ঢাকার বিভক্তি এবং হরতাল-রাস্তায় নয়, আদালতেই বিষয়টি নিষ্পন্ন হোক
ঢাকা সিটি করপোরেশনকে (ডিসিসি) দুই ভাগ করে সংসদে একটি বিল পাস করা হয়েছে। বিলটি রাষ্ট্রপতির কাছে পেশ করা হবে এবং রাষ্ট্রপতি সই করলে বিলটি আইন হিসেবে গেজেট আকারে প্রকাশিত হবে। বিল অনুযায়ী পরবর্তী মেয়র নির্বাচিত না হওয়া পর্যন্ত দুজন প্রশাসক নিয়োগ করা হবে। ইতিমধ্যেই এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে একটি রিট পিটিশন করা হয়েছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে হাইকোর্ট 'স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) বিল-২০১১' কেন
অবৈধ ও সংবিধান পরিপন্থী হবে না, তা জানতে চেয়ে সরকারের প্রতি রুল জারি করেছেন। একই সঙ্গে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনকে কেন অবিলম্বে সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠানের নির্দেশ দেওয়া হবে না, সে ব্যাপারে কারণ দর্শাতে বলেছেন। এদিকে ঢাকা সিটি করপোরেশন বিভক্ত করার প্রতিবাদে বিএনপি আগামী রোববার ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে।
ডিসিসিকে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি ও আলোচনা চলছে। শুধু ঢাকা নয়, বলতে গেলে সারা দেশেরই সচেতন নাগরিক সমাজ নানাভাবে এর প্রতিবাদ ও সমালোচনা করে আসছে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন সমালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। ডিসিসির কাউন্সিলর এবং কর্মচারীরাও এই বিভক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। অবশেষে ডিসিসির মেয়র এবং বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা নিজেই আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। আদালত ত্বরিত পদক্ষেপ হিসেবে শুনানি করে সরকারের প্রতি রুলও জারি করেছেন। এ অবস্থায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এক দিনের হরতাল যে নাগরিক জীবনে কতটা দুর্ভোগ ডেকে আনে তা কারো অজানা নয়। তদুপরি বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে এই হরতাল আহ্বান করাটা কি আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল নয়?
আমরা যেমন হরতাল আহ্বানকে সমর্থন করতে পারছি না, তেমনি এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া বক্তব্যগুলোও সমর্থন করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণের দোরগোরায় নাগরিক সেবা বেশি করে পেঁৗছে দিতেই ঢাকাকে ভাগ করা হয়েছে। অর্থের সংকট থাকায় দুই ভাগ করা হয়েছে, তা না হলে এটিকে চার ভাগ করাটাই তাঁদের ইচ্ছা ছিল। আয়তনের দিক থেকে ঢাকা খুব বড় শহর নয়। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় অনেক শহর রয়েছে। জনসংখ্যার দিক থেকেও ঢাকার চেয়ে বড় অনেক শহর রয়েছে। সেসব শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। কিন্তু এর জন্য সেসব শহর বিভক্ত করার প্রয়োজন হয়নি। ঢাকা তো এখনো পৃথিবীতে বসবাসের অযোগ্য দ্বিতীয় নিকৃষ্টতম শহরই রয়ে গেছে। এরপর হয়তো তা এক নম্বরেও চলে যেতে পারে। সাংহাই শহরের বর্তমান জনসংখ্যা আড়াই কোটির ওপর, সেখানে একজনই মেয়র আছেন। নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। ভারতের মুম্বাই শহরে কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে। লোকসংখ্যাও দেড় কোটির মতো। সেখানে নানা ধরনের প্রশাসনিক বিভক্তি আছে, কিন্তু শহর একটাই, মেয়রও একজনই। যদিও সেখানে মেয়র সরাসরি নির্বাচিত হন না, কাউন্সিলররা মেয়র নির্বাচন করেন এবং মেয়রের ওপর আমলাতন্ত্র থেকে আসা একজন কমিশনার আছেন।
আমাদের বোধগম্য নয়, সরকার কেন হঠাৎ হঠাৎ জনমতের বিরোধী একেকটি ইস্যু সামনে নিয়ে এসে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ করে দেয়? আমরা চাই না, এ ব্যাপারে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক কিংবা রাস্তাঘাটে গাড়ি ভাঙচুর, জ্বালাওপোড়াও ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালত থেকেই এ ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক সমাধান আসুক_সেটাই আমাদের কাম্য।
ডিসিসিকে বিভক্ত করার সরকারি সিদ্ধান্তের সমালোচনা করে গণমাধ্যমে ব্যাপক লেখালেখি ও আলোচনা চলছে। শুধু ঢাকা নয়, বলতে গেলে সারা দেশেরই সচেতন নাগরিক সমাজ নানাভাবে এর প্রতিবাদ ও সমালোচনা করে আসছে। বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠন সমালোচনার পাশাপাশি বিভিন্ন কর্মসূচিও গ্রহণ করেছে। ডিসিসির কাউন্সিলর এবং কর্মচারীরাও এই বিভক্তির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়ে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে যাচ্ছেন। অবশেষে ডিসিসির মেয়র এবং বিএনপি নেতা সাদেক হোসেন খোকা নিজেই আদালতে রিট পিটিশন দায়ের করেছেন। আদালত ত্বরিত পদক্ষেপ হিসেবে শুনানি করে সরকারের প্রতি রুলও জারি করেছেন। এ অবস্থায় বিএনপির সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করাটা কতটা যুক্তিযুক্ত, তা আমাদের বোধগম্য নয়। এক দিনের হরতাল যে নাগরিক জীবনে কতটা দুর্ভোগ ডেকে আনে তা কারো অজানা নয়। তদুপরি বিচারাধীন একটি বিষয় নিয়ে এই হরতাল আহ্বান করাটা কি আদালতের প্রতি অশ্রদ্ধা প্রদর্শনের শামিল নয়?
আমরা যেমন হরতাল আহ্বানকে সমর্থন করতে পারছি না, তেমনি এ ব্যাপারে সরকারের তরফ থেকে দেওয়া বক্তব্যগুলোও সমর্থন করতে পারছি না। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জনগণের দোরগোরায় নাগরিক সেবা বেশি করে পেঁৗছে দিতেই ঢাকাকে ভাগ করা হয়েছে। অর্থের সংকট থাকায় দুই ভাগ করা হয়েছে, তা না হলে এটিকে চার ভাগ করাটাই তাঁদের ইচ্ছা ছিল। আয়তনের দিক থেকে ঢাকা খুব বড় শহর নয়। পৃথিবীতে এর চেয়ে বড় অনেক শহর রয়েছে। জনসংখ্যার দিক থেকেও ঢাকার চেয়ে বড় অনেক শহর রয়েছে। সেসব শহরে নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। কিন্তু এর জন্য সেসব শহর বিভক্ত করার প্রয়োজন হয়নি। ঢাকা তো এখনো পৃথিবীতে বসবাসের অযোগ্য দ্বিতীয় নিকৃষ্টতম শহরই রয়ে গেছে। এরপর হয়তো তা এক নম্বরেও চলে যেতে পারে। সাংহাই শহরের বর্তমান জনসংখ্যা আড়াই কোটির ওপর, সেখানে একজনই মেয়র আছেন। নাগরিক সুযোগ-সুবিধাও অনেক বেশি। ভারতের মুম্বাই শহরে কয়েকটি দ্বীপ রয়েছে। লোকসংখ্যাও দেড় কোটির মতো। সেখানে নানা ধরনের প্রশাসনিক বিভক্তি আছে, কিন্তু শহর একটাই, মেয়রও একজনই। যদিও সেখানে মেয়র সরাসরি নির্বাচিত হন না, কাউন্সিলররা মেয়র নির্বাচন করেন এবং মেয়রের ওপর আমলাতন্ত্র থেকে আসা একজন কমিশনার আছেন।
আমাদের বোধগম্য নয়, সরকার কেন হঠাৎ হঠাৎ জনমতের বিরোধী একেকটি ইস্যু সামনে নিয়ে এসে দেশে একটি অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির সুযোগ করে দেয়? আমরা চাই না, এ ব্যাপারে দেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি হোক কিংবা রাস্তাঘাটে গাড়ি ভাঙচুর, জ্বালাওপোড়াও ধরনের কোনো পরিস্থিতি তৈরি হোক। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। আদালত থেকেই এ ব্যাপারে একটি গ্রহণযোগ্য ও যৌক্তিক সমাধান আসুক_সেটাই আমাদের কাম্য।
No comments