৩৯, তাপস ১/৬৪)। সিলেট ১ম ইনিংস ২৮১/১০ ও ২য় ইনিংস ৫৪.২ ওভারে ১৮৬/৬ (সায়েম ৩৪, নাদীফ ৫৮*, গোলাম রহমান ৩৮, গোলাম মাবুদ ৩১; ইশরাক ২/৪৫, ইফতেখার ২/২৯)। ফল : সিলেট ৪ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ইফতেখার নাঈম (বরিশাল)।
ঢাকা মেট্রো-রংপুর : রংপুর ১ম ইনিংস ৩৫৪/১০ ও ২য় ইনিংস ৫৮.৪ ওভারে ১৯৩/১০ (রবিউল ৩১, ধীমান ৭৯, সাজিদুল ২৩; আরাফাত ৬/৪১)। ঢাকা মেট্রো ১ম ইনিংস ৫১৮/১০ ও ২য় ইনিংস ৮.২ ওভারে ৩০/১ (আসিফ ৮, আশরাফুল ১১*, শাহবাজ ৭*; শুভাশিষ ১/১৮)। ফল : ঢাকা মেট্রো ৯ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ : আসিফ আহমেদ (ঢাকা মেট্রো)।
No comments