এবার ইসরাইলে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে উদ্বেগে যুক্তরাষ্ট্র by ক্যাথি গিলসিন্যান
মার্কিন
জাতীয় নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বছরের পর বছর ধরে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে তাদের
দেশে চীনা বিনিয়োগের বিপদ নিয়ে সতর্ক দিকে দিচ্ছেন। কিন্তু মার্কিন
প্রতিরক্ষা বিভাগ এখন আমেরিকার অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইলে চীনা বিনিয়োগ
নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছে। প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ভয়, আফ্রিকা, পূর্ব
এশিয়া ও অন্যান্য স্থানের মতো এখানেও চীনের চূড়ান্ত লক্ষ্য একই। আর তা হলো
মার্কিন প্রভাব ধীরে ধীরে হ্রাস করা।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, সেইসাথে ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা ও ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সাথে সহযোগিতাকারী ইসরাইলে চীনা উপদ্রব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমও চলছে। আধুনিক যুগে প্রথমবারের মতো বেইজিং তার নিজের অঞ্চলের বাইরে তার সামরিক শক্তি প্রতিফলিত করতে শুরু করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি হলো জিবুতিতে প্রথমবারের মতো সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ। আফ্রিকান হর্নের ওপরে অবস্থিত স্থানটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পয়েন্ট। সোমালিয়া ও ইয়েমেনের মার্কিন যুদ্ধের ঘাঁটির খুব কাছে অবস্থিত এই স্থানটি।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল মালরয় দি আটলান্টিকে লেখা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা চীনের সাথে কাজ করা পুরোপুরি বন্ধ করতে ইসরাইলকে অনুরোধ না করলেও আমরা আমাদের সব ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদারের সাথে চীনা বিনিয়োগের জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করব।
মালরয় বলেন, তিন বছরের মধ্যে চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানি হাইফা বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বন্দরের কাছাকাছি রয়েছে ইসরাইলের একটি নৌঘাঁটি। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর ষষ্ঠ বহর প্রায়ই পোর্ট কলে এসে থাকে। গত বছর যখন চীনা এই বিনিয়োগের কথা সামনে আসে, তখন সাথে সাথেই মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে আপত্তি আসে। এ ধরনের আপত্তি বিরল ঘটনা। ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজের সাংবাদিক অ্যামোস হারেল পত্রিকাটিতে বলেন, ইসরাইলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর ওপর বিপুল প্রভাব সৃষ্টি করছে চীন। এছাড়া ইসরাইলের সামরিক সক্ষমতার কিছু কিছু অংশের দিকেও ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে শুরু করেছে চীন।
মালরয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সামরিক সুবিধাগুলো ধ্বংসে চীনা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিরক্ষা দফতর উদ্বিগ্ন। কারণ ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শনের জন্য অর্থনীতিকে গ্রহণ করেছে চীন।
তবে ইসরাইল এ ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। চীনা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে শ্রীলঙ্কার ৯৯ বছরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে ইজারা দেয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই মনে করছে ইসরাইল। ইসরাইলের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের ইসরাইল-চায়না কর্মসূচির গবেষক গালিয়া ল্যাভি বলেন, এ ধরনের ঋণ ফাঁদে পড়ার বিপদে নেই ইসরাইল। তিনি উল্লেখ করেন, হাইফা বন্দরে চীনা কোম্পানি কেবল একটি ডক ব্যবহার করার চুক্তি করছে। আর এ জন্য ইসরাইল ঋণ গ্রহণ করছে না। আর এই ডকে ষষ্ট বা অন্য কোনো নৌবহর অবস্থান করে না।
তিনি বলেন, চীনা কোম্পানি যেখানে কাজ করবে, সেখানে কোনো জাহাজ নোঙর করে না। কোনো বিশাল ভবনের ওপর থেকে বাইনোকুলার দিয়ে তাকালেই কেবল নৌবাহিনীর জাহাজ এখান থেকে দেখা যাবে।
তবে কয়েক দশক ধরে যে স্পর্শকাতর এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র সেখানে চীনা প্রত্যক্ষ প্রবেশ নিয়েই নয়, সেইসাথে বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়েও আমেরিকা উদ্বিগ্ন।
মালরয় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি অর্থনীতির উন্মুক্ততাই প্রধান শক্তি হলেও আমরা সতর্ক না থাকলে অপশক্তি এ থেকে ফায়দা হাসিল করতে পারে।
ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশের কাছেও একই ইস্যু উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫জি নামে পরিচিত পরবর্তী প্রজন্মের টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক নির্মাণ করতে চীনা কোম্পানি হুওয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হতে ব্রিটেনকে অনুরোধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ইতোমধ্যে চীনা কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ গোয়েন্দা যোগাযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় না কোনোভাবে এসব তথ্য চীনের কাছে চলে যাক। ইসরাইলের ক্ষেত্রেও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই ইরানের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে চীন।
তবে চীনের একটি সুবিধা হলো, তারা এই অঞ্চলের প্রধান প্রধান বিরোধ নিয়ে কিছু না জানার ভান করে। বিশেষ করে ইরান ও ইসরাইল ও কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে সে নিরুত্তাপ। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ থাকলেও চীনারা ব্যবহার করে টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ধনী মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে চীন। অথচ ইরানের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করছে এই আমিরাত। মিসরের জ্বালানি ও রেললাইন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে চীন, তিউনিসিয়ায় বন্দর ও গাড়ি প্রকল্পেও রয়েছে চীন। সিরিয়ার পুনঃগঠন ও ইরাকি তেল খাতেও চীনা উপস্থিতি রয়েছে।
প্রযুক্তি খাতেও তাদের অবস্থান রয়েছে। হুয়াওয়ে ইসরাইলে সেল ফোন বিক্রি করতে পারছে। অবশ্য ইসরাইলে এখনো তার উপস্থিতি বেশি কিছু নয়। ইসরাইলের বেশির ভাগ এলাকা এখনো ৫জি নেটওয়ার্কের বাইরে।
ইসরাইলে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নানা আপত্তি জানালেও দেশটিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। আর মার্কিন উদ্বেগ সত্ত্বেও ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কথিত উভয় দেশের অনড় সম্পর্কে এই বিনিয়োগের প্রভাব হতে পারে নীরব।
চীনা ইস্যুতে কর্মরত সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইসরাইলে চীনা বিনিয়োগ ও মার্কিন-ইসরাইল প্রতিরক্ষা ও সম্পর্কে এর জটিল প্রভাব নিয়ে আমি ভেবে দেখেছি। আমার কাছে এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ষষ্ট নৌবহর যেখানে পোর্ট কলে যায়, সেখানে চীনাদের ব্যবস্থাপনায় উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না। তিনি বলেন, জিবুতি বন্দরে চীনা উপস্থিতির চেয়ে হাইফায় চীনা উপস্থিতি অনেক কম উদ্বেগজনক। তবে এই অঞ্চলে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন নৌবাহিনীর পোর্ট কলের বন্দরে চীনা ব্যবস্থাপনার যে সুযোগ দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই একটি তিক্ত বড়ি।
যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, সেইসাথে ইরানের আঞ্চলিক তৎপরতা ও ইসলামিক স্টেটের বিরুদ্ধে চলমান যুদ্ধের প্রেক্ষাপটে সবচেয়ে স্পর্শকাতর জাতীয় নিরাপত্তা ইস্যুতে ওয়াশিংটনের সাথে সহযোগিতাকারী ইসরাইলে চীনা উপদ্রব বিশেষভাবে উদ্বেগজনক।
সামরিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি চীনের অর্থনৈতিক কার্যক্রমও চলছে। আধুনিক যুগে প্রথমবারের মতো বেইজিং তার নিজের অঞ্চলের বাইরে তার সামরিক শক্তি প্রতিফলিত করতে শুরু করেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্যটি হলো জিবুতিতে প্রথমবারের মতো সামরিক ঘাঁটি নির্মাণ। আফ্রিকান হর্নের ওপরে অবস্থিত স্থানটি বিশ্বের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ তেল পরিবহন পয়েন্ট। সোমালিয়া ও ইয়েমেনের মার্কিন যুদ্ধের ঘাঁটির খুব কাছে অবস্থিত এই স্থানটি।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী মাইকেল মালরয় দি আটলান্টিকে লেখা এক বিবৃতিতে বলেন, আমরা চীনের সাথে কাজ করা পুরোপুরি বন্ধ করতে ইসরাইলকে অনুরোধ না করলেও আমরা আমাদের সব ঘনিষ্ঠ মিত্র ও অংশীদারের সাথে চীনা বিনিয়োগের জাতীয় নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টতা নিয়ে আলোচনা করব।
মালরয় বলেন, তিন বছরের মধ্যে চীনা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানি হাইফা বন্দরের কাছাকাছি এলাকায় কার্যক্রম শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই বন্দরের কাছাকাছি রয়েছে ইসরাইলের একটি নৌঘাঁটি। এখানে মার্কিন নৌবাহিনীর ষষ্ঠ বহর প্রায়ই পোর্ট কলে এসে থাকে। গত বছর যখন চীনা এই বিনিয়োগের কথা সামনে আসে, তখন সাথে সাথেই মার্কিন নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে আপত্তি আসে। এ ধরনের আপত্তি বিরল ঘটনা। ইসরাইলি পত্রিকা হারেৎজের সাংবাদিক অ্যামোস হারেল পত্রিকাটিতে বলেন, ইসরাইলের অতি গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোগুলোর ওপর বিপুল প্রভাব সৃষ্টি করছে চীন। এছাড়া ইসরাইলের সামরিক সক্ষমতার কিছু কিছু অংশের দিকেও ঘনিষ্ঠভাবে নজর রাখতে শুরু করেছে চীন।
মালরয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, মার্কিন সামরিক সুবিধাগুলো ধ্বংসে চীনা আকাঙ্ক্ষা নিয়ে প্রতিরক্ষা দফতর উদ্বিগ্ন। কারণ ওয়ান বেল্ট ওয়ান রোড ইনিশিয়েটিভের মাধ্যমে ভীতি প্রদর্শনের জন্য অর্থনীতিকে গ্রহণ করেছে চীন।
তবে ইসরাইল এ ব্যাপারে ভিন্ন অবস্থান গ্রহণ করেছে। চীনা ঋণ পরিশোধ করতে না পেরে শ্রীলঙ্কার ৯৯ বছরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দরকে ইজারা দেয়ার ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না বলেই মনে করছে ইসরাইল। ইসরাইলের ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্টাডিজের ইসরাইল-চায়না কর্মসূচির গবেষক গালিয়া ল্যাভি বলেন, এ ধরনের ঋণ ফাঁদে পড়ার বিপদে নেই ইসরাইল। তিনি উল্লেখ করেন, হাইফা বন্দরে চীনা কোম্পানি কেবল একটি ডক ব্যবহার করার চুক্তি করছে। আর এ জন্য ইসরাইল ঋণ গ্রহণ করছে না। আর এই ডকে ষষ্ট বা অন্য কোনো নৌবহর অবস্থান করে না।
তিনি বলেন, চীনা কোম্পানি যেখানে কাজ করবে, সেখানে কোনো জাহাজ নোঙর করে না। কোনো বিশাল ভবনের ওপর থেকে বাইনোকুলার দিয়ে তাকালেই কেবল নৌবাহিনীর জাহাজ এখান থেকে দেখা যাবে।
তবে কয়েক দশক ধরে যে স্পর্শকাতর এলাকায় একচ্ছত্র আধিপত্য বজায় রেখেছিল যুক্তরাষ্ট্র সেখানে চীনা প্রত্যক্ষ প্রবেশ নিয়েই নয়, সেইসাথে বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে বাণিজ্যিক চুক্তি নিয়েও আমেরিকা উদ্বিগ্ন।
মালরয় বলেন, যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলি অর্থনীতির উন্মুক্ততাই প্রধান শক্তি হলেও আমরা সতর্ক না থাকলে অপশক্তি এ থেকে ফায়দা হাসিল করতে পারে।
ব্রিটেনসহ অন্যান্য দেশের কাছেও একই ইস্যু উত্থাপন করেছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ৫জি নামে পরিচিত পরবর্তী প্রজন্মের টেলিকমিউনিকেশন্স নেটওয়ার্ক নির্মাণ করতে চীনা কোম্পানি হুওয়ের সাথে চুক্তিবদ্ধ না হতে ব্রিটেনকে অনুরোধ করেছেন। যুক্তরাষ্ট্র নিজেই ইতোমধ্যে চীনা কোম্পানিটির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ব্রিটেনের ঘনিষ্ঠ গোয়েন্দা যোগাযোগ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র চায় না কোনোভাবে এসব তথ্য চীনের কাছে চলে যাক। ইসরাইলের ক্ষেত্রেও গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু। ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্র উভয়েই ইরানের ব্যাপারে খুবই উদ্বিগ্ন। অন্যদিকে ইরানের সাথে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখছে চীন।
তবে চীনের একটি সুবিধা হলো, তারা এই অঞ্চলের প্রধান প্রধান বিরোধ নিয়ে কিছু না জানার ভান করে। বিশেষ করে ইরান ও ইসরাইল ও কয়েকটি উপসাগরীয় দেশের মধ্যকার বিরোধ নিয়ে সে নিরুত্তাপ। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ থাকলেও চীনারা ব্যবহার করে টাকা। যুক্তরাষ্ট্রের আরেক ধনী মিত্র সংযুক্ত আরব আমিরাতের শিল্প খাতে বিপুল বিনিয়োগ করছে চীন। অথচ ইরানের বিরুদ্ধে চাপ বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্রকে সমর্থন করছে এই আমিরাত। মিসরের জ্বালানি ও রেললাইন প্রকল্পে বিনিয়োগ করেছে চীন, তিউনিসিয়ায় বন্দর ও গাড়ি প্রকল্পেও রয়েছে চীন। সিরিয়ার পুনঃগঠন ও ইরাকি তেল খাতেও চীনা উপস্থিতি রয়েছে।
প্রযুক্তি খাতেও তাদের অবস্থান রয়েছে। হুয়াওয়ে ইসরাইলে সেল ফোন বিক্রি করতে পারছে। অবশ্য ইসরাইলে এখনো তার উপস্থিতি বেশি কিছু নয়। ইসরাইলের বেশির ভাগ এলাকা এখনো ৫জি নেটওয়ার্কের বাইরে।
ইসরাইলে চীনা বিনিয়োগ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র নানা আপত্তি জানালেও দেশটিতে বিনিয়োগ অব্যাহত রয়েছে। আর মার্কিন উদ্বেগ সত্ত্বেও ইসরাইল ও যুক্তরাষ্ট্রের কথিত উভয় দেশের অনড় সম্পর্কে এই বিনিয়োগের প্রভাব হতে পারে নীরব।
চীনা ইস্যুতে কর্মরত সাবেক এক মার্কিন কর্মকর্তা পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ইসরাইলে চীনা বিনিয়োগ ও মার্কিন-ইসরাইল প্রতিরক্ষা ও সম্পর্কে এর জটিল প্রভাব নিয়ে আমি ভেবে দেখেছি। আমার কাছে এটাকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে দেখানো হচ্ছে বলে মনে হচ্ছে। ষষ্ট নৌবহর যেখানে পোর্ট কলে যায়, সেখানে চীনাদের ব্যবস্থাপনায় উদ্বেগের কোনো কারণ দেখি না। তিনি বলেন, জিবুতি বন্দরে চীনা উপস্থিতির চেয়ে হাইফায় চীনা উপস্থিতি অনেক কম উদ্বেগজনক। তবে এই অঞ্চলে আমাদের সবচেয়ে ঘনিষ্ঠ মিত্র মার্কিন নৌবাহিনীর পোর্ট কলের বন্দরে চীনা ব্যবস্থাপনার যে সুযোগ দেয়া হচ্ছে তা অবশ্যই একটি তিক্ত বড়ি।
No comments