অবসর ভাতা আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে যুক্তরাজ্যজুড়ে ধর্মঘট
যুক্তরাজ্যে অবসর ভাতা (পেনশন) আইন পরিবর্তনের প্রতিবাদে গতকাল বুধবার ধর্মঘট শুরু হয়েছে। সরকারি খাতের অন্তত ২০ লাখ কর্মী ওই ধর্মঘটে যোগ দেন। ধর্মঘটের পক্ষে দেশজুড়ে এক হাজারের বেশি স্থানে বিক্ষোভ হয়।
যুক্তরাজ্যে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ধর্মঘট বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধর্মঘটে যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যালয় বন্ধ থাকে। হাসপাতালগুলোতে শুধু জরুরি বিভাগে চিকি ৎ সাসেবা দেওয়া হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং নৌ ও বিমানবন্দরগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন। তিনি বলেন, ‘ধর্মঘট থেকে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না, বরং এতে আমাদের অর্থনীতি দুর্বল হবে এবং ব্যয় বাড়বে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ-সমস্যা মোকাবিলায় সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কঠিন এসব সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে দেশ ‘দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে’।
বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডনের হিথ্রোতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। ধর্মঘটের কারণে অনেক বিমান সংস্থা ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’ শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, ধর্মঘটের ফলে ইংল্যান্ডে প্রায় ৫৮ শতাংশ বিদ্যালয় বন্ধ থাকে। ১৩ শতাংশ স্বাভাবিকভাবে চলে।
শিল্পকেন্দ্রের শহর বলে পরিচিত বার্মিংহামে ধর্মঘটের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। স্কটল্যান্ডেও প্রায় তিন লাখ সরকারি কর্মী ধর্মঘট পালন করেন। ধর্মঘটের কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ডে পরিবহন খাত স্থবির হয়ে পড়ে।
যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) সাধারণ সম্পাদক ব্রেন্ডান বারবার বলেন, সরকার ‘সরকারি খাতের ওপর আক্রমণ’ করছে। এটা ঠেকানোর জন্য ধর্মঘট যথার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আইন পরিবর্তন করে সরকার কর্মীদের দিয়ে বেশি বেশি কাজ করিয়ে কম মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য আরও বেশি কাজ করতে হবে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
সরকারি কর্মীদের অবসর ভাতা বেসরকারি খাতের তুলনায় অনেক ভালো—এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে টিইউসির নেতা ব্রেন্ডান বলেন, সরকারি খাতের বেশির ভাগ কর্মী খুবই নিম্ন হারে বেতন পান।
শ্রমিক সংগঠন ইউনিসনের সাধারণ সম্পাদক ডেভ প্রেন্টিস বলেন, অবসর ভাতা আইন পরিবর্তনে যে প্রস্তাবগুলো তোলা হয়েছে, তাতে সরকারি কর্মীরা যার পর নাই ক্ষুব্ধ। এতে লাখ লাখ কর্মী, বিশেষ করে, কম বেতনে কর্মরত নারীরা অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সিভিল সার্ভিস ইউনিয়ন প্রসপেক্টের নেতা পল নুন জানান, তাঁর সংগঠনের সদস্যরা ভাবছেন প্রস্তাবিত আইনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী তাঁদের ‘আরও একবার ধাক্কা মারার’ পরিকল্পনা নিয়েছেন।
অবসর ভাতা আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি সরকার তিন লাখ কর্মসংস্থান বাতিলের পরিকল্পনা নেয়। অর্থমন্ত্রী অসবর্ন গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেন, যা ধর্মঘটকে আরও জোরালো করে।
যুক্তরাজ্যে গত কয়েক দশকের মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় ধর্মঘট বলে ধারণা করা হচ্ছে। ধর্মঘটে যুক্তরাজ্যের এক-তৃতীয়াংশ বিদ্যালয় বন্ধ থাকে। হাসপাতালগুলোতে শুধু জরুরি বিভাগে চিকি ৎ সাসেবা দেওয়া হয়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অকার্যকর হয়ে পড়ে এবং নৌ ও বিমানবন্দরগুলোতে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের প্রতি আলোচনার টেবিলে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন ব্রিটিশ অর্থমন্ত্রী জর্জ অসবর্ন। তিনি বলেন, ‘ধর্মঘট থেকে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না, বরং এতে আমাদের অর্থনীতি দুর্বল হবে এবং ব্যয় বাড়বে। আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে হবে।’ অর্থমন্ত্রী বলেন, ঋণ-সমস্যা মোকাবিলায় সরকারকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হচ্ছে। কঠিন এসব সিদ্ধান্ত না নেওয়া হলে দেশ ‘দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে’।
বিশ্বের ব্যস্ততম বিমানবন্দর লন্ডনের হিথ্রোতে যাত্রীরা চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েন। ধর্মঘটের কারণে অনেক বিমান সংস্থা ফ্লাইট বাতিল করতে বাধ্য হয়। ব্রিটিশ এয়ারওয়েজের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করছি।’ শিক্ষা বিভাগের তথ্যমতে, ধর্মঘটের ফলে ইংল্যান্ডে প্রায় ৫৮ শতাংশ বিদ্যালয় বন্ধ থাকে। ১৩ শতাংশ স্বাভাবিকভাবে চলে।
শিল্পকেন্দ্রের শহর বলে পরিচিত বার্মিংহামে ধর্মঘটের সমর্থনে বিশাল বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। স্কটল্যান্ডেও প্রায় তিন লাখ সরকারি কর্মী ধর্মঘট পালন করেন। ধর্মঘটের কারণে উত্তর আয়ারল্যান্ডে পরিবহন খাত স্থবির হয়ে পড়ে।
যুক্তরাজ্যের ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেসের (টিইউসি) সাধারণ সম্পাদক ব্রেন্ডান বারবার বলেন, সরকার ‘সরকারি খাতের ওপর আক্রমণ’ করছে। এটা ঠেকানোর জন্য ধর্মঘট যথার্থ হয়েছে। তিনি বলেন, মানুষের ঘুরে দাঁড়ানোর সময় এসেছে। আইন পরিবর্তন করে সরকার কর্মীদের দিয়ে বেশি বেশি কাজ করিয়ে কম মজুরি দেওয়ার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, প্রস্তাবিত আইনে অবসর ভাতা পাওয়ার জন্য আরও বেশি কাজ করতে হবে। এটা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়।
সরকারি কর্মীদের অবসর ভাতা বেসরকারি খাতের তুলনায় অনেক ভালো—এমন দাবি প্রত্যাখ্যান করে টিইউসির নেতা ব্রেন্ডান বলেন, সরকারি খাতের বেশির ভাগ কর্মী খুবই নিম্ন হারে বেতন পান।
শ্রমিক সংগঠন ইউনিসনের সাধারণ সম্পাদক ডেভ প্রেন্টিস বলেন, অবসর ভাতা আইন পরিবর্তনে যে প্রস্তাবগুলো তোলা হয়েছে, তাতে সরকারি কর্মীরা যার পর নাই ক্ষুব্ধ। এতে লাখ লাখ কর্মী, বিশেষ করে, কম বেতনে কর্মরত নারীরা অন্যায্যভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। সিভিল সার্ভিস ইউনিয়ন প্রসপেক্টের নেতা পল নুন জানান, তাঁর সংগঠনের সদস্যরা ভাবছেন প্রস্তাবিত আইনের মাধ্যমে অর্থমন্ত্রী তাঁদের ‘আরও একবার ধাক্কা মারার’ পরিকল্পনা নিয়েছেন।
অবসর ভাতা আইন পরিবর্তনের পাশাপাশি সরকার তিন লাখ কর্মসংস্থান বাতিলের পরিকল্পনা নেয়। অর্থমন্ত্রী অসবর্ন গত মঙ্গলবার এ-সংক্রান্ত একটি ঘোষণা দেন, যা ধর্মঘটকে আরও জোরালো করে।
No comments