সংবাদ সম্মেলনে ড্যান মজিনা-বাংলাদেশের সঙ্গে বড় পরিসরে কৌশলগত চুক্তি চায় যুক্তরাষ্ট্র
সন্ত্রাসবাদ, খাদ্য নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন খাতে বড় পরিসরে বাংলাদেশের সঙ্গে কৌশলগত চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের সম্ভাব্য সফরেই ওই চুক্তি স্বাক্ষরের লক্ষ্যে কাজ করবে যুক্তরাষ্ট্রের ঢাকা দূতাবাস। দেশটির ঢাকায় নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ড্যান ডাব্লিউ মজিনা গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় আমেরিকান রিক্রিয়েশন ক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান।
হিলারি কবে আসবেন_এ প্রশ্নের উত্তরে ড্যান মজিনা নির্দিষ্ট কোনো সময়ের উল্লেখ না করে জানান, হিলারির সফর ও চুক্তি তাঁর স্বপ্ন ও লক্ষ্য। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁকে ওই সফর ও চুক্তির ব্যাপারে অনেক কাজ করতে হবে এবং সেসব করতে তিনি পিছপা হবেন না।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মজিনা ঢাকায় আসেন গত ১৮ অক্টোবর। ওই দিনই বিমানবন্দরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করার মাধ্যমে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে চতুর্থবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে মজিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচিত বিভিন্ন ইস্যু ও বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর ভাবনা ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর কাছে এবং তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ ছোট কোনো দেশ নয়। এটি বিশাল এক দেশ, যা জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সপ্তম আর মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিচারে দ্বিতীয়। উদারতা ও সহনশীলতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় বলে তিনি জানান।
মজিনা বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর ও জোরদার করার আদেশ নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছেন। তাঁর স্বপ্ন ও লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফর আয়োজন করা। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন হিলারির সফরেই দুই দেশ একটি কৌশলগত চুক্তি সই করবে।
মজিনা জানান, কৌশলগত চুক্তিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকতে পারে।
আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, হিলারির সফর ও কৌশলগত চুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁকে অনেক কাজ করতে হবে। আর তা করতে তিনি ভীত নন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মজিনা বলেন, এ নিয়ে কাজ চলছে। চুক্তির খসড়া ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তিটিই প্রথমে সই হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার দাবি করার ছয়টি কারণ উল্লেখ করেন মজিনা। প্রথমত, বাংলাদেশ এক বিশাল দেশ; দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি; তৃতীয়ত, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ; চতুর্থত, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক; পঞ্চমত, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং ষষ্ঠ কারণ মানবিক সহায়তা।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে পূর্বসূরিদের মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করবেন কি না জানতে চাইলে মজিনা বলেন, এটি 'হাইপোথেটিক্যাল' প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সব সময় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
দুর্নীতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মজিনা বলেন, তাঁর দেশসহ বিশ্বের সর্বত্রই দুর্নীতি আছে। এর বিরূদ্ধে রাষ্ট্র, সরকার ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মজিনা বলেন, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন। এর আগে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের অনেক ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন এবং অভিভূত হয়েছেন।
রাজনীতিকদেরই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে : সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ছিল একদলীয় নির্বাচন; আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন একদলীয় হলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে? প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত বলেন, 'রাজনৈতিক প্রক্রিয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সব রাজনৈতিক শক্তিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের (রাজনৈতিক শক্তি) ওই প্রক্রিয়ায়ই অংশ নিতে হবে। আমার কাছে কোনো জাদু নেই।' তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গণমাধ্যম ও তথ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১১ অক্টোবর ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটন আগামী বছর বাংলাদেশ সফরে আসার ব্যাপারে তাঁর আগ্রহের কথা জানিয়েছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত হিসেবে মজিনা ঢাকায় আসেন গত ১৮ অক্টোবর। ওই দিনই বিমানবন্দরে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন। এরপর তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও পররাষ্ট্রসচিব মোহাম্মদ মিজারুল কায়েসের সঙ্গে আলাদাভাবে সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করার মাধ্যমে দুই সপ্তাহেরও কম সময়ে চতুর্থবারের মতো সাংবাদিকদের মুখোমুখি হলেন তিনি।
গতকালের সংবাদ সম্মেলনে মজিনা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে রাষ্ট্রদূত হিসেবে প্রথম সৌজন্য সাক্ষাতে আলোচিত বিভিন্ন ইস্যু ও বাংলাদেশ নিয়ে তাঁর ভাবনা ও লক্ষ্য তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তাঁর কাছে এবং তাঁর দেশ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বাংলাদেশ ছোট কোনো দেশ নয়। এটি বিশাল এক দেশ, যা জনসংখ্যার হিসাবে বিশ্বের বৃহৎ রাষ্ট্রগুলোর মধ্যে সপ্তম আর মুসলমান জনগোষ্ঠীর বিচারে দ্বিতীয়। উদারতা ও সহনশীলতায় বাংলাদেশ বিশ্বে অনুকরণীয় বলে তিনি জানান।
মজিনা বলেন, রাষ্ট্রদূত হিসেবে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক আরো গভীর ও জোরদার করার আদেশ নিয়ে তিনি ঢাকায় এসেছেন। তাঁর স্বপ্ন ও লক্ষ্য যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ঢাকা সফর আয়োজন করা। প্রধানমন্ত্রীকে তিনি বলেছেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন হিলারির সফরেই দুই দেশ একটি কৌশলগত চুক্তি সই করবে।
মজিনা জানান, কৌশলগত চুক্তিতে সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলা, খাদ্য নিরাপত্তা, জলবায়ু পরিবর্তন ও জ্বালানির মতো গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু থাকতে পারে।
আমেরিকান রাষ্ট্রদূত বলেন, হিলারির সফর ও কৌশলগত চুক্তির লক্ষ্যে রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁকে অনেক কাজ করতে হবে। আর তা করতে তিনি ভীত নন।
যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সম্ভাব্য বাণিজ্য চুক্তি সম্পর্কে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে মজিনা বলেন, এ নিয়ে কাজ চলছে। চুক্তির খসড়া ওয়াশিংটনে পাঠানো হয়েছে। রাষ্ট্রদূত হিসেবে তাঁর দায়িত্ব নেওয়ার পর দুই দেশের মধ্যে এ চুক্তিটিই প্রথমে সই হবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বাংলাদেশকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত অংশীদার দাবি করার ছয়টি কারণ উল্লেখ করেন মজিনা। প্রথমত, বাংলাদেশ এক বিশাল দেশ; দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ শক্তি; তৃতীয়ত, বৈশ্বিক খাদ্য নিরাপত্তার জন্য বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ; চতুর্থত, বাংলাদেশের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক; পঞ্চমত, গণতন্ত্র ও মানবাধিকার এবং ষষ্ঠ কারণ মানবিক সহায়তা।
রাষ্ট্রদূত হিসেবে পূর্বসূরিদের মতো বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংকট নিরসনে মধ্যস্থতা করবেন কি না জানতে চাইলে মজিনা বলেন, এটি 'হাইপোথেটিক্যাল' প্রশ্ন। যুক্তরাষ্ট্র সরকার সব সময় বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় সহায়তা দিয়ে আসছে এবং ভবিষ্যতেও দেবে।
দুর্নীতি বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে মজিনা বলেন, তাঁর দেশসহ বিশ্বের সর্বত্রই দুর্নীতি আছে। এর বিরূদ্ধে রাষ্ট্র, সরকার ও সুশীল সমাজকে একযোগে কাজ করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে গ্রামীণ ব্যাংক ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ইস্যুতে আলোচনা হয়েছে কি না জানতে চাইলে মজিনা বলেন, তিনি তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা প্রধানমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেছেন। এর আগে বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনের সময় তিনি গ্রামীণ ব্যাংকের মাধ্যমে সাফল্য অর্জনের অনেক ঘটনা স্বচক্ষে দেখেছেন এবং অভিভূত হয়েছেন।
রাজনীতিকদেরই রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নিতে হবে : সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিক বলেন, সম্প্রতি অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জ সিটি নির্বাচন ছিল একদলীয় নির্বাচন; আগামীতে স্থানীয় সরকার নির্বাচন এবং ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচন একদলীয় হলে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান কী হবে? প্রতিক্রিয়ায় রাষ্ট্রদূত বলেন, 'রাজনৈতিক প্রক্রিয়া একটি চলমান প্রক্রিয়া। আমরা সব রাজনৈতিক শক্তিকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি। আপনাদের (রাজনৈতিক শক্তি) ওই প্রক্রিয়ায়ই অংশ নিতে হবে। আমার কাছে কোনো জাদু নেই।' তিনি আরো বলেন, রাজনৈতিক শক্তিগুলোকে রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় ধাপে ধাপে এগিয়ে যেতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের গণমাধ্যম ও তথ্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
No comments