পোশাক খাতে রফতানি আয় কমবে ৬০০ কোটি টাকা by আবু হেনা মুহিব
ইউরোপিয়ান ইউনিয়নে (ইইউ) পাকিস্তান শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাত অন্তত ৬০০ কোটি টাকার রফতানি আয় হারাবে। নিজেদের উৎপাদিত তুলার সুবিধায় দরদামে এসব পণ্যে বাংলাদেশের তুলনায় পাকিস্তান এগিয়ে যাবে বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা ব্যবসায়ীরা।গত বছর বন্যায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পরিপ্রেক্ষিতে ইইউ বাজারে প্রবেশের ক্ষেত্রে ৭৫টি পণ্যে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা দাবি করে পাকিস্তান।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডবি্লউটিও) নিয়ম অনুযায়ী কোনো বাজারে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেতে রফতানিকারক দেশকে স্বল্পোন্নত (এলডিসি) দেশের শ্রেণীভুক্ত হতে হয়। পাকিস্তান এলডিসি শ্রেণীর তুলনায় উন্নত দেশ হওয়ার কারণে অন্য এলডিসিভুক্ত দেশ পাকিস্তানের আবেদনের বিরোধিতা করে আসছে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ইইউ বাজারে নতুন রুলস অব অরিজিন সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সুবিধার আওতায় যে কোনো দেশ থেকে কাপড় আমদানি করে পোশাক তৈরি করা যাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের বাধ্যবাধকতা নেই। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী এ সুবিধা পাওয়ার পর অক্টোবর পর্যন্ত ইইউ বাজারে গড় রফতানি বেড়েছে গড়ে ৩৫ শতাংশ। গত ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মোট রফতানির প্রায় ৫৮ শতাংশ আসে ইইউ থেকে। কিন্তু পাকিস্তান একই সুবিধা পেলে দেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইইউতে রফতানি প্রক্রিয়া বিঘি্নত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ইইউ বাজারে পাকিস্তান শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেলে কোটা নির্ধারিত ৬ পণ্যে কমবেশি ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাকি ২ পণ্যে আরও ১৫০ কোটি টাকা মিলে বাংলাদেশ অন্তত ৬০০ কোটি টাকার রফতানি আয় হারাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন এ প্রসঙ্গে জানান, পাকিস্তানের এ দাবি আমাদের প্রধান রফতানি আয়ের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পুষিয়ে নিতে ৮টি গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শর্ত অনুযায়ী এ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। ইইউতে আমাদের একই পণ্য রফতানি করার কারণে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। বিশেষ করে নিজেদের উৎপাদিত তুলার সুবিধায় তারা কমদামে রফতানি সরবরাহ করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্ন কথা বলেছেন বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। গতকাল সমকালকে তিনি জানান, পাকিস্তানকে ৭৫ পণ্যে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা দিলে আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কারণ এর মধ্যে মাত্র তৈরি পোশাক খাতের ২টি সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও বাকি ৬ পণ্যে নির্দিষ্ট কোটার বাইরে রফতানি করা যাবে না। ফলে আমাদের রফতানি আয়ে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, নিট খাতে মহিলাদের ট্রাউজার এবং বেবি আইটেম রয়েছে এর মধ্যে। তবে ডেনিমও পাকিস্তানের ২ পণ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশের ওভেন খাত কিছুটা সমস্যায় পড়বে।
জানা গেছে, চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ইইউ বাজারে নতুন রুলস অব অরিজিন সুবিধা পেয়েছে বাংলাদেশ। এ সুবিধার আওতায় যে কোনো দেশ থেকে কাপড় আমদানি করে পোশাক তৈরি করা যাচ্ছে এবং এ ক্ষেত্রে মূল্য সংযোজনের বাধ্যবাধকতা নেই। রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী এ সুবিধা পাওয়ার পর অক্টোবর পর্যন্ত ইইউ বাজারে গড় রফতানি বেড়েছে গড়ে ৩৫ শতাংশ। গত ২০০৯-২০১০ অর্থবছরে মোট রফতানির প্রায় ৫৮ শতাংশ আসে ইইউ থেকে। কিন্তু পাকিস্তান একই সুবিধা পেলে দেশের তৈরি পোশাকের প্রধান বাজার ইইউতে রফতানি প্রক্রিয়া বিঘি্নত হবে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, ইইউ বাজারে পাকিস্তান শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা পেলে কোটা নির্ধারিত ৬ পণ্যে কমবেশি ৪ হাজার ৫০০ টাকা এবং সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধায় বাকি ২ পণ্যে আরও ১৫০ কোটি টাকা মিলে বাংলাদেশ অন্তত ৬০০ কোটি টাকার রফতানি আয় হারাবে।
বিজিএমইএ সভাপতি সফিউল ইসলাম মহিউদ্দীন এ প্রসঙ্গে জানান, পাকিস্তানের এ দাবি আমাদের প্রধান রফতানি আয়ের জন্য একটা বড় চ্যালেঞ্জ। বন্যার ক্ষয়ক্ষতির পুষিয়ে নিতে ৮টি গার্মেন্ট ও টেক্সটাইল পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা দাবি করেছে পাকিস্তান। কিন্তু বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার শর্ত অনুযায়ী এ সুবিধা দেওয়ার সুযোগ নেই। ইইউতে আমাদের একই পণ্য রফতানি করার কারণে আমরা আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবো। বিশেষ করে নিজেদের উৎপাদিত তুলার সুবিধায় তারা কমদামে রফতানি সরবরাহ করতে পারবে। ফলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে বাধ্য। তবে এ প্রসঙ্গে ভিন্ন কথা বলেছেন বিকেএমইএ সহ-সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম। গতকাল সমকালকে তিনি জানান, পাকিস্তানকে ৭৫ পণ্যে শুল্কমুক্ত রফতানি সুবিধা দিলে আমাদের খুব বেশি ক্ষতি হবে না। কারণ এর মধ্যে মাত্র তৈরি পোশাক খাতের ২টি সম্পূর্ণ শুল্কমুক্ত সুবিধা পেলেও বাকি ৬ পণ্যে নির্দিষ্ট কোটার বাইরে রফতানি করা যাবে না। ফলে আমাদের রফতানি আয়ে খুব বেশি সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তিনি বলেন, নিট খাতে মহিলাদের ট্রাউজার এবং বেবি আইটেম রয়েছে এর মধ্যে। তবে ডেনিমও পাকিস্তানের ২ পণ্যের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় দেশের ওভেন খাত কিছুটা সমস্যায় পড়বে।
No comments