কোচিং সেন্টারের জালিয়াতিতে ঢাবিতে ভর্তির সুযোগ
পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন নিষিদ্ধ থাকলেও তা ব্যবহার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে মেধা তালিকায় স্থান করে নিয়েছেন কিছু শিক্ষার্থী। গতকাল বৃহস্পতিবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি কোচিং সেন্টার ইউসিসির সহায়তায় এভাবে সুযোগ পাওয়া দু'জনকে পুলিশে হস্তান্তর করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। 'ঘ' ইউনিটের সাক্ষাৎকারের সময় তাদের ভুয়া হিসেবে শনাক্ত করা হয়। কর্তৃপক্ষ বলছে, কোচিং সেন্টারের পাশাপাশি বিভিন্ন কেন্দ্রের কিছু পর্যবেক্ষকও জড়িত রয়েছেন।
ওই দুই শিক্ষার্থী হচ্ছেন মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকারী মোঃ মুস্তাফিজুর রহমান ও ৪৪তম স্থান অধিকারী ফয়সাল আহমেদ মাসুম। গত বছরও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের 'খ' ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় একই প্রক্রিয়ায় জালিয়াতির চেষ্টা করে একটি চক্র। তবে প্রক্টরিয়াল টিম ও র্যাব যৌথভাবে এ চক্রের কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এ বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ে অসদুপায়ে ভর্তির জন্য একটি চক্র সক্রিয় ছিল। তারা মূলত দুটি উপায়ে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে। প্রথমত মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে চুক্তিকৃত শিক্ষার্থীদের উত্তর পাঠিয়ে। দ্বিতীয়ত কেন্দ্রের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পূরণ করিয়ে।
গতকাল আটক দু'জন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদে মোবাইল ফোনে উত্তর সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া আরও দুজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র হুবহু এক হওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে একজনের উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর কোনো স্বাক্ষরই পায়নি কর্তৃপক্ষ। হয়তো উত্তরপত্র বাইরে থেকে পূরণ করে পরীক্ষার পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইউসিসিতে ক্লাস করেছে এমন এক শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, পরীক্ষার আগে কোচিংয়ের চারজন শিক্ষক ২০-২৫ জন ছাত্রের একটি দলের সঙ্গে চুক্তি করেন। ওই চার শিক্ষক ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ইসলামের ইতিহাস, আইন, বাংলা ও আইবিএর বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র। তারা চুক্তিকৃত ওই শিক্ষার্থীদের কোচিংয়েই মোবাইল ফোনে জালিয়াতির প্রশিক্ষণ দিতেন। আর পরীক্ষার আগ মুহূর্তে শেষ প্রস্তুতির জন্য মিলিত হতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের একটি কক্ষে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ বলেন, তিন শিক্ষার্থীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে একজনের মোবাইল ফোনে ভর্তি পরীক্ষার উত্তরও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ৪৪তম স্থান অধিকারী ফয়সাল আহমেদ মাসুম জানিয়েছেন, তারা ইউসিসি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করেছেন এবং সেখানকার কিছু শিক্ষকের সহযোগিতায়ই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জানুয়ারি শৃঙ্খলা পরিষদ ভর্তিসহ সব পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করে। তবে পরীক্ষার হলে কখনোই মোবাইল ফোন আছে কি-না কিংবা থাকলেও কেউ ব্যবহার করছেন কি-না সেটি দেখা হয় না।
এ বিষয়ে এ এম আমজাদ আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কিছু কেন্দ্রের শিক্ষকরাও এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায়, এ বছরও বিশ্ববিদ্যালয়ে অসদুপায়ে ভর্তির জন্য একটি চক্র সক্রিয় ছিল। তারা মূলত দুটি উপায়ে পরীক্ষার সময় শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে। প্রথমত মোবাইল ফোনে এসএমএসের মাধ্যমে চুক্তিকৃত শিক্ষার্থীদের উত্তর পাঠিয়ে। দ্বিতীয়ত কেন্দ্রের শিক্ষকদের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের উত্তরপত্র পূরণ করিয়ে।
গতকাল আটক দু'জন শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদে মোবাইল ফোনে উত্তর সরবরাহের প্রমাণ পাওয়া যায়। এছাড়া আরও দুজন শিক্ষার্থীর উত্তরপত্র হুবহু এক হওয়ার বিষয়টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে একজনের উত্তরপত্রে পরীক্ষার্থীর কোনো স্বাক্ষরই পায়নি কর্তৃপক্ষ। হয়তো উত্তরপত্র বাইরে থেকে পূরণ করে পরীক্ষার পর অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। ইউসিসিতে ক্লাস করেছে এমন এক শিক্ষার্থী এ প্রতিবেদককে জানান, পরীক্ষার আগে কোচিংয়ের চারজন শিক্ষক ২০-২৫ জন ছাত্রের একটি দলের সঙ্গে চুক্তি করেন। ওই চার শিক্ষক ঢাকা বিশ্বদ্যিালয়ের ইসলামের ইতিহাস, আইন, বাংলা ও আইবিএর বিভিন্ন বর্ষের ছাত্র। তারা চুক্তিকৃত ওই শিক্ষার্থীদের কোচিংয়েই মোবাইল ফোনে জালিয়াতির প্রশিক্ষণ দিতেন। আর পরীক্ষার আগ মুহূর্তে শেষ প্রস্তুতির জন্য মিলিত হতেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের একটি কক্ষে।
ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর এ এম আমজাদ বলেন, তিন শিক্ষার্থীকেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। এর মধ্যে একজনের মোবাইল ফোনে ভর্তি পরীক্ষার উত্তরও পাওয়া যায়। জিজ্ঞাসাবাদে ৪৪তম স্থান অধিকারী ফয়সাল আহমেদ মাসুম জানিয়েছেন, তারা ইউসিসি কোচিং সেন্টারে ক্লাস করেছেন এবং সেখানকার কিছু শিক্ষকের সহযোগিতায়ই ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত বছরের ১৭ জানুয়ারি শৃঙ্খলা পরিষদ ভর্তিসহ সব পরীক্ষায় মোবাইল ফোন ব্যবহার বন্ধের সুপারিশ করে। তবে পরীক্ষার হলে কখনোই মোবাইল ফোন আছে কি-না কিংবা থাকলেও কেউ ব্যবহার করছেন কি-না সেটি দেখা হয় না।
এ বিষয়ে এ এম আমজাদ আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের কিছু কেন্দ্রের শিক্ষকরাও এর সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ রয়েছে।
No comments