মিয়ানমারের ‘বিদেশী নাগরিক’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান রোহিঙ্গাদের by এস এম নাজমুস সাকিব
মিয়ানমারের
কর্মকর্তারা রোহিঙ্গাদের ‘বিদেশী নাগরিক’ অভিহিত করার বিষয়টি বিবেচনা করার
প্রেক্ষাপটে নির্যাতিত জনগোষ্ঠীটি প্রত্যাবাসনের আগে পূর্ণ নাগরিকত্ব,
জাতিগত অধিকার ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা দাবি করছে।
মিয়ামনারের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী সচিব মিয়ন্ত থু বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের সাথে এক বৈঠকে বলেন যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ‘বিদেশী নাগরিক’ বিবেচনা করবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে থু বলেন, ১৯৮২ সালের মিয়ানমার নাগরিকত্ব আইনে তিন ধরনের নাগরিক রয়েছে। যারা তিন প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বাস করছে, তারা ন্যাচালাইজড সিটিজেনশিপ (বিদেশী হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেও আইনগতভাবে নাগরিকত্ব লাভ) পাবে।
আর কোনো রোহিঙ্গা যদি সরাসরি মিয়ানমারের নাগরিক না হয, তবে তারা মিয়ানমারে আইনগতভাবে বসবাস করতে পারবে বিদেশী নাগরিক হিসেবে। নাগরিকত্ব আইনের তৃতীয় ধারায় এটা আছে।
তবে সভায় উপস্থিত রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল মিয়ানমার কর্মকর্তাদের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
মহিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলটি জানায়, মিয়ানমার দলটি পুরনো প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দেয়া হলে একজনও মিয়ানমারে ফিরবে না।
অধিকার গ্রুপ ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের ক্যাম্পেইন কো-অডিনেটর নে সান লউইন আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, মিয়ানমারে দুই ধরনের পরিচিতিপত্র রয়েছে। একটি হলো নাগরিকদের জন্য, অপরটি বিদেশীদের জন্য। ১৯৮২ সালের আগে পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ছিল নাগরিক।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব থু যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। ন্যাচারালাইজড সিটিজেনশিপ গ্রহণ করা নিয়ে রোহিঙ্গারা কখনো আপস করবে না। রোহিঙ্গারা আরাকান রাজ্যের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী। ন্যাচারাইলডজ সিটিজেনশিপ দেয়ার মানে হলো এদের অস্তিত্ব ও ইতিহাস মুছে ফেলা।
তিনি বলেন, কাহিনী তৈরী করা বন্ধ করতেই হবে মিয়ানমারকে। আমরা যা চাই তা হলো পূর্ণ নাগরিকত্ব, জাতিগত অধিকার ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা।
বাংলাদেশর উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করার জন্য রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনের সব রকম সহায়তা করব।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গা তরুণ খিন মঙ আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, পূর্ণ নাগরিকত্ব, মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি পেলেই তারা ফিরে যাবেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের জমি দখল করেছে, আমাদের হত্যা করেছে, আমাদের নারীদের ধর্ষণ করেছে। আমাদের নাগরিক অধিকার অস্বীকার করেছে। আমরা কিভাবে যথাযথ সুরক্ষা ছাড়া আমাদের ভূমিতে ফিরে যাব।
তিনি বলেন, আমরা ন্যাচারাইজড সিটিজেন হিসেবে কখনো রাখাইনে ফিরে যাব না।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সোমবার বলেছেন, রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব ইস্যুটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
মিয়ানমার বাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখের বেশি।
মিয়ামনারের পররাষ্ট্রবিষয়ক স্থায়ী সচিব মিয়ন্ত থু বাংলাদেশের কক্সবাজারে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তুদের সাথে এক বৈঠকে বলেন যে মিয়ানমার সরকার রোহিঙ্গাদের ‘বিদেশী নাগরিক’ বিবেচনা করবে।
রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রশ্নে থু বলেন, ১৯৮২ সালের মিয়ানমার নাগরিকত্ব আইনে তিন ধরনের নাগরিক রয়েছে। যারা তিন প্রজন্ম ধরে মিয়ানমারে বাস করছে, তারা ন্যাচালাইজড সিটিজেনশিপ (বিদেশী হিসেবে জন্মগ্রহণ করলেও আইনগতভাবে নাগরিকত্ব লাভ) পাবে।
আর কোনো রোহিঙ্গা যদি সরাসরি মিয়ানমারের নাগরিক না হয, তবে তারা মিয়ানমারে আইনগতভাবে বসবাস করতে পারবে বিদেশী নাগরিক হিসেবে। নাগরিকত্ব আইনের তৃতীয় ধারায় এটা আছে।
তবে সভায় উপস্থিত রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল মিয়ানমার কর্মকর্তাদের এই প্রস্তাবের বিরোধিতা করে।
মহিবুল্লাহর নেতৃত্বাধীন রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদলটি জানায়, মিয়ানমার দলটি পুরনো প্রস্তাব নিয়ে এসেছে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব না দেয়া হলে একজনও মিয়ানমারে ফিরবে না।
অধিকার গ্রুপ ফ্রি রোহিঙ্গা কোয়ালিশনের ক্যাম্পেইন কো-অডিনেটর নে সান লউইন আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, মিয়ানমারে দুই ধরনের পরিচিতিপত্র রয়েছে। একটি হলো নাগরিকদের জন্য, অপরটি বিদেশীদের জন্য। ১৯৮২ সালের আগে পর্যন্ত রোহিঙ্গারা ছিল নাগরিক।
তিনি বলেন, মিয়ানমারের পররাষ্ট্রসচিব থু যে প্রস্তাব দিয়েছেন, তা পুরোপুরি অগ্রহণযোগ্য। ন্যাচারালাইজড সিটিজেনশিপ গ্রহণ করা নিয়ে রোহিঙ্গারা কখনো আপস করবে না। রোহিঙ্গারা আরাকান রাজ্যের আদিবাসী জাতিগোষ্ঠী। ন্যাচারাইলডজ সিটিজেনশিপ দেয়ার মানে হলো এদের অস্তিত্ব ও ইতিহাস মুছে ফেলা।
তিনি বলেন, কাহিনী তৈরী করা বন্ধ করতেই হবে মিয়ানমারকে। আমরা যা চাই তা হলো পূর্ণ নাগরিকত্ব, জাতিগত অধিকার ও আন্তর্জাতিক সুরক্ষা।
বাংলাদেশর উদ্বাস্তু ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিশনার মোহাম্মদ আবুল কালাম আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়ার বিস্তারিত বিবরণ প্রদান করার জন্য রোহিঙ্গা প্রতিনিধিদল মিয়ানমারের কাছে দাবি জানিয়েছে।
তিনি বলেন, আমাদের পক্ষ থেকে প্রত্যাবাসনের সব রকম সহায়তা করব।
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৮ সদস্যের পরিবার নিয়ে বসবাসকারী রোহিঙ্গা তরুণ খিন মঙ আনাদুলু এজেন্সিকে বলেন, পূর্ণ নাগরিকত্ব, মিয়ানমার ও আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতিশ্রুতি পেলেই তারা ফিরে যাবেন।
তিনি বলেন, মিয়ানমার কর্তৃপক্ষ আমাদের বাড়িঘর পুড়িয়ে দিয়েছে, আমাদের জমি দখল করেছে, আমাদের হত্যা করেছে, আমাদের নারীদের ধর্ষণ করেছে। আমাদের নাগরিক অধিকার অস্বীকার করেছে। আমরা কিভাবে যথাযথ সুরক্ষা ছাড়া আমাদের ভূমিতে ফিরে যাব।
তিনি বলেন, আমরা ন্যাচারাইজড সিটিজেন হিসেবে কখনো রাখাইনে ফিরে যাব না।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন সোমবার বলেছেন, রোহিঙ্গা নাগরিকত্ব ইস্যুটি মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
তিনি বলেন, আমাদের লক্ষ্য রোহিঙ্গাদের মর্যাদাপূর্ণ ও নিরাপদ প্রত্যাবর্তন। তাদের নাগরিকত্ব নিয়ে আমাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
মিয়ানমার বাহিনীর নৃশংস দমন অভিযানের মুখে ২০১৭ সালের আগস্টে প্রায় সাড়ে সাত লাখ রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু বাংলাদেশে প্রবেশ করে। বাংলাদেশে রোহিঙ্গার সংখ্যা ১২ লাখের বেশি।
No comments