জনস্বাস্থ্য-ডাক্তাররা কেন গ্রামে যান না by সৈয়দ মাসুদ আহমদ
ডাক্তারদের জন্য দরকার একটা স্বচ্ছ, ন্যায়ানুগ এবং দলাদলিমুক্ত পেশাগত পরিকল্পনা, যেন প্রত্যেকেই তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পড়াশোনা ও পদোন্নতির সুযোগ পান। গ্রামে পড়ে থাকার জন্য তিনি যেন বঞ্চিত না হনবাংলাদেশের সরকারি ডাক্তারদের নিয়ে সবচেয়ে বড় অভিযোগ হচ্ছে, তারা গ্রামে যেতে চান না। দেশের মানুষের টাকায় পড়াশোনা করে যাদের সবচেয়ে বেশি দরকার, সেই গ্রামের দরিদ্র অসহায় মানুষের চিকিৎসায় তারা কোনো
কাজে আসেন না। শুধু তাই নয়, যদিওবা ঠেলায় পড়ে যান (যেমন কয়দিন আগে প্রধানমন্ত্রীর ধমক খেয়ে গিয়েছিলেন), বেশি দিন থাকেন না। প্রভাব-প্রতিপত্তি খাটিয়ে ঢাকায় বা কাছের কোনো শহরে পোস্টিং নেন।
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কারণটা কী? মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার আগে বা পরে কিংবা ডাক্তার হওয়ার আগে প্রশ্ন করলে তারা ব্যতিক্রমহীনভাবে বলেন, দুস্থ মানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গ করব, গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেব। কিন্তু হায়! কর্মজীবনে প্রবেশ করে আর কেউ কথা রাখেন না। অল্প সময়ে প্রচুর বিত্ত অর্জনের যে মরণব্যাধি বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে, তাতে শামিল হয়ে দিগ্গি্বদিক ছুটে চলেন। বড় বড় নীতিকথা পথের পাশে পড়ে থাকে। অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। তবে তা ব্যতিক্রমই।
কেন এই পরিবর্তন? আমি বরং বলব, কেন নয় এই পরিবর্তন? গোড়াতেই যে গলদ! যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশে ডাক্তারি পড়ার জন্য ছাত্র বাছাই করা হয়, আর যে শিক্ষা আবহের মধ্য দিয়ে তারা ছাত্রজীবন পার করেন, তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সমস্যার মূল। সারাদেশ থেকে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সবচেয়ে মেধাবীদের বাছাই করা হয় ডাক্তারি পড়ানোর জন্য। তারপর তাদের শহুরে পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে (ছয় বছর বা তার বেশি) গ্রাম-দেশের রোগব্যাধি এবং বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীন এক পাঠক্রমের সাহায্যে শিক্ষা দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা তাকে ওই গ্রামীণ পরিবেশে কাজ করার জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলে না। তাদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকে পশ্চিমা মডেলের উচ্চ প্রযুক্তির চিকিৎসা ব্যবস্থা আর শহরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে লাখ লাখ টাকা কামানো সফল অধ্যাপকবৃন্দ। গ্রাম-দেশের গরিব মানুষের চিকিৎসা করার জন্য কেউ তাদের উদ্বুদ্ধ করে না! বরং থাকে পড়াশোনা বা টাকা কামানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার হাতছানি। এরপরও আশা করা হয় যে, তারা গ্রামে পড়ে থেকে মানবসেবা করে যাবেন!
এ ছাড়া রয়েছে অন্যান্য সমস্যা। যেমন উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ও সহযোগী/সহকারী কর্মীর অভাব, বাসস্থান ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব, বিনোদনের অভাব, স্থানীয় প্রশাসনের হম্বিতম্বি ও অনৈতিক আবদার, পেশাগত পরিকল্পনার অভাব, উচ্চশিক্ষার সমস্যা ইত্যাদি। এত অসুবিধার মধ্যে ডাক্তাররা গ্রামে যাবেন কেন, আর চাকরি রক্ষার জন্য গেলেই-বা থাকবেন কেন?
তাহলে কী করতে হবে? একেবারে প্রথম থেকে ডাক্তার বানানোর পদ্ধতিটা ঠিক করতে হবে। প্রথমেই নজর দিতে হবে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার দিকে। সাধারণ ডাক্তার হওয়ার জন্য খুব বেশি মেধার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হচ্ছে দেশ ও মানবপ্রেম, গ্রাম-দেশে কাজ করার মানসিকতা, সাধারণ মানুষের সেবা করার প্রণোদনা ইত্যাদি। মোট ভর্তি হওয়া ছাত্রদের মধ্যে ৩৩ শতাংশের মতো বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য পড়াশোনা করেন। গবেষণা করার জন্য তাদের মেধাবী হওয়ার প্রয়োজন আছে। কাজেই ভর্তি ব্যবস্থা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে এই দুই ধরনের চাহিদাই মেটানো যায়। বিসিএসের জন্য ক্ষতিকারক হলেও মেডিকেলের জন্য দরকার কোটা ব্যবস্থা। এখানে এক-তৃতীয়াংশ আসন মেধার ভিত্তিতে পূরণ হবে, আর বাকি দুই-তৃতীয়াংশ পূরণ হবে জেলাভিত্তিক মেধার ভিত্তিতে। মেধার ভিত্তিতে উত্তীর্ণদের পছন্দ অনুযায়ী আসন বণ্টন করতে হবে। অন্যদিকে জেলা কোটায় উত্তীর্ণদের আসন দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন যার যেটা স্থায়ী ঠিকানা, তাকে তার নিকটস্থ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এখানে ছাত্রদের কোনো পছন্দ থাকবে না। জেলা কোটার সুবিধা পাওয়ার বিপরীতে ছাত্রদের বন্ড দিতে হবে যে, পাস করার পর কমপক্ষে দুই বছর ওই জেলা বা বিভাগে তিনি কাজ করবেন। তারপরই কেবল উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন কিংবা কর্মস্থল পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ ব্যবস্থাকে উন্নত করা যায়।
এরপর নজর দিতে হবে পাঠক্রমের দিকে। বর্তমানের পশ্চিমমুখী পাঠক্রমকে বাংলাদেশের উপযুক্ত করে ঢেলে সাজাতে হবে। জোর দিতে হবে দেশের রোগব্যাধির চিকিৎসার ওপর, বিশেষ করে স্বল্প সম্পদের প্রেক্ষাপটে কী করে তা মোকাবেলা করা যায়। শুধু নিরাময় নয়, রোগ প্রতিরোধের বিষয়গুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়াতে হবে। জনস্বাস্থ্যের ব্যবহারিক ঃড়ড়ষগুলো শিখিয়ে দিতে হবে। মেডিকেল সমাজবিদ্যা এবং স্বাস্থ্য-অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলো পড়াতে হবে তাকে দেশের এবং সমাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। এগুলো একজন ভবিষ্যৎ ডাক্তারকে রোগীর প্রতি সংবেদনশীল এবং সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করবে। ব্যবহারিক বিদ্যা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে ছাত্রাবস্থা থেকেই তারা দেশের স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সম্যক অবহিত হতে পারেন। হাতেকলমে গ্রাম-দেশে রোগ নিরাময় কাজের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। এ ছাড়া পাঠক্রমে একজন ভালো ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আচরণগত গুণাবলি অর্জনেরও ব্যবস্থ্যা থাকতে হবে।
এ ছাড়া দূরবর্তী এলাকায় কাজ করার জন্য বিশেষ ভাতা, কাজ অনুযায়ী পুরস্কার বা তিরস্কার এবং নিয়মিত বিরতিতে সেসব এলাকা থেকে বদলি ইত্যাদি ডাক্তারদের গ্রামবাসীকে সহনীয় করে তুলবে। সবশেষে, ডাক্তারদের জন্য দরকার একটা স্বচ্ছ, ন্যায়ানুগ এবং দলাদলিমুক্ত পেশাগত পরিকল্পনা, যেন প্রত্যেকেই তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পড়াশোনা ও পদোন্নতির সুযোগ পান। গ্রামে পড়ে থাকার জন্য তিনি যেন বঞ্চিত না হন। আর এ সবকিছু ঢেলে সাজানোর জন্য দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার আর দূরদর্শিতা: জোর-জবরদস্তি নয়।
সৈয়দ মাসুদ আহমদ : জনস্বাস্থ্য গবেষক
প্রশ্ন ওঠা স্বাভাবিক, কারণটা কী? মেডিকেলে ভর্তি হওয়ার আগে বা পরে কিংবা ডাক্তার হওয়ার আগে প্রশ্ন করলে তারা ব্যতিক্রমহীনভাবে বলেন, দুস্থ মানবতার সেবায় জীবন উৎসর্গ করব, গরিব মানুষকে বিনা পয়সায় চিকিৎসা দেব। কিন্তু হায়! কর্মজীবনে প্রবেশ করে আর কেউ কথা রাখেন না। অল্প সময়ে প্রচুর বিত্ত অর্জনের যে মরণব্যাধি বাংলাদেশকে গ্রাস করেছে, তাতে শামিল হয়ে দিগ্গি্বদিক ছুটে চলেন। বড় বড় নীতিকথা পথের পাশে পড়ে থাকে। অবশ্য ব্যতিক্রম যে নেই তা নয়। তবে তা ব্যতিক্রমই।
কেন এই পরিবর্তন? আমি বরং বলব, কেন নয় এই পরিবর্তন? গোড়াতেই যে গলদ! যে ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে আমাদের দেশে ডাক্তারি পড়ার জন্য ছাত্র বাছাই করা হয়, আর যে শিক্ষা আবহের মধ্য দিয়ে তারা ছাত্রজীবন পার করেন, তার মধ্যেই লুকিয়ে আছে সমস্যার মূল। সারাদেশ থেকে কঠিন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষার মধ্য দিয়ে সবচেয়ে মেধাবীদের বাছাই করা হয় ডাক্তারি পড়ানোর জন্য। তারপর তাদের শহুরে পরিবেশে দীর্ঘ সময় ধরে (ছয় বছর বা তার বেশি) গ্রাম-দেশের রোগব্যাধি এবং বাস্তব অবস্থার সঙ্গে সম্পর্কহীন এক পাঠক্রমের সাহায্যে শিক্ষা দেওয়া হয়। এই ব্যবস্থা তাকে ওই গ্রামীণ পরিবেশে কাজ করার জন্য দক্ষ করে গড়ে তোলে না। তাদের সামনে দৃষ্টান্ত হিসেবে থাকে পশ্চিমা মডেলের উচ্চ প্রযুক্তির চিকিৎসা ব্যবস্থা আর শহরে প্রাইভেট প্র্যাকটিস করে লাখ লাখ টাকা কামানো সফল অধ্যাপকবৃন্দ। গ্রাম-দেশের গরিব মানুষের চিকিৎসা করার জন্য কেউ তাদের উদ্বুদ্ধ করে না! বরং থাকে পড়াশোনা বা টাকা কামানোর জন্য বিদেশে যাওয়ার হাতছানি। এরপরও আশা করা হয় যে, তারা গ্রামে পড়ে থেকে মানবসেবা করে যাবেন!
এ ছাড়া রয়েছে অন্যান্য সমস্যা। যেমন উপযুক্ত যন্ত্রপাতি ও সহযোগী/সহকারী কর্মীর অভাব, বাসস্থান ও ছেলেমেয়েদের পড়াশোনার জন্য মানসম্মত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অভাব, বিনোদনের অভাব, স্থানীয় প্রশাসনের হম্বিতম্বি ও অনৈতিক আবদার, পেশাগত পরিকল্পনার অভাব, উচ্চশিক্ষার সমস্যা ইত্যাদি। এত অসুবিধার মধ্যে ডাক্তাররা গ্রামে যাবেন কেন, আর চাকরি রক্ষার জন্য গেলেই-বা থাকবেন কেন?
তাহলে কী করতে হবে? একেবারে প্রথম থেকে ডাক্তার বানানোর পদ্ধতিটা ঠিক করতে হবে। প্রথমেই নজর দিতে হবে মেডিকেল কলেজের ভর্তি পরীক্ষার দিকে। সাধারণ ডাক্তার হওয়ার জন্য খুব বেশি মেধার প্রয়োজন নেই। প্রয়োজন হচ্ছে দেশ ও মানবপ্রেম, গ্রাম-দেশে কাজ করার মানসিকতা, সাধারণ মানুষের সেবা করার প্রণোদনা ইত্যাদি। মোট ভর্তি হওয়া ছাত্রদের মধ্যে ৩৩ শতাংশের মতো বিশেষজ্ঞ হওয়ার জন্য পড়াশোনা করেন। গবেষণা করার জন্য তাদের মেধাবী হওয়ার প্রয়োজন আছে। কাজেই ভর্তি ব্যবস্থা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে এই দুই ধরনের চাহিদাই মেটানো যায়। বিসিএসের জন্য ক্ষতিকারক হলেও মেডিকেলের জন্য দরকার কোটা ব্যবস্থা। এখানে এক-তৃতীয়াংশ আসন মেধার ভিত্তিতে পূরণ হবে, আর বাকি দুই-তৃতীয়াংশ পূরণ হবে জেলাভিত্তিক মেধার ভিত্তিতে। মেধার ভিত্তিতে উত্তীর্ণদের পছন্দ অনুযায়ী আসন বণ্টন করতে হবে। অন্যদিকে জেলা কোটায় উত্তীর্ণদের আসন দেওয়ার সময় খেয়াল রাখতে হবে যেন যার যেটা স্থায়ী ঠিকানা, তাকে তার নিকটস্থ মেডিকেল কলেজে ভর্তি করা হয়। এখানে ছাত্রদের কোনো পছন্দ থাকবে না। জেলা কোটার সুবিধা পাওয়ার বিপরীতে ছাত্রদের বন্ড দিতে হবে যে, পাস করার পর কমপক্ষে দুই বছর ওই জেলা বা বিভাগে তিনি কাজ করবেন। তারপরই কেবল উচ্চশিক্ষার জন্য আবেদন করতে পারবেন কিংবা কর্মস্থল পরিবর্তনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার মধ্য দিয়ে এ ব্যবস্থাকে উন্নত করা যায়।
এরপর নজর দিতে হবে পাঠক্রমের দিকে। বর্তমানের পশ্চিমমুখী পাঠক্রমকে বাংলাদেশের উপযুক্ত করে ঢেলে সাজাতে হবে। জোর দিতে হবে দেশের রোগব্যাধির চিকিৎসার ওপর, বিশেষ করে স্বল্প সম্পদের প্রেক্ষাপটে কী করে তা মোকাবেলা করা যায়। শুধু নিরাময় নয়, রোগ প্রতিরোধের বিষয়গুলোকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে পড়াতে হবে। জনস্বাস্থ্যের ব্যবহারিক ঃড়ড়ষগুলো শিখিয়ে দিতে হবে। মেডিকেল সমাজবিদ্যা এবং স্বাস্থ্য-অর্থনীতির মৌলিক বিষয়গুলো পড়াতে হবে তাকে দেশের এবং সমাজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার জন্য। এগুলো একজন ভবিষ্যৎ ডাক্তারকে রোগীর প্রতি সংবেদনশীল এবং সহানুভূতিশীল হতে সাহায্য করবে। ব্যবহারিক বিদ্যা এমনভাবে সাজাতে হবে যাতে ছাত্রাবস্থা থেকেই তারা দেশের স্বাস্থ্য সমস্যা সম্পর্কে সম্যক অবহিত হতে পারেন। হাতেকলমে গ্রাম-দেশে রোগ নিরাময় কাজের অভিজ্ঞতা নিতে পারেন। এ ছাড়া পাঠক্রমে একজন ভালো ডাক্তার হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় আচরণগত গুণাবলি অর্জনেরও ব্যবস্থ্যা থাকতে হবে।
এ ছাড়া দূরবর্তী এলাকায় কাজ করার জন্য বিশেষ ভাতা, কাজ অনুযায়ী পুরস্কার বা তিরস্কার এবং নিয়মিত বিরতিতে সেসব এলাকা থেকে বদলি ইত্যাদি ডাক্তারদের গ্রামবাসীকে সহনীয় করে তুলবে। সবশেষে, ডাক্তারদের জন্য দরকার একটা স্বচ্ছ, ন্যায়ানুগ এবং দলাদলিমুক্ত পেশাগত পরিকল্পনা, যেন প্রত্যেকেই তার মেধা ও যোগ্যতা অনুযায়ী পড়াশোনা ও পদোন্নতির সুযোগ পান। গ্রামে পড়ে থাকার জন্য তিনি যেন বঞ্চিত না হন। আর এ সবকিছু ঢেলে সাজানোর জন্য দরকার রাজনৈতিক অঙ্গীকার আর দূরদর্শিতা: জোর-জবরদস্তি নয়।
সৈয়দ মাসুদ আহমদ : জনস্বাস্থ্য গবেষক
No comments