অনিশ্চয়তায় জলবায়ু সহায়তা তহবিল
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সাহায্যের জন্য ১০ হাজার কোটি ডলারের জলবায়ু তহবিল গঠনের পরিকল্পনা বাধার মুখে পড়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকার ডারবানে চলমান জলবায়ু সম্মেলনে বেশ কয়েকটি দেশ এ ধরনের তহবিলের কিছু ত্রুটিবিচ্যুতি চিহ্নিত করেছে।গত সোমবার জাতিসংঘ জলবায়ু সম্মেলন (কোপ-১৭) শুরুর পর থেকেই জলবায়ু তহবিল গঠনের বিষয়টি প্রাধান্য পাচ্ছিল।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে হুমকির মুখে পড়া দেশগুলোকে আর্থিক সহায়তার লক্ষ্যে ধনী দেশগুলোর অর্থায়নে এই তহবিল গঠনের পরিকল্পনা ছিল। ২০০৯ সালে কোপেনহেগেনে কোপ-১৫ সম্মেলনে 'গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড' নামের এই তহবিলের রূপরেখা ঘোষণা করা হয়। ২০২০ সাল নাগাদ এই তহবিলের বার্ষিক অনুদান ১০ হাজার কোটি ডলার পর্যন্ত বাড়ানোর পরিকল্পনা করা হয়। অনেকটা অপ্রত্যাশিতভাবেই যুক্তরাষ্ট্র, সৌদি আরব ও লাতিন আমেরিকার কয়েকটি দেশ গত বুধবার এই তহবিলের সমলোচনা করে।
ডারবান সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচক জোনাথন পার্সিং বলেন, 'ঠিকমতো পরিকল্পনা করা হলে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড জলবায়ুবিষয়ক অর্থায়নের প্রধান বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে। কিন্তু তা না হলে তহবিলটি অর্থহীন হয়ে থাকবে।' জলবায়ু তহবিলের বর্তমান পরিকল্পনা খুব 'তাড়াহুড়ো' করে করা এবং এর মধ্যে অনেক 'ভুল ও অসামঞ্জস্যতা আছে' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সংগঠন বলিভারিয়ান অ্যালায়েন্স ফর দ্য আমেরিকাসের (এএলবিএ) পক্ষ থেকে ভেনিজুয়েলা জানায়, জলবায়ু তহবিলের তত্ত্বাবধানে বিশ্বব্যাংক থাকুক, এটা তারা চায় না। জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থা ইউএনএফসিসির নতুন একটি অংশ হিসেবে এই তহবিল গঠনের পরামর্শ দেয় তারা। এদিকে জলবায়ু তহবিলের অর্থ বেসরকারি খাতের পরিবর্তে সরকারি খাত থেকেই আসা উচিত বলে মত দেয় সৌদি আরব। তবে এখনই জলবায়ু তহবিল পরিকল্পনার যেকোনো ধরনের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা, পুরো বিষয়টিকেই অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন ডারবানে আসা বেশির ভাগ প্রতিনিধি। সিঙ্গাপুরের প্রধান আলোচক বুরহান গফুর বলেন, 'আমরা পেণ্ডোরার বাঙ্ খোলার ঝুঁকিতে আছি। আমরা যদি আবারও বাঙ্ খোলার চেষ্টা করি, তাহলে ডারবান সম্মেলন থেকে তহবিল গঠনের কাজ শুরু নাও হতে পারে।' ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু তহবিল পরিকল্পনা অনুমোদনের পক্ষে সায় দিচ্ছে। কিন্তু কিভাবে এর অর্থায়ন হবে, সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া উন্নয়নশীল যেসব দেশ জলবায়ু তহবিলের সাহায্য পাবে, কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিবর্তে তারা শুধু জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলারই চেষ্টা চালাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
ডারবান সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের আলোচক জোনাথন পার্সিং বলেন, 'ঠিকমতো পরিকল্পনা করা হলে গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ড জলবায়ুবিষয়ক অর্থায়নের প্রধান বৈশ্বিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে পারে। কিন্তু তা না হলে তহবিলটি অর্থহীন হয়ে থাকবে।' জলবায়ু তহবিলের বর্তমান পরিকল্পনা খুব 'তাড়াহুড়ো' করে করা এবং এর মধ্যে অনেক 'ভুল ও অসামঞ্জস্যতা আছে' বলেও উল্লেখ করেন তিনি। লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর সংগঠন বলিভারিয়ান অ্যালায়েন্স ফর দ্য আমেরিকাসের (এএলবিএ) পক্ষ থেকে ভেনিজুয়েলা জানায়, জলবায়ু তহবিলের তত্ত্বাবধানে বিশ্বব্যাংক থাকুক, এটা তারা চায় না। জাতিসংঘ জলবায়ু সংস্থা ইউএনএফসিসির নতুন একটি অংশ হিসেবে এই তহবিল গঠনের পরামর্শ দেয় তারা। এদিকে জলবায়ু তহবিলের অর্থ বেসরকারি খাতের পরিবর্তে সরকারি খাত থেকেই আসা উচিত বলে মত দেয় সৌদি আরব। তবে এখনই জলবায়ু তহবিল পরিকল্পনার যেকোনো ধরনের উন্নয়ন ঘটানোর চেষ্টা, পুরো বিষয়টিকেই অচলাবস্থার দিকে নিয়ে যাবে বলে মনে করেন ডারবানে আসা বেশির ভাগ প্রতিনিধি। সিঙ্গাপুরের প্রধান আলোচক বুরহান গফুর বলেন, 'আমরা পেণ্ডোরার বাঙ্ খোলার ঝুঁকিতে আছি। আমরা যদি আবারও বাঙ্ খোলার চেষ্টা করি, তাহলে ডারবান সম্মেলন থেকে তহবিল গঠনের কাজ শুরু নাও হতে পারে।' ইউরোপীয় ইউনিয়ন, জাপান ও অস্ট্রেলিয়া জলবায়ু তহবিল পরিকল্পনা অনুমোদনের পক্ষে সায় দিচ্ছে। কিন্তু কিভাবে এর অর্থায়ন হবে, সেই বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়। এ ছাড়া উন্নয়নশীল যেসব দেশ জলবায়ু তহবিলের সাহায্য পাবে, কার্বন নিঃসরণ কমানোর পরিবর্তে তারা শুধু জলবায়ু পরিবর্তন-সংক্রান্ত ঝুঁকি মোকাবিলারই চেষ্টা চালাবে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে। সূত্র : এএফপি।
No comments